চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মাল্টা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। ফলন ভালো, স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সাল থেকে বোয়ালখালীতে মাল্টা চাষ শুরু করা হয়েছে। উপজেলার সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলে রয়েছে ৩০টি বারি-১ জাতের মাল্টা বাগান।
কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তিন বছর পূর্বে বাড়ির পাশে নিজের ১০ শতক জায়গায় ১২০টি বারি-১ জাতের মাল্টার চারা রোপণ করেন খরণদ্বীপ ইউনিয়নের কৃষক আহমেদ মনছুর।
ভালো মানের চারা সঠিক পরিচর্যা করলে অল্প সময়ে লাভবান হওয়া যায়। সার ও মজুরিসহ এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। গতবছর থেকে গাছে ফলন আসতে শুরু করেছে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছে। চলতি বছরে ৬০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। তার সাফল্য দেখে বর্তমানে অনেকেই মাল্টা বাগানে আগ্রহী হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, বোয়ালখালী উপজেলার সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি ও পরিবেশ বারি-১ মাল্টার জন্য উপযোগী।
এখানে উৎপাদিত মাল্টা অন্যান্য মাল্টার চাইতে অনেক মিষ্টি। বাজারে চাহিদা থাকায় দিন দিন আবাদ বাড়ছে। সরকারি ও বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় মাল্টা চাষে কৃষকদের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে বোয়ালখালীতে ৩০ হেক্টর জমিতে মাল্টার বাগান রয়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে।
অর্থকারী এ ফসল এক সময় দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মাল্টা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। ফলন ভালো, স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সাল থেকে বোয়ালখালীতে মাল্টা চাষ শুরু করা হয়েছে। উপজেলার সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলে রয়েছে ৩০টি বারি-১ জাতের মাল্টা বাগান।
কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তিন বছর পূর্বে বাড়ির পাশে নিজের ১০ শতক জায়গায় ১২০টি বারি-১ জাতের মাল্টার চারা রোপণ করেন খরণদ্বীপ ইউনিয়নের কৃষক আহমেদ মনছুর।
ভালো মানের চারা সঠিক পরিচর্যা করলে অল্প সময়ে লাভবান হওয়া যায়। সার ও মজুরিসহ এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। গতবছর থেকে গাছে ফলন আসতে শুরু করেছে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছে। চলতি বছরে ৬০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। তার সাফল্য দেখে বর্তমানে অনেকেই মাল্টা বাগানে আগ্রহী হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, বোয়ালখালী উপজেলার সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি ও পরিবেশ বারি-১ মাল্টার জন্য উপযোগী।
এখানে উৎপাদিত মাল্টা অন্যান্য মাল্টার চাইতে অনেক মিষ্টি। বাজারে চাহিদা থাকায় দিন দিন আবাদ বাড়ছে। সরকারি ও বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় মাল্টা চাষে কৃষকদের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে বোয়ালখালীতে ৩০ হেক্টর জমিতে মাল্টার বাগান রয়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে।
অর্থকারী এ ফসল এক সময় দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।