ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে ‘২ মিনিটের ব্যবধানে একই হাতে পরপর ৩ বার’ করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার শীতাতপনিয়ন্ত্রণ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. ইয়াছিন হোসেন ওরফে আরাফাত (১৪)। সে হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নেয়াজ আলী ব্যাপারীবাড়ির ইব্রাহীম খলিলের ছেলে। তবে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জেলার সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থী তার বাসায় পর্যবেক্ষণে আছে, তার ভেতরে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের টিকা নিতে গতকাল সকালে তার সহপাঠীদের সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। উপজেলার মোট সাতটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয় সেখানে।
করোনার টিকা নিয়ে বেরিয়ে এসে সে অন্য শিক্ষার্থীদের কাছে দাবি করে, দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী তার এক হাতে ‘তিনবার টিকা পুশ করেছে’।
হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ জানান, তার ছাত্র অভিযোগ করার পর বিষয়টি তারা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে ওই কিশোরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য।
চাটখিলের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বলেন, ওই কিশোরকে টিকা দিয়েছেন দিদার হোসেন নামের এক স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ ওঠায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যেটুকু ধারণা পাওয়া গেছে, ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ জানার পর টিকাদানকর্মীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমবার টিকা দেওয়ার সময় ছেলেটি জোরে হাত নাড়ে, ফলে টিকার তরল অংশ পড়ে যায়। তখন টিকাদানকর্মী তাকে আরেকটি নতুন টিকা দেন।
তিনি বলেন, তিনটি টিকা দেওয়ার যে অভিযোগ শিক্ষার্থী করেছে, সেটি ঠিক নয়। স্বাভাবিক নিয়মে এমনটি হওয়ার সুযোগ খুবই কম।
ছবি: সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে ‘২ মিনিটের ব্যবধানে একই হাতে পরপর ৩ বার’ করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার শীতাতপনিয়ন্ত্রণ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. ইয়াছিন হোসেন ওরফে আরাফাত (১৪)। সে হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নেয়াজ আলী ব্যাপারীবাড়ির ইব্রাহীম খলিলের ছেলে। তবে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জেলার সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থী তার বাসায় পর্যবেক্ষণে আছে, তার ভেতরে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের টিকা নিতে গতকাল সকালে তার সহপাঠীদের সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। উপজেলার মোট সাতটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয় সেখানে।
করোনার টিকা নিয়ে বেরিয়ে এসে সে অন্য শিক্ষার্থীদের কাছে দাবি করে, দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী তার এক হাতে ‘তিনবার টিকা পুশ করেছে’।
হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ জানান, তার ছাত্র অভিযোগ করার পর বিষয়টি তারা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে ওই কিশোরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য।
চাটখিলের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বলেন, ওই কিশোরকে টিকা দিয়েছেন দিদার হোসেন নামের এক স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ ওঠায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যেটুকু ধারণা পাওয়া গেছে, ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ জানার পর টিকাদানকর্মীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমবার টিকা দেওয়ার সময় ছেলেটি জোরে হাত নাড়ে, ফলে টিকার তরল অংশ পড়ে যায়। তখন টিকাদানকর্মী তাকে আরেকটি নতুন টিকা দেন।
তিনি বলেন, তিনটি টিকা দেওয়ার যে অভিযোগ শিক্ষার্থী করেছে, সেটি ঠিক নয়। স্বাভাবিক নিয়মে এমনটি হওয়ার সুযোগ খুবই কম।