মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে আলুর ৮-৯ টাকা কেজি দরে বিক্রে হচ্ছে। তার পরেও ক্রেতা নেই হাট বাজারগুলোতে। মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সিংগাইর, সাটুরিয়া ও হরিরামপুর এলাকা আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। প্রতিবছর মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে বিপুল পরিমাণ আলু উদ্পাদন হয়। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আলু সরবরাহ করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিনে হাট বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আলু উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু আলুর দাম না থাকায় এলাকার হাজার হাজার কৃষক আলু নিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন।
জানা গেছে, গত মৌসুমে মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে ব্যাপক আলু উৎপাদন হয়। এবং কৃষকের আলুর অধিক দাম পাবার কারণে এ বছরে লাভের আশায় এলাকার কৃষকেরা প্রচুর আলু আবাদ করে। কিন্তু আলুর বাজার ধস নামার কারণে হাজার হাজার কৃষকেরা লোকসানের কবলে পড়েছে। গতবছরে এই মৌসুমে প্রতি কেজি আলু কৃষকেরা ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করেছে। এবার সেই আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮-৯ দৌলতপুর উপজেলার ধামস্বর ইউনিয়নের কৃষক কালাম জানান, তিনি এবার ৩ একর জমিতে আলু আবাদ করেছে। গতবছর আলুর দাম ভাল থাকায় এ বছরে তিনে আলু আবকাদ করেন। কিন্তু আলু চাষ করে মাত্র ৮-৯ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তাও হাটবাজারগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। মানিকগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা আলু ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো। এবার আলু বিক্রি হচ্ছে হাট বাজারগুলোতে। প্রচুর আলু উৎপাদন হবার কারণে ন্যায্য দাম পাচ্ছে না কৃষকরা । এবার আলু চাষে কৃষকদের স্বপ্ন পুড়ে গেছে। প্রতি বছর তুলনামূলকভাবে এই মৌসুমে আলু বেশি থাকে। ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সিংগাইর, হরিরামপুর, সাটুরিয়া, বরংগাইল, তরা, উথলি,টেপরা, হাট বাজারে টাকা প্রতি কেজি আলু ৮-১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন খরচ, আগাছা দমন, বিজ বপন, মরিচ তোলা সব মিলিয়ে প্রতি কেজিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫-৩০ টাকা। ফলে প্রতি কেজি আলুতে লোকসান যাচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সিংগাইর উপজেলার আলু চাষি কমি মিয়া জানান, এবার কীটনাশক ও সারের দাম সবচেয়ে বেশি ছিল। আগাছা মদন, নিরানি দিয়ে আলুর জমিতে প্রচুর টাকা লেগেছে। কিন্তু বাজারগুলোতে আলুর দাম একেবারেই নেই। এক মণ আলু বিক্রি করে একজন কামলার দামও দেওয়া যাচ্ছে না। এবার আলু আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার আলু চাষ করে হাজার হাজার কৃষদের লোকসান হবে। তারপরেও হাটবাজার দুলোতে একেবারেই ক্রেতা নেই।
ঘিওর উপজেলার চরবাইলজুরি গ্রামের আলু চাষি সফর আলী জানান, আমার নিজস্ব জমি নেই । অন্যের জমি বর্গা নিয়ে এবার অলু চাষ করেছি। ৩ বিঘা জমিতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬ হাজার টাকার আলু বিক্রি করেছি। চলতি মৌসুমে উৎপাদন খরচ উঠবে না। তকে গতবছর করোনাকালীন সময়ে আলু আবাদ করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ করলেও এবার আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তবে সারকারিভাবে আলু মূল্য নির্ধারণের দাবি করেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। তবে বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে এক শ্রেণীর দালাল ফড়িয়ারা আলু দাম নির্ধারণ করে দেয়। মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (খামারবাড়ি) মো. শাহজাহান আলী বিশ^াস জানান, মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে প্রচুর আলু হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে হাট বাজারগুলোতে প্রচুর আলু দাম কম থাকায় কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় প্রচুর আবাদ হবার কারণে কৃষক আলুর দাম পাচ্ছে না। চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জে ৫ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে অলু আবাদ করা হয়েছে। আগামী সপ্তহের মধ্যে আলুর দাম বেড়ে যাবে। অর্থনীতির সূচক উঠানামা করায় বাজারে আলুর দাম কমে গেছে বলে তিনি জানান।
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে আলুর ৮-৯ টাকা কেজি দরে বিক্রে হচ্ছে। তার পরেও ক্রেতা নেই হাট বাজারগুলোতে। মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সিংগাইর, সাটুরিয়া ও হরিরামপুর এলাকা আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। প্রতিবছর মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে বিপুল পরিমাণ আলু উদ্পাদন হয়। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আলু সরবরাহ করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিনে হাট বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আলু উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু আলুর দাম না থাকায় এলাকার হাজার হাজার কৃষক আলু নিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন।
জানা গেছে, গত মৌসুমে মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে ব্যাপক আলু উৎপাদন হয়। এবং কৃষকের আলুর অধিক দাম পাবার কারণে এ বছরে লাভের আশায় এলাকার কৃষকেরা প্রচুর আলু আবাদ করে। কিন্তু আলুর বাজার ধস নামার কারণে হাজার হাজার কৃষকেরা লোকসানের কবলে পড়েছে। গতবছরে এই মৌসুমে প্রতি কেজি আলু কৃষকেরা ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করেছে। এবার সেই আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮-৯ দৌলতপুর উপজেলার ধামস্বর ইউনিয়নের কৃষক কালাম জানান, তিনি এবার ৩ একর জমিতে আলু আবাদ করেছে। গতবছর আলুর দাম ভাল থাকায় এ বছরে তিনে আলু আবকাদ করেন। কিন্তু আলু চাষ করে মাত্র ৮-৯ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তাও হাটবাজারগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। মানিকগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা আলু ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো। এবার আলু বিক্রি হচ্ছে হাট বাজারগুলোতে। প্রচুর আলু উৎপাদন হবার কারণে ন্যায্য দাম পাচ্ছে না কৃষকরা । এবার আলু চাষে কৃষকদের স্বপ্ন পুড়ে গেছে। প্রতি বছর তুলনামূলকভাবে এই মৌসুমে আলু বেশি থাকে। ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সিংগাইর, হরিরামপুর, সাটুরিয়া, বরংগাইল, তরা, উথলি,টেপরা, হাট বাজারে টাকা প্রতি কেজি আলু ৮-১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন খরচ, আগাছা দমন, বিজ বপন, মরিচ তোলা সব মিলিয়ে প্রতি কেজিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫-৩০ টাকা। ফলে প্রতি কেজি আলুতে লোকসান যাচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সিংগাইর উপজেলার আলু চাষি কমি মিয়া জানান, এবার কীটনাশক ও সারের দাম সবচেয়ে বেশি ছিল। আগাছা মদন, নিরানি দিয়ে আলুর জমিতে প্রচুর টাকা লেগেছে। কিন্তু বাজারগুলোতে আলুর দাম একেবারেই নেই। এক মণ আলু বিক্রি করে একজন কামলার দামও দেওয়া যাচ্ছে না। এবার আলু আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার আলু চাষ করে হাজার হাজার কৃষদের লোকসান হবে। তারপরেও হাটবাজার দুলোতে একেবারেই ক্রেতা নেই।
ঘিওর উপজেলার চরবাইলজুরি গ্রামের আলু চাষি সফর আলী জানান, আমার নিজস্ব জমি নেই । অন্যের জমি বর্গা নিয়ে এবার অলু চাষ করেছি। ৩ বিঘা জমিতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬ হাজার টাকার আলু বিক্রি করেছি। চলতি মৌসুমে উৎপাদন খরচ উঠবে না। তকে গতবছর করোনাকালীন সময়ে আলু আবাদ করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ করলেও এবার আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তবে সারকারিভাবে আলু মূল্য নির্ধারণের দাবি করেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। তবে বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে এক শ্রেণীর দালাল ফড়িয়ারা আলু দাম নির্ধারণ করে দেয়। মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (খামারবাড়ি) মো. শাহজাহান আলী বিশ^াস জানান, মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে প্রচুর আলু হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে হাট বাজারগুলোতে প্রচুর আলু দাম কম থাকায় কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় প্রচুর আবাদ হবার কারণে কৃষক আলুর দাম পাচ্ছে না। চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জে ৫ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে অলু আবাদ করা হয়েছে। আগামী সপ্তহের মধ্যে আলুর দাম বেড়ে যাবে। অর্থনীতির সূচক উঠানামা করায় বাজারে আলুর দাম কমে গেছে বলে তিনি জানান।