ফরিদপুরের নগরকান্দায় রাতের আঁধারে সরকারি পুকুরের জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করে নেয়া হয়েছে। গত ঈদের সময় থেকে পুকুরের জমি দখলের জোর চেষ্টা চলছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাতে ভূমিদস্যুরা সেটি ঘিরে নেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে গেছে, ইতোমধ্যে পুকুরের দক্ষিণ পাশে প্রায় এক চতুর্থাংশ জায়গা বাঁশ গেড়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সেখানে পুকুর ভরাট করে দোকান ঘর তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় নগরকান্দা পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দখলকারীদের নোটিস দেয়া হয়েছে। এরা হলেন ছাগলদি গ্রামের আবুল হোসেন ফকির, রাজিব হোসেন, সাইফুল আলম শরিফ, চৌমুখার জিল্লুর রহমান, শশার বদিউজ্জামান শরিফ ও নগরকান্দা সদরের মোশাররফ হোসেন মিয়াকে শুক্রবার এসব নোটিশ দেয়া হয়। অননুমোদিতভাবে তাদের সেখানে কোন স্থাপনা নির্মাণ বা ভরাট না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নগরকান্দা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির মাহমুদ বলেন, নগরকান্দা পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ের পাশেই প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গাজুড়ে পুকুরটি অবস্থিত। পুকুরের দক্ষিণে রাস্তা সংলগ্ন কিছু ব্যক্তিমালিকানা জমি রয়েছে। কিছু রয়েছে লিজ নেয়া। ওইসব জমিতে দোকান ঘর তোলা। ওই দোকান মালিকেরা এখন রাতারাতি পুকুরের প্রায় এক চতুর্থাংশ জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। পুকুরটি রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার বলেন, প্রায় ৩০ শতাংশ জমিজুড়ে পুকুরটি বিস্তৃত। রাতের আঁধারে ওই পুকুরের বিরাট অংশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করা হয়েছে। ওই জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি জানান, অনুমোদন না নিয়ে ওই পুকুরের জায়গা ভরাট করে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং স্ব শরীরে হাজির হয়ে এ ব্যাপারে জানানোর জন্য জবর দখলদারীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই পুকুরের জমি দখলকারীদের পক্ষে জিল্লুর রহমান নামে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুকুরের একপাশে বাঁশ গেড়ে দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই পুকুরের লাগোয়া তিন শতাংশ জমি রয়েছে তাদের তিন ভাইয়ের নামে। আমাদের দখলের ওই জমির পরিমাণ কমবেশি হতে পারে তাই আমরা পুকুরের একপাশে বাঁশ গেড়ে বেড়া দিয়েছি।
শনিবার, ২৮ মে ২০২২
ফরিদপুরের নগরকান্দায় রাতের আঁধারে সরকারি পুকুরের জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করে নেয়া হয়েছে। গত ঈদের সময় থেকে পুকুরের জমি দখলের জোর চেষ্টা চলছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাতে ভূমিদস্যুরা সেটি ঘিরে নেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে গেছে, ইতোমধ্যে পুকুরের দক্ষিণ পাশে প্রায় এক চতুর্থাংশ জায়গা বাঁশ গেড়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সেখানে পুকুর ভরাট করে দোকান ঘর তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় নগরকান্দা পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দখলকারীদের নোটিস দেয়া হয়েছে। এরা হলেন ছাগলদি গ্রামের আবুল হোসেন ফকির, রাজিব হোসেন, সাইফুল আলম শরিফ, চৌমুখার জিল্লুর রহমান, শশার বদিউজ্জামান শরিফ ও নগরকান্দা সদরের মোশাররফ হোসেন মিয়াকে শুক্রবার এসব নোটিশ দেয়া হয়। অননুমোদিতভাবে তাদের সেখানে কোন স্থাপনা নির্মাণ বা ভরাট না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নগরকান্দা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির মাহমুদ বলেন, নগরকান্দা পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ের পাশেই প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গাজুড়ে পুকুরটি অবস্থিত। পুকুরের দক্ষিণে রাস্তা সংলগ্ন কিছু ব্যক্তিমালিকানা জমি রয়েছে। কিছু রয়েছে লিজ নেয়া। ওইসব জমিতে দোকান ঘর তোলা। ওই দোকান মালিকেরা এখন রাতারাতি পুকুরের প্রায় এক চতুর্থাংশ জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। পুকুরটি রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার বলেন, প্রায় ৩০ শতাংশ জমিজুড়ে পুকুরটি বিস্তৃত। রাতের আঁধারে ওই পুকুরের বিরাট অংশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করা হয়েছে। ওই জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি জানান, অনুমোদন না নিয়ে ওই পুকুরের জায়গা ভরাট করে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং স্ব শরীরে হাজির হয়ে এ ব্যাপারে জানানোর জন্য জবর দখলদারীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই পুকুরের জমি দখলকারীদের পক্ষে জিল্লুর রহমান নামে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুকুরের একপাশে বাঁশ গেড়ে দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই পুকুরের লাগোয়া তিন শতাংশ জমি রয়েছে তাদের তিন ভাইয়ের নামে। আমাদের দখলের ওই জমির পরিমাণ কমবেশি হতে পারে তাই আমরা পুকুরের একপাশে বাঁশ গেড়ে বেড়া দিয়েছি।