কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১৩টি দানবাক্স থেকে এবার রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গেছে। এর আগে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে দিনভর গণনা শেষে সন্ধ্যায় এ হিসাব প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান। তিনি জানান, এ নিয়ে মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমা অর্থের পরিমাণ দাঁড়াল ১০৩ কোটি টাকা।
মোট ৩২ বস্তা টাকা ছাড়াও দানবাক্সগুলো থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনা–রুপার অলংকার পাওয়া গেছে, যা পরবর্তী সময়ে গণনা করা হবে। এবারের গণনায় সর্বোচ্চসংখ্যক জনবল নিয়োজিত ছিল। ৪৯৪ জনের একটি দল এ কাজে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ছিলেন পাগলা মসজিদ মাদরাসা ও আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার ২৮৬ জন ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের ৮০ কর্মকর্তা–কর্মচারী এবং মসজিদ-মাদরাসার ৩৫ জন কর্মকর্তা। সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসারের ৭৫ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। কাজের তদারকিতে ছিলেন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, এই দানের টাকা দিয়ে পাগলা মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা, এতিমখানা ও অসহায় মানুষের সহায়তায়ও এই অর্থ ব্যয় করা হয়।
কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত তিন গম্বুজ ও সুউচ্চ মিনারবিশিষ্ট এই মসজিদটি প্রায় পাঁচশত বছর আগে নির্মিত হয়। কথিত আছে, ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামের এক সাধক এখানে নামাজ পড়তেন। তাঁর নামানুসারেই মসজিদটির নাম হয় ‘পাগলা মসজিদ’।
রোববার, ৩১ আগস্ট ২০২৫
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১৩টি দানবাক্স থেকে এবার রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গেছে। এর আগে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে দিনভর গণনা শেষে সন্ধ্যায় এ হিসাব প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান। তিনি জানান, এ নিয়ে মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমা অর্থের পরিমাণ দাঁড়াল ১০৩ কোটি টাকা।
মোট ৩২ বস্তা টাকা ছাড়াও দানবাক্সগুলো থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনা–রুপার অলংকার পাওয়া গেছে, যা পরবর্তী সময়ে গণনা করা হবে। এবারের গণনায় সর্বোচ্চসংখ্যক জনবল নিয়োজিত ছিল। ৪৯৪ জনের একটি দল এ কাজে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ছিলেন পাগলা মসজিদ মাদরাসা ও আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার ২৮৬ জন ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের ৮০ কর্মকর্তা–কর্মচারী এবং মসজিদ-মাদরাসার ৩৫ জন কর্মকর্তা। সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসারের ৭৫ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। কাজের তদারকিতে ছিলেন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, এই দানের টাকা দিয়ে পাগলা মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা, এতিমখানা ও অসহায় মানুষের সহায়তায়ও এই অর্থ ব্যয় করা হয়।
কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত তিন গম্বুজ ও সুউচ্চ মিনারবিশিষ্ট এই মসজিদটি প্রায় পাঁচশত বছর আগে নির্মিত হয়। কথিত আছে, ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামের এক সাধক এখানে নামাজ পড়তেন। তাঁর নামানুসারেই মসজিদটির নাম হয় ‘পাগলা মসজিদ’।