ছবি: সংগৃহীত
চলামন এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানায় হওয়া মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এ নিয়ে গত দুই দিনে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
বুধবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হলেও বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাদের প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন ভুরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক সোহেল আল মামুন, পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া।
এর আগে বুধবার একই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন গ্রেপ্তারকৃত তিন জনকে কুড়িগ্রাম মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম জানান, প্রশ্ন ফাঁসের এ ঘটনায় শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালকের পক্ষে তিনি বৃহস্পতিবার নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়িত কেউ রেহাই পাবে না। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত শিক্ষা বিভাগের কারো কোনো দায়িত্বে অবহেলা অনিয়ম কিংবা দুর্নীতির সাথে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শামছুল আলম আরও জানান, দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম পৌঁছেছেন। তারা তাদের তদন্ত কার্যক্রমও শুরু করেছেন।
এদিকে কুড়িগ্রাম মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের ভূরুঙ্গামারী কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) সিরাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূরুঙ্গামারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজাহার আলী এক নম্বর আসামি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন করা হয় আদালতে।
বিচারক মো. সুমন আলী রিমান্ড এবং জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম এবং ২য় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে এলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসএসসির চারটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেন। এরপর রাতে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজির শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক জুবায়ের হোসাইনকে।
চারজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলাও হয় ভূরঙ্গমারী থানায়।
এদিকে বুধবার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে চারটি পরীক্ষা স্থগিতের কথা বলা হয়েছে। তবে সেটি যে প্রশ্ন ফাঁসের কারণেই করা হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। স্থগিত করা বিষয়গুলোর মধ্যে আছে গণিত, কৃষিবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞান।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। রিপোর্ট পেলে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
চলামন এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানায় হওয়া মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এ নিয়ে গত দুই দিনে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
বুধবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হলেও বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাদের প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন ভুরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক সোহেল আল মামুন, পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া।
এর আগে বুধবার একই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন গ্রেপ্তারকৃত তিন জনকে কুড়িগ্রাম মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম জানান, প্রশ্ন ফাঁসের এ ঘটনায় শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালকের পক্ষে তিনি বৃহস্পতিবার নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়িত কেউ রেহাই পাবে না। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত শিক্ষা বিভাগের কারো কোনো দায়িত্বে অবহেলা অনিয়ম কিংবা দুর্নীতির সাথে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শামছুল আলম আরও জানান, দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম পৌঁছেছেন। তারা তাদের তদন্ত কার্যক্রমও শুরু করেছেন।
এদিকে কুড়িগ্রাম মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের ভূরুঙ্গামারী কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) সিরাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূরুঙ্গামারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজাহার আলী এক নম্বর আসামি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন করা হয় আদালতে।
বিচারক মো. সুমন আলী রিমান্ড এবং জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম এবং ২য় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে এলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসএসসির চারটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেন। এরপর রাতে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজির শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক জুবায়ের হোসাইনকে।
চারজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলাও হয় ভূরঙ্গমারী থানায়।
এদিকে বুধবার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে চারটি পরীক্ষা স্থগিতের কথা বলা হয়েছে। তবে সেটি যে প্রশ্ন ফাঁসের কারণেই করা হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। স্থগিত করা বিষয়গুলোর মধ্যে আছে গণিত, কৃষিবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞান।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। রিপোর্ট পেলে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।