কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত কৃষক নজির আহমদ (৫০) ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (২৭) ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। তাঁরা দুই দিন অপহরণকারীদের বন্দিশালায় আটক ছিলেন।
গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী ও অপহৃত নজিরের শ্যালক নুর মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নজির আহমদ হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর মৃত উলা মিয়ার ছেলে।
তবে পুলিশের দাবি, ঘটনাটি অপহরণ নয়। গরুর ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাঁদের জিম্মি করা হয়েছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে কারা তাঁদের জিম্মি করেছিল, সে ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানায়নি।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ভোরে ওই দুজনসহ পাঁচ কৃষক খেতে কাজ করতে যান। সেখান থেকে তাঁদের ১০-১২ জন অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর মধ্যে স্থানীয় আবুল মঞ্জুরের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৫), ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও আবু বক্করের শিশুপুত্র মেহেদী হাসানকে (১২) ধান খেত থেকে এবং নজির আহমদ ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে শসা খেত থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। কৃষকদের স্বজনেরা দল বেঁধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ফেলে সন্ত্রাসীরা দুজনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরের দিকে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা পরিবারের কাছে ফোন করে প্রত্যেকের জন্য পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
নজির আহমদের শ্যালক নুর মোহাম্মদ জানান, ‘শনিবার বিকেলে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর আমার বড় বোনের স্বামী নজির আহমদ ও ভাগনে মোহাম্মদ হোসেনকে ছেড়ে দিয়েছে। টাকার জন্য বাবা-ছেলেকে মারধর করেছে ও হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা না করার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’
টেকনাফ মডেল পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, বিষয়টি অপহরণ নয়। গরু ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে দুজনকে জিম্মি করা হয়েছিল। পরে তাঁদের ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় এখনো মামলা করেননি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, পুলিশের তৎপরতায় এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত আছে।
রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত কৃষক নজির আহমদ (৫০) ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (২৭) ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। তাঁরা দুই দিন অপহরণকারীদের বন্দিশালায় আটক ছিলেন।
গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী ও অপহৃত নজিরের শ্যালক নুর মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নজির আহমদ হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর মৃত উলা মিয়ার ছেলে।
তবে পুলিশের দাবি, ঘটনাটি অপহরণ নয়। গরুর ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাঁদের জিম্মি করা হয়েছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে কারা তাঁদের জিম্মি করেছিল, সে ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানায়নি।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ভোরে ওই দুজনসহ পাঁচ কৃষক খেতে কাজ করতে যান। সেখান থেকে তাঁদের ১০-১২ জন অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর মধ্যে স্থানীয় আবুল মঞ্জুরের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৫), ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও আবু বক্করের শিশুপুত্র মেহেদী হাসানকে (১২) ধান খেত থেকে এবং নজির আহমদ ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে শসা খেত থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। কৃষকদের স্বজনেরা দল বেঁধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ফেলে সন্ত্রাসীরা দুজনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরের দিকে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা পরিবারের কাছে ফোন করে প্রত্যেকের জন্য পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
নজির আহমদের শ্যালক নুর মোহাম্মদ জানান, ‘শনিবার বিকেলে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর আমার বড় বোনের স্বামী নজির আহমদ ও ভাগনে মোহাম্মদ হোসেনকে ছেড়ে দিয়েছে। টাকার জন্য বাবা-ছেলেকে মারধর করেছে ও হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা না করার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’
টেকনাফ মডেল পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, বিষয়টি অপহরণ নয়। গরু ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে দুজনকে জিম্মি করা হয়েছিল। পরে তাঁদের ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় এখনো মামলা করেননি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, পুলিশের তৎপরতায় এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত আছে।