জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার মূল সড়ক ও যত্রতত্র এলএডিলাইট যুক্ত ব্যাটারী চালিত অবৈধ অটোরিক্সা চলাচলের কারণে দিন দিন রাস্তায় দূর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এ যেন দেখার কেও নেই।
সম্প্রতিএ দূর্ঘটনা সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাব থেকে সন্ধ্যায় মোটর সাইকেল যোগে মহাদান ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের নিজ বাড়ীতে ফিরছিলেন সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি যখন সেংগুয়ার ঠাকুর বাড়ি মোড়ে পৌছান তখন অপর দিক থেকে একটি ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন।অটোরিকশায় লাগানো ছিল তীর্যক সাদা আলোর এলিডিহেড লাইট। রাতে এই উজ্জ্বল আলোর কারণে কি ধরণের যানবাহন এবং অটোরিকশায় কি মালামাল বা যাত্রী রয়েছে তা চোখে পড়েনি মোস্তাফিজুর রহমানের। সেখানে অটোরিকশাটি মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দিলে উল্টে রাস্তায় নিচে পড়ে যান ওই সাংবাদিক। এতে অটোরিকশায় থাকা লোহার দরজার আঘাতে তার হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিনিয়তই তীর্যক উজ্জ্বল সাদা আলোর হেডলাইনের কারণে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে সরিষাবাড়ীবাসীকে।
জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বর্তমানে দুর্ঘটনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ইজিবাইক, ইঞ্জিনচালিত নছিমন, ও গাড়ির সাদা লাইটের আলো। অবৈধ যান হিসেবে খ্যাত এসব যানবাহনের হেডলাইটের সাদা আলোয় চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে পথচারীদের।
প্রতিদিন একটু সন্ধ্যা হলেই অবৈধ যানের চালকেরা তাঁদের সুবিধার্থে এলইডি লাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছেন। এলইডি আলোর রশ্মি এতই বেশি যে তার বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের চালক বা পথচারীদের সরাসরি চোখে পড়ে না। এ সময় চোখে দেখতে না পেয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।
সচেতন মহল দাবি করে বলেছে, সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই ক্ষতিকারক অবৈধ যানে সাদা এলইডি লাইট ব্যবহার বন্ধ করার জন্য সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। মহাদান এলাকার অটো ভ্যান চালক ছবুর মিয়া বলেন, অটোভ্যান তৈরি করার পর বেশি আলোর জন্য এই এলইডি লাইট ব্যবহার করা হয়। পোগলদিঘা ইউনিয়নের এলাকার সিএনজি চালক আলামিন বলেন, এইসব লাইটের ব্যবহারে ফলে রাস্তায় চলাচল করা অনেক কঠিন। প্রশাসনিক ভাবে এসব লাইটের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। বাংলাদেশ অটোবাইক কল্যান সোসাইটির সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ জানান, অটোরিকশা ক্রয় করার সময় গাড়ির সাথে যে লাইট দেয়া হয় সেটির আলোকরশ্মি সমস্যা নেই। কিন্তু চালকেরা বেশি আলোর জন্য এলিডি লাইট লাগিয়ে গাড়ী চালায়। এটি সম্পূর্ণভাবে অন্যায় এবং প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, গাড়িতে এলইডি লাইটের ব্যবহার নিয়ে এপর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। তবে এমন বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার মূল সড়ক ও যত্রতত্র এলএডিলাইট যুক্ত ব্যাটারী চালিত অবৈধ অটোরিক্সা চলাচলের কারণে দিন দিন রাস্তায় দূর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এ যেন দেখার কেও নেই।
সম্প্রতিএ দূর্ঘটনা সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাব থেকে সন্ধ্যায় মোটর সাইকেল যোগে মহাদান ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের নিজ বাড়ীতে ফিরছিলেন সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি যখন সেংগুয়ার ঠাকুর বাড়ি মোড়ে পৌছান তখন অপর দিক থেকে একটি ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন।অটোরিকশায় লাগানো ছিল তীর্যক সাদা আলোর এলিডিহেড লাইট। রাতে এই উজ্জ্বল আলোর কারণে কি ধরণের যানবাহন এবং অটোরিকশায় কি মালামাল বা যাত্রী রয়েছে তা চোখে পড়েনি মোস্তাফিজুর রহমানের। সেখানে অটোরিকশাটি মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দিলে উল্টে রাস্তায় নিচে পড়ে যান ওই সাংবাদিক। এতে অটোরিকশায় থাকা লোহার দরজার আঘাতে তার হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিনিয়তই তীর্যক উজ্জ্বল সাদা আলোর হেডলাইনের কারণে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে সরিষাবাড়ীবাসীকে।
জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বর্তমানে দুর্ঘটনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ইজিবাইক, ইঞ্জিনচালিত নছিমন, ও গাড়ির সাদা লাইটের আলো। অবৈধ যান হিসেবে খ্যাত এসব যানবাহনের হেডলাইটের সাদা আলোয় চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে পথচারীদের।
প্রতিদিন একটু সন্ধ্যা হলেই অবৈধ যানের চালকেরা তাঁদের সুবিধার্থে এলইডি লাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছেন। এলইডি আলোর রশ্মি এতই বেশি যে তার বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের চালক বা পথচারীদের সরাসরি চোখে পড়ে না। এ সময় চোখে দেখতে না পেয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।
সচেতন মহল দাবি করে বলেছে, সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই ক্ষতিকারক অবৈধ যানে সাদা এলইডি লাইট ব্যবহার বন্ধ করার জন্য সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। মহাদান এলাকার অটো ভ্যান চালক ছবুর মিয়া বলেন, অটোভ্যান তৈরি করার পর বেশি আলোর জন্য এই এলইডি লাইট ব্যবহার করা হয়। পোগলদিঘা ইউনিয়নের এলাকার সিএনজি চালক আলামিন বলেন, এইসব লাইটের ব্যবহারে ফলে রাস্তায় চলাচল করা অনেক কঠিন। প্রশাসনিক ভাবে এসব লাইটের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। বাংলাদেশ অটোবাইক কল্যান সোসাইটির সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ জানান, অটোরিকশা ক্রয় করার সময় গাড়ির সাথে যে লাইট দেয়া হয় সেটির আলোকরশ্মি সমস্যা নেই। কিন্তু চালকেরা বেশি আলোর জন্য এলিডি লাইট লাগিয়ে গাড়ী চালায়। এটি সম্পূর্ণভাবে অন্যায় এবং প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, গাড়িতে এলইডি লাইটের ব্যবহার নিয়ে এপর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। তবে এমন বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।