alt

সারাদেশ

টেকনাফে ২ দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন অপহৃত বাবা-ছেলে

প্রতিনিধি, কক্সবাজার : রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত কৃষক নজির আহমদ (৫০) ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (২৭) ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। তাঁরা দুই দিন অপহরণকারীদের বন্দিশালায় আটক ছিলেন।

গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী ও অপহৃত নজিরের শ্যালক নুর মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নজির আহমদ হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর মৃত উলা মিয়ার ছেলে।

তবে পুলিশের দাবি, ঘটনাটি অপহরণ নয়। গরুর ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাঁদের জিম্মি করা হয়েছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে কারা তাঁদের জিম্মি করেছিল, সে ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানায়নি।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ভোরে ওই দুজনসহ পাঁচ কৃষক খেতে কাজ করতে যান। সেখান থেকে তাঁদের ১০-১২ জন অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর মধ্যে স্থানীয় আবুল মঞ্জুরের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৫), ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও আবু বক্করের শিশুপুত্র মেহেদী হাসানকে (১২) ধান খেত থেকে এবং নজির আহমদ ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে শসা খেত থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। কৃষকদের স্বজনেরা দল বেঁধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ফেলে সন্ত্রাসীরা দুজনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরের দিকে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা পরিবারের কাছে ফোন করে প্রত্যেকের জন্য পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

নজির আহমদের শ্যালক নুর মোহাম্মদ জানান, ‘শনিবার বিকেলে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর আমার বড় বোনের স্বামী নজির আহমদ ও ভাগনে মোহাম্মদ হোসেনকে ছেড়ে দিয়েছে। টাকার জন্য বাবা-ছেলেকে মারধর করেছে ও হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা না করার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’

টেকনাফ মডেল পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, বিষয়টি অপহরণ নয়। গরু ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে দুজনকে জিম্মি করা হয়েছিল। পরে তাঁদের ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় এখনো মামলা করেননি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, পুলিশের তৎপরতায় এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত আছে।

ছবি

মুরাদনগরে ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি ৩৮ বিশিষ্ট নাগরিকের

ছবি

নওগাঁয় ৯০টি খামারে তৈরি হচ্ছে কেঁচো সার

বরমচাল চা বাগানের ইতি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

তারাগঞ্জ প্রাণীসম্পদ অফিস চত্বরে ফুলের চারাগাছ রোপন

বটিয়াঘাটায় ব্যবসায়ীদের মাঝে পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ বিতরণ

কলারোয়ায় আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে অভিযান

পীরগাছায় ছেলের অপরাধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বাবার ওপর নির্যাতন

নোয়াখালীতে বিধবাকে গণধর্ষণ

কাজে ফিরেছেন হিলি কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ছবি

প্লাস্টিকের বস্তায় চাল বাজারজাত করার জরিমানা

শিক্ষার্থীকে বস্তায় ভরে নির্যাতনের ঘটনায় শিক্ষক কারাগারে

সমিতির জমানো টাকা ফেরত না পেয়ে শোকে মৃত্যু

ছবি

নবীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩

কুষ্টিয়ায় সেতুর টোল আদায় বন্ধে দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, যানজট, ভোগান্তি

নড়াইলে এইচএসসিতে সেট পরিবর্তন কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে অব্যাহতি

ছবি

ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ১০

চিলমারী তেল ডিপো রক্ষায় কুড়িগ্রামে শ্রমিকদের মানববন্ধন

মোহনগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্পের জৌলুস

ছবি

চিলমারীতে অসময়ের বন্যা পাটচাষিরা চিন্তিত

ছবি

সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার পণ্য আটক করল সুনামগঞ্জ বিজিবি

প্রেমের টানে ভারতীয় যুবক লালমনিরহাটে

মহাদেবপুরে অতিরিক্ত ধানচাল মজুদ জেল-জরিমানা, ধান কেনা বন্ধ

ছবি

৬৭০ টাকার বীজ ধান ৭’শ ৫০ টাকা বিক্রি!

সন্তান জন্ম দিয়ে পরীক্ষা দিলেন অদম্য ইশা

জেলা আ.লীগের সভাপতি নাছির দুই দিনের রিমান্ডে

ছবি

বেনাপোল বন্দরে পানি নিষ্কাশনের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ফারিহা

ছবি

বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার রাস্তাটি এখন গলার কাঁটায়

কালীগঞ্জে হোল্ডিং ট্যাক্স ইস্যুতে পৌরবাসীর সঙ্গে ইউএনওর সরাসরি সংলাপ

ছবি

এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়ায় বেনাপোল বন্দরে কার্যক্রম শুরু

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৯,৬২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার

চট্টগ্রামে জন্ম থেকে ১৫ মাস বয়সী শিশুদের জন্য নতুন প্রকল্প : কার্যক্রম চলবে ৬ জেলায়

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযান আটক ৩

ছবি

নেত্রকোনায় চক্ষু চিকিৎসার নামে প্রতারণা

tab

সারাদেশ

টেকনাফে ২ দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন অপহৃত বাবা-ছেলে

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত কৃষক নজির আহমদ (৫০) ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (২৭) ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। তাঁরা দুই দিন অপহরণকারীদের বন্দিশালায় আটক ছিলেন।

গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী ও অপহৃত নজিরের শ্যালক নুর মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নজির আহমদ হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর মৃত উলা মিয়ার ছেলে।

তবে পুলিশের দাবি, ঘটনাটি অপহরণ নয়। গরুর ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাঁদের জিম্মি করা হয়েছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে কারা তাঁদের জিম্মি করেছিল, সে ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানায়নি।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ভোরে ওই দুজনসহ পাঁচ কৃষক খেতে কাজ করতে যান। সেখান থেকে তাঁদের ১০-১২ জন অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর মধ্যে স্থানীয় আবুল মঞ্জুরের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৫), ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও আবু বক্করের শিশুপুত্র মেহেদী হাসানকে (১২) ধান খেত থেকে এবং নজির আহমদ ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে শসা খেত থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। কৃষকদের স্বজনেরা দল বেঁধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ফেলে সন্ত্রাসীরা দুজনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরের দিকে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা পরিবারের কাছে ফোন করে প্রত্যেকের জন্য পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

নজির আহমদের শ্যালক নুর মোহাম্মদ জানান, ‘শনিবার বিকেলে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর আমার বড় বোনের স্বামী নজির আহমদ ও ভাগনে মোহাম্মদ হোসেনকে ছেড়ে দিয়েছে। টাকার জন্য বাবা-ছেলেকে মারধর করেছে ও হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা না করার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’

টেকনাফ মডেল পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, বিষয়টি অপহরণ নয়। গরু ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে দুজনকে জিম্মি করা হয়েছিল। পরে তাঁদের ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় এখনো মামলা করেননি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, পুলিশের তৎপরতায় এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত আছে।

back to top