২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৭০ জন ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালে এখন ভর্তি আছে ২ হাজার ১৫৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে দুইজন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৬৩ জন।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি অ্যান্ড অপারেশন সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৮ হাজার ৬৪৬ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৬ হাজার ৪২৭ জন।
হাসপাতালের তথ্য মতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৬ জন, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ১৫ জন ভর্তি হয়েছে। ইউনাইটেড হাসপাতালে ১৫ জন, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৯ জন ভর্তি হয়েছে।
ঢাকার বাইরে মাদারীপুরে ১৩ জন, চট্টগ্রামে ২০ জন, বরগুনায় ৪ জনসহ বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগ ভর্তি হয়েছে। মাসিক তথ্যে জানা গেছে, চলতি মাসের বুধবার সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৫৫৪জন।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান আবহাওয়া ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তারের জন্য উপযোগী। আর থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার ঘটছে।
হাসপাতাল ও বাসাবাড়িতে আক্রান্তরা অনেকেই মশারি টানিয়ে ঘুমান না। আবার অনেকের মশারিও নেই। আবার জেলা পর্যায়ে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনে পর্যটকদের মশারি ছাড়াই ঘুমাতে দেয়া হয়। আবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনেকেই মশারি ছাড়াই ঘুমায়। এ কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নতুন করে কোন মশা কামড় দিয়ে আবার সুস্থ ব্যক্তিকে একই মশা কামড় দিলে সেও নতুন করে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন গ্রামগঞ্জে পাকা রাস্তা ও বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে নির্মণাধীন ভবনের ছাদে বা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার ঘটছে। এভাবে ডেঙ্গুজ্বর এখন শহর থেকে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বছরজুড়ে এডিশ মশা দমন করতে হয়। কিন্তু তা না করায় সর্বত্রই মশার বিস্তার, বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, এমনকি যানবাহনে মশা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়ায়। ফলে দিন দিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
তাই মশা থেকে বাঁচতে নিজেদের সতর্ক হয়ে থাকতে হবে। নিজের বাসাবাড়ি নিজেদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। সবাই সচেতন ও সতর্ক হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।
বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৭০ জন ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালে এখন ভর্তি আছে ২ হাজার ১৫৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে দুইজন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৬৩ জন।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি অ্যান্ড অপারেশন সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৮ হাজার ৬৪৬ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৬ হাজার ৪২৭ জন।
হাসপাতালের তথ্য মতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৬ জন, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ১৫ জন ভর্তি হয়েছে। ইউনাইটেড হাসপাতালে ১৫ জন, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৯ জন ভর্তি হয়েছে।
ঢাকার বাইরে মাদারীপুরে ১৩ জন, চট্টগ্রামে ২০ জন, বরগুনায় ৪ জনসহ বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগ ভর্তি হয়েছে। মাসিক তথ্যে জানা গেছে, চলতি মাসের বুধবার সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৫৫৪জন।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান আবহাওয়া ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তারের জন্য উপযোগী। আর থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার ঘটছে।
হাসপাতাল ও বাসাবাড়িতে আক্রান্তরা অনেকেই মশারি টানিয়ে ঘুমান না। আবার অনেকের মশারিও নেই। আবার জেলা পর্যায়ে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনে পর্যটকদের মশারি ছাড়াই ঘুমাতে দেয়া হয়। আবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনেকেই মশারি ছাড়াই ঘুমায়। এ কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নতুন করে কোন মশা কামড় দিয়ে আবার সুস্থ ব্যক্তিকে একই মশা কামড় দিলে সেও নতুন করে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন গ্রামগঞ্জে পাকা রাস্তা ও বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে নির্মণাধীন ভবনের ছাদে বা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিশ মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার ঘটছে। এভাবে ডেঙ্গুজ্বর এখন শহর থেকে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বছরজুড়ে এডিশ মশা দমন করতে হয়। কিন্তু তা না করায় সর্বত্রই মশার বিস্তার, বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, এমনকি যানবাহনে মশা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়ায়। ফলে দিন দিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
তাই মশা থেকে বাঁচতে নিজেদের সতর্ক হয়ে থাকতে হবে। নিজের বাসাবাড়ি নিজেদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। সবাই সচেতন ও সতর্ক হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।