আদমদীঘি (বগুড়া) : সান্তাহার শহরের যানজটের নিত্য দিনের চিত্র -সংবাদ
প্রতিদিনের অসহনীয় যানজটের কবলে পরে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ঐতিহ্যবাহি সান্তাহার জংশস ষ্টেশনের কয়েক হাজার মানুষ। যানজট নিরসনে সান্তাহার পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসনের কোন প্রকার উদ্যেগ না থাকায় যানজটে শহর জুড়ে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে । যানজটের কারনে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে।যানজটে পড়ে মানুষকে দীর্ঘ সময় ধরে যানবাহনে বসে অপেক্ষা করতে হয়।
সান্তাহার শহর একটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা ও প্রাচীন জংশন শহর।শহরে জংশন ষ্টেশন ও ব্যবসা বানিজ্যের পাশাপাশি রয়েছে সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ন(কে,পি,আই)আটটি স্থাপনা। এসবের মধ্যে রয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি সাইলো( শীততপ নিয়ন্ত্রীত গম ও চাল সংরক্ষানাগার), ৭৫ হাজার ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম (সিএসডি), একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র,মৎস্য গবেষনা ইনসটিটিউট, সহ ১২টি স্বয়ংক্রীয় চালকল ।
এসকল প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও পণ্যবাহি যানবাহন এ শহর দিয়ে চলাচল করে । একই সাথে প্রতিদিন সান্তাহার জংশন ষ্টেশন দিয়ে ২২ জোড়া যাত্রীবাহি ও মালবাহি ট্রেন চলাচল করে । এতে করে ষ্টেশনে হাজার যাত্রীর সমাগম ঘটে । সান্তাহার শহরে বর্তমানে তিন শতাধিক অটোরিক্সা, ভ্যান, বাস, ট্রাকসহ হাজারের ও বেশি বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে । সান্তাহার-নওগাঁ রুট ছাড়াও এখান থেকে জয়পুরহাট,বগুড়া,নাটোরসহ প্রায় আটটি আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলাচল করে । এই বিপুল পরিমান যানবাহন রাখার জন্য শহরে নেই কোন টার্মিনাল। পৌর কর্তৃপক্ষ শহরে যানবাহন অবস্থানের জন্য কোন ষ্ট্যান্ড তৈরী করে দিতে পারেনি। এ কারনে সারা শহর জুড়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করায় সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট। অপরদিকে শহরের মাঝখানে থাকা রেল ক্রসিং শহরকে দুই ভাগে বিভক্ত করায় বেশীর ভাগ সময় ধরে রেলগেট বন্ধ থাকে। এ কারনে গেটের দুই পাশের রাস্তার উপর আটকা পড়ে অসংখ্য যানবাহন। কোন কোন সময় রেল গেটের দুই পাশের যানবাহনের লাইন প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। গেটের পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর সার্বক্ষনিক অবস্থান করে সান্তাহার-বগুড়া রুটে চলাচলকারি বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা । গুরুত্বপূর্ন এই শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রনে ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকলেও তা তেমন কার্যকর নয়। যে কারনে যানবাহন চালকরা ইচ্ছে অনুযায়ী যেখানে সেখানে তাঁদের যানবাহন রেখে যানজটের সৃষ্টি করে । সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ন সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, সান্তাহার পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং পুলিশের দায়িত্বহীনতার কারনে শহর জুড়ে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। শহরে টার্মিনাল বা কোন নিদির্ষ্ট ষ্টান্ড না থাকার কারনে সবগুলো রাস্তা ষ্টান্ডে পরিণত হয়েছে। সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, সান্তাহার শহরকে যানজট মুক্ত শহর হিসেবে তিনিও দেখতে চান। তিনি এ বিষয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সহযোগীতা চান । তিনি বলেন, শহরের মাঝখানে রেল ক্রসিং থাকায় যানজট নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
আদমদীঘি (বগুড়া) : সান্তাহার শহরের যানজটের নিত্য দিনের চিত্র -সংবাদ
বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫
প্রতিদিনের অসহনীয় যানজটের কবলে পরে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ঐতিহ্যবাহি সান্তাহার জংশস ষ্টেশনের কয়েক হাজার মানুষ। যানজট নিরসনে সান্তাহার পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসনের কোন প্রকার উদ্যেগ না থাকায় যানজটে শহর জুড়ে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে । যানজটের কারনে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে।যানজটে পড়ে মানুষকে দীর্ঘ সময় ধরে যানবাহনে বসে অপেক্ষা করতে হয়।
সান্তাহার শহর একটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা ও প্রাচীন জংশন শহর।শহরে জংশন ষ্টেশন ও ব্যবসা বানিজ্যের পাশাপাশি রয়েছে সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ন(কে,পি,আই)আটটি স্থাপনা। এসবের মধ্যে রয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি সাইলো( শীততপ নিয়ন্ত্রীত গম ও চাল সংরক্ষানাগার), ৭৫ হাজার ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম (সিএসডি), একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র,মৎস্য গবেষনা ইনসটিটিউট, সহ ১২টি স্বয়ংক্রীয় চালকল ।
এসকল প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও পণ্যবাহি যানবাহন এ শহর দিয়ে চলাচল করে । একই সাথে প্রতিদিন সান্তাহার জংশন ষ্টেশন দিয়ে ২২ জোড়া যাত্রীবাহি ও মালবাহি ট্রেন চলাচল করে । এতে করে ষ্টেশনে হাজার যাত্রীর সমাগম ঘটে । সান্তাহার শহরে বর্তমানে তিন শতাধিক অটোরিক্সা, ভ্যান, বাস, ট্রাকসহ হাজারের ও বেশি বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে । সান্তাহার-নওগাঁ রুট ছাড়াও এখান থেকে জয়পুরহাট,বগুড়া,নাটোরসহ প্রায় আটটি আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলাচল করে । এই বিপুল পরিমান যানবাহন রাখার জন্য শহরে নেই কোন টার্মিনাল। পৌর কর্তৃপক্ষ শহরে যানবাহন অবস্থানের জন্য কোন ষ্ট্যান্ড তৈরী করে দিতে পারেনি। এ কারনে সারা শহর জুড়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করায় সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট। অপরদিকে শহরের মাঝখানে থাকা রেল ক্রসিং শহরকে দুই ভাগে বিভক্ত করায় বেশীর ভাগ সময় ধরে রেলগেট বন্ধ থাকে। এ কারনে গেটের দুই পাশের রাস্তার উপর আটকা পড়ে অসংখ্য যানবাহন। কোন কোন সময় রেল গেটের দুই পাশের যানবাহনের লাইন প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। গেটের পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর সার্বক্ষনিক অবস্থান করে সান্তাহার-বগুড়া রুটে চলাচলকারি বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা । গুরুত্বপূর্ন এই শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রনে ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকলেও তা তেমন কার্যকর নয়। যে কারনে যানবাহন চালকরা ইচ্ছে অনুযায়ী যেখানে সেখানে তাঁদের যানবাহন রেখে যানজটের সৃষ্টি করে । সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ন সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, সান্তাহার পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং পুলিশের দায়িত্বহীনতার কারনে শহর জুড়ে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। শহরে টার্মিনাল বা কোন নিদির্ষ্ট ষ্টান্ড না থাকার কারনে সবগুলো রাস্তা ষ্টান্ডে পরিণত হয়েছে। সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, সান্তাহার শহরকে যানজট মুক্ত শহর হিসেবে তিনিও দেখতে চান। তিনি এ বিষয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সহযোগীতা চান । তিনি বলেন, শহরের মাঝখানে রেল ক্রসিং থাকায় যানজট নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে পড়ে।