টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা শহরে অব্যবস্থাপনায় যানজট নিত্যসঙ্গী। জনগণকে পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। বাসস্ট্যান্ড চত্বরে পুলিশ থাকলেও ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় শহরের প্রাণ কেন্দ্রেই দীর্ঘ হচ্ছে যানজট। রাস্তায় দিনভর ট্রাক রেখে মালামাল খালাস করছে, ফুটপাথ দখল করে রেখেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাই দ্রুত পদক্ষেপের দাবি সচেতন মহলের। সচেতন মহলের দাবি, যাটজটের মূলে অটো রিকশা। অটোজট কমাতে গাড়িগুলোর গায়ে দুই কালার ব্যবহার করে একদিন লাল, একদিন সবুজ রঙ করে দিলে ভালো হয়। কোন পদক্ষেপ না থাকায় সুযোগ নিচ্ছে সবাই।
সরেজমিনে দেখা যায়, জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের ধনবাড়ী বাসস্টান্ডের প্রাণ কেন্দ্র কেন্দুয়া সড়ক। রাস্তার পাশে ১০/১৫টি সবজি ও ধানের আড়ৎ। দখলে ফুটপাত। ব্যস্ততম সড়কে চলাচল করছে হাজার মানুষ। দিনভর আড়ত মালিকরা রাস্তায় ট্রাক রেখে খালাস করছে মালামাল। ভাড়ি যান আসলেই লম্বা হচ্ছে যানজট। বিপাকে পড়ছে ৫ থেকে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
রেহায়ও পাচ্ছে না জরুরী সেবার গাড়ি, কর্মজীবী, শ্রমজীবীরাও। পরিস্থিতি সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে পুলিশ। রাস্তাতে দু’পাশে উঁচু মাটি থাকায় রাস্তা হয়েছে সুরু। বৃষ্টিতে হচ্ছে জলাবদ্ধতা। গাড়ির চাপ বাড়লে বাজারের বিকল্প রাস্তাতেও বাড়ছে চাপ। বাজার রোডের ব্যবসায়ীরা ফুটপাতও দিয়েছে ভাড়া। এতে করে চলাচলে আরেক ভোগান্তি। এদিকে, কোন বাস টার্মিনাল না থাকায় বাস, সিএনজি ও আটোতে রাস্তা থাকে দখলে। চার লেনের এই মহাসড়ক দুই লেনে চলে কয়েক জেলার গাড়ি।
পথচারী জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাইরে কি আর কমু। রাস্তার প্রত্যেকটা দোকানে সামনে ট্রাক খাড়া করাইয়ে থয়। তাগরে কেউ কিছুই কয় না। এহন বেক্কেই ভোগান্তিতে। বৃষ্টি হইলে রাস্তায় পানি থাকে। আসিয়া হাসান আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী অনামিকা ইয়াসমিন ও বিউটি আক্তার বলেন, বাসা থেকে সদরে আসতে ১৫ মিনিট লাগে। চৌরাস্তা থেকে কলেজের ৫ মিনিটের রাস্তায় আঁধা ঘণ্টাতেও যেতে পারি না।
কাঁচা মালের আড়ত ও ট্রাক সড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। সচেতন নাগরিক আনছার আলী ও শাহাদত হোসেন বলেন, অটোজট এখন বড় সদস্যা। এখন তিনগুণ অটো চলে। দুই রঙের করে শহর এলাকায় একদিন একদিন করে চলতে দিলে অটোজট কমবে। বাইপাস রাস্তা অতি জরুরী। কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া প্রয়োজন। কর্মজীবী আব্দুল বাসার বলেন, শুধু এটাই নয়। পুরো বাজারের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে। বাজার রোডের ব্যবাসায়ীরা ফুটপাত ভাড়া দিয়েছে। উদ্ধার করবে কে? এমন প্রশ্ন সংবাদ কর্মীদের জুড়ে দেন তিনি।
ধনবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, ব্যবসায়ীরা কোন কথা শুনে না। অনেকবার তাদের সতর্ক করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল বলেন, দোকান মালিকদের সর্তক করা হবে। দিনে কোন মালামাল খালাস করা যাবে না। বেদখলে যাওয়া ফুটপাতগুলো উদ্ধারে কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসলাম হোসাইন বলেন, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা মিটিয়েং আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা শহরে অব্যবস্থাপনায় যানজট নিত্যসঙ্গী। জনগণকে পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। বাসস্ট্যান্ড চত্বরে পুলিশ থাকলেও ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় শহরের প্রাণ কেন্দ্রেই দীর্ঘ হচ্ছে যানজট। রাস্তায় দিনভর ট্রাক রেখে মালামাল খালাস করছে, ফুটপাথ দখল করে রেখেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাই দ্রুত পদক্ষেপের দাবি সচেতন মহলের। সচেতন মহলের দাবি, যাটজটের মূলে অটো রিকশা। অটোজট কমাতে গাড়িগুলোর গায়ে দুই কালার ব্যবহার করে একদিন লাল, একদিন সবুজ রঙ করে দিলে ভালো হয়। কোন পদক্ষেপ না থাকায় সুযোগ নিচ্ছে সবাই।
সরেজমিনে দেখা যায়, জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের ধনবাড়ী বাসস্টান্ডের প্রাণ কেন্দ্র কেন্দুয়া সড়ক। রাস্তার পাশে ১০/১৫টি সবজি ও ধানের আড়ৎ। দখলে ফুটপাত। ব্যস্ততম সড়কে চলাচল করছে হাজার মানুষ। দিনভর আড়ত মালিকরা রাস্তায় ট্রাক রেখে খালাস করছে মালামাল। ভাড়ি যান আসলেই লম্বা হচ্ছে যানজট। বিপাকে পড়ছে ৫ থেকে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
রেহায়ও পাচ্ছে না জরুরী সেবার গাড়ি, কর্মজীবী, শ্রমজীবীরাও। পরিস্থিতি সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে পুলিশ। রাস্তাতে দু’পাশে উঁচু মাটি থাকায় রাস্তা হয়েছে সুরু। বৃষ্টিতে হচ্ছে জলাবদ্ধতা। গাড়ির চাপ বাড়লে বাজারের বিকল্প রাস্তাতেও বাড়ছে চাপ। বাজার রোডের ব্যবসায়ীরা ফুটপাতও দিয়েছে ভাড়া। এতে করে চলাচলে আরেক ভোগান্তি। এদিকে, কোন বাস টার্মিনাল না থাকায় বাস, সিএনজি ও আটোতে রাস্তা থাকে দখলে। চার লেনের এই মহাসড়ক দুই লেনে চলে কয়েক জেলার গাড়ি।
পথচারী জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাইরে কি আর কমু। রাস্তার প্রত্যেকটা দোকানে সামনে ট্রাক খাড়া করাইয়ে থয়। তাগরে কেউ কিছুই কয় না। এহন বেক্কেই ভোগান্তিতে। বৃষ্টি হইলে রাস্তায় পানি থাকে। আসিয়া হাসান আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী অনামিকা ইয়াসমিন ও বিউটি আক্তার বলেন, বাসা থেকে সদরে আসতে ১৫ মিনিট লাগে। চৌরাস্তা থেকে কলেজের ৫ মিনিটের রাস্তায় আঁধা ঘণ্টাতেও যেতে পারি না।
কাঁচা মালের আড়ত ও ট্রাক সড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। সচেতন নাগরিক আনছার আলী ও শাহাদত হোসেন বলেন, অটোজট এখন বড় সদস্যা। এখন তিনগুণ অটো চলে। দুই রঙের করে শহর এলাকায় একদিন একদিন করে চলতে দিলে অটোজট কমবে। বাইপাস রাস্তা অতি জরুরী। কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া প্রয়োজন। কর্মজীবী আব্দুল বাসার বলেন, শুধু এটাই নয়। পুরো বাজারের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে। বাজার রোডের ব্যবাসায়ীরা ফুটপাত ভাড়া দিয়েছে। উদ্ধার করবে কে? এমন প্রশ্ন সংবাদ কর্মীদের জুড়ে দেন তিনি।
ধনবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, ব্যবসায়ীরা কোন কথা শুনে না। অনেকবার তাদের সতর্ক করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল বলেন, দোকান মালিকদের সর্তক করা হবে। দিনে কোন মালামাল খালাস করা যাবে না। বেদখলে যাওয়া ফুটপাতগুলো উদ্ধারে কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসলাম হোসাইন বলেন, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা মিটিয়েং আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।