alt

সারাদেশ

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রকে একসঙ্গে ৩ টিকা, তদন্তে কমিটি

প্রতিনিধি, নোয়াখালী: : শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে ‘২ মিনিটের ব্যবধানে একই হাতে পরপর ৩ বার’ করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার শীতাতপনিয়ন্ত্রণ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. ইয়াছিন হোসেন ওরফে আরাফাত (১৪)। সে হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নেয়াজ আলী ব্যাপারীবাড়ির ইব্রাহীম খলিলের ছেলে। তবে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জেলার সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থী তার বাসায় পর্যবেক্ষণে আছে, তার ভেতরে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের টিকা নিতে গতকাল সকালে তার সহপাঠীদের সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। উপজেলার মোট সাতটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয় সেখানে।

করোনার টিকা নিয়ে বেরিয়ে এসে সে অন্য শিক্ষার্থীদের কাছে দাবি করে, দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী তার এক হাতে ‘তিনবার টিকা পুশ করেছে’।

হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ জানান, তার ছাত্র অভিযোগ করার পর বিষয়টি তারা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে ওই কিশোরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য।

চাটখিলের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বলেন, ওই কিশোরকে টিকা দিয়েছেন দিদার হোসেন নামের এক স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ ওঠায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যেটুকু ধারণা পাওয়া গেছে, ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ জানার পর টিকাদানকর্মীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমবার টিকা দেওয়ার সময় ছেলেটি জোরে হাত নাড়ে, ফলে টিকার তরল অংশ পড়ে যায়। তখন টিকাদানকর্মী তাকে আরেকটি নতুন টিকা দেন।

তিনি বলেন, তিনটি টিকা দেওয়ার যে অভিযোগ শিক্ষার্থী করেছে, সেটি ঠিক নয়। স্বাভাবিক নিয়মে এমনটি হওয়ার সুযোগ খুবই কম।

ছবি

মুরাদনগরে ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি ৩৮ বিশিষ্ট নাগরিকের

ছবি

নওগাঁয় ৯০টি খামারে তৈরি হচ্ছে কেঁচো সার

বরমচাল চা বাগানের ইতি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

তারাগঞ্জ প্রাণীসম্পদ অফিস চত্বরে ফুলের চারাগাছ রোপন

বটিয়াঘাটায় ব্যবসায়ীদের মাঝে পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ বিতরণ

কলারোয়ায় আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে অভিযান

পীরগাছায় ছেলের অপরাধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বাবার ওপর নির্যাতন

নোয়াখালীতে বিধবাকে গণধর্ষণ

কাজে ফিরেছেন হিলি কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ছবি

প্লাস্টিকের বস্তায় চাল বাজারজাত করার জরিমানা

শিক্ষার্থীকে বস্তায় ভরে নির্যাতনের ঘটনায় শিক্ষক কারাগারে

সমিতির জমানো টাকা ফেরত না পেয়ে শোকে মৃত্যু

ছবি

নবীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩

কুষ্টিয়ায় সেতুর টোল আদায় বন্ধে দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, যানজট, ভোগান্তি

নড়াইলে এইচএসসিতে সেট পরিবর্তন কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে অব্যাহতি

ছবি

ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ১০

চিলমারী তেল ডিপো রক্ষায় কুড়িগ্রামে শ্রমিকদের মানববন্ধন

মোহনগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্পের জৌলুস

ছবি

চিলমারীতে অসময়ের বন্যা পাটচাষিরা চিন্তিত

ছবি

সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার পণ্য আটক করল সুনামগঞ্জ বিজিবি

প্রেমের টানে ভারতীয় যুবক লালমনিরহাটে

মহাদেবপুরে অতিরিক্ত ধানচাল মজুদ জেল-জরিমানা, ধান কেনা বন্ধ

ছবি

৬৭০ টাকার বীজ ধান ৭’শ ৫০ টাকা বিক্রি!

সন্তান জন্ম দিয়ে পরীক্ষা দিলেন অদম্য ইশা

জেলা আ.লীগের সভাপতি নাছির দুই দিনের রিমান্ডে

ছবি

বেনাপোল বন্দরে পানি নিষ্কাশনের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ফারিহা

ছবি

বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার রাস্তাটি এখন গলার কাঁটায়

কালীগঞ্জে হোল্ডিং ট্যাক্স ইস্যুতে পৌরবাসীর সঙ্গে ইউএনওর সরাসরি সংলাপ

ছবি

এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়ায় বেনাপোল বন্দরে কার্যক্রম শুরু

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৯,৬২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার

চট্টগ্রামে জন্ম থেকে ১৫ মাস বয়সী শিশুদের জন্য নতুন প্রকল্প : কার্যক্রম চলবে ৬ জেলায়

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযান আটক ৩

ছবি

নেত্রকোনায় চক্ষু চিকিৎসার নামে প্রতারণা

tab

সারাদেশ

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রকে একসঙ্গে ৩ টিকা, তদন্তে কমিটি

প্রতিনিধি, নোয়াখালী:

ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে ‘২ মিনিটের ব্যবধানে একই হাতে পরপর ৩ বার’ করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার শীতাতপনিয়ন্ত্রণ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. ইয়াছিন হোসেন ওরফে আরাফাত (১৪)। সে হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নেয়াজ আলী ব্যাপারীবাড়ির ইব্রাহীম খলিলের ছেলে। তবে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জেলার সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থী তার বাসায় পর্যবেক্ষণে আছে, তার ভেতরে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের টিকা নিতে গতকাল সকালে তার সহপাঠীদের সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। উপজেলার মোট সাতটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয় সেখানে।

করোনার টিকা নিয়ে বেরিয়ে এসে সে অন্য শিক্ষার্থীদের কাছে দাবি করে, দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী তার এক হাতে ‘তিনবার টিকা পুশ করেছে’।

হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ জানান, তার ছাত্র অভিযোগ করার পর বিষয়টি তারা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে ওই কিশোরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য।

চাটখিলের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বলেন, ওই কিশোরকে টিকা দিয়েছেন দিদার হোসেন নামের এক স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ ওঠায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যেটুকু ধারণা পাওয়া গেছে, ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ জানার পর টিকাদানকর্মীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমবার টিকা দেওয়ার সময় ছেলেটি জোরে হাত নাড়ে, ফলে টিকার তরল অংশ পড়ে যায়। তখন টিকাদানকর্মী তাকে আরেকটি নতুন টিকা দেন।

তিনি বলেন, তিনটি টিকা দেওয়ার যে অভিযোগ শিক্ষার্থী করেছে, সেটি ঠিক নয়। স্বাভাবিক নিয়মে এমনটি হওয়ার সুযোগ খুবই কম।

back to top