ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজধানীর গুলশান থানায় করা ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের মামলায় আত্মসমর্পণের আবেদন করেও জামিন শুনানিতে হাজির হননি রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও দুই ছেলে। গতকাল তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন নেয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু আসামিরা হাজির না হওয়ায় ঢাকার মহানগর হাকিম এম. এ. আজহারুল ইসলাম জামিন আবেদন নাকচ করে আদেশ দেন।
আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য দিয়েছেন। আসামিরা হলেন-রফিকুল ইসলামের স্ত্রী জোবেদা বেগম এবং দুই ছেলে কাওছার আহমেদ অপু ও মেহেদী হাসান দিপু। এরা যথাক্রমে মামলার ২, ৩ ও ৪ নম্বর আসামি। তাদের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ আল জোবায়ের (নিলয়) আত্মসমর্পণের আবেদন করেন।
বিকাল ৪টার দিকে মামলাটি শুনানির জন্য আদালত ওঠে। তখন পর্যন্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। বিচারক এ বিষয়ে তাদের আইনজীবীর কাছে জানতে চান। তখন আইনজীবী জানান, আসামিরা এজলাসের বাইরে আছেন। বিচারক আসামিদের নাম ধরে ডাকতে বলেন। তখন তাদের ডাকা হয়। কিন্তু আসামিরা না আসায় বিচারক আইনজীবীকে বলেন, ‘আত্মসমর্পণের আবেদন করে আসামি উপস্থাপন করবেন না?’
এসময় আইনজীবী আবেদন ফেরত নিতে চান। তখন বিচারক বলেন, শুনানি হয়ে গেছে। ফেরত হবে না। আগেই ফেরত নেয়ার কথা বলতেন। এরপর আদালতে তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে আদেশ দেয়। রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এবং তার ‘স্বার্থসংশ্লিষ্ট’ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গেল ৭ আগস্ট পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করে।
সেই সঙ্গে তাদের ১৩টি ব্যাংক হিসাব এবং যমুনা ফিউচার পার্কের এক লাখ বর্গফুট কমার্শিয়াল স্পেস আদালতের আদেশে ক্রোক করার কথা জানিয়েছে সিআইডি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গতবছর অক্টোবরে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আদালত। তার বিরুদ্ধে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরুর কথা বলেছিল দুদক।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর গুলশান থানায় করা ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের মামলায় আত্মসমর্পণের আবেদন করেও জামিন শুনানিতে হাজির হননি রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও দুই ছেলে। গতকাল তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন নেয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু আসামিরা হাজির না হওয়ায় ঢাকার মহানগর হাকিম এম. এ. আজহারুল ইসলাম জামিন আবেদন নাকচ করে আদেশ দেন।
আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য দিয়েছেন। আসামিরা হলেন-রফিকুল ইসলামের স্ত্রী জোবেদা বেগম এবং দুই ছেলে কাওছার আহমেদ অপু ও মেহেদী হাসান দিপু। এরা যথাক্রমে মামলার ২, ৩ ও ৪ নম্বর আসামি। তাদের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ আল জোবায়ের (নিলয়) আত্মসমর্পণের আবেদন করেন।
বিকাল ৪টার দিকে মামলাটি শুনানির জন্য আদালত ওঠে। তখন পর্যন্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। বিচারক এ বিষয়ে তাদের আইনজীবীর কাছে জানতে চান। তখন আইনজীবী জানান, আসামিরা এজলাসের বাইরে আছেন। বিচারক আসামিদের নাম ধরে ডাকতে বলেন। তখন তাদের ডাকা হয়। কিন্তু আসামিরা না আসায় বিচারক আইনজীবীকে বলেন, ‘আত্মসমর্পণের আবেদন করে আসামি উপস্থাপন করবেন না?’
এসময় আইনজীবী আবেদন ফেরত নিতে চান। তখন বিচারক বলেন, শুনানি হয়ে গেছে। ফেরত হবে না। আগেই ফেরত নেয়ার কথা বলতেন। এরপর আদালতে তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে আদেশ দেয়। রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এবং তার ‘স্বার্থসংশ্লিষ্ট’ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গেল ৭ আগস্ট পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করে।
সেই সঙ্গে তাদের ১৩টি ব্যাংক হিসাব এবং যমুনা ফিউচার পার্কের এক লাখ বর্গফুট কমার্শিয়াল স্পেস আদালতের আদেশে ক্রোক করার কথা জানিয়েছে সিআইডি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গতবছর অক্টোবরে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আদালত। তার বিরুদ্ধে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরুর কথা বলেছিল দুদক।