ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাই ও ভাবীকে কোদাল দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মারত্মক জখম করার ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে ঐ ইউনিয়নের মধ্য বিএসডাঙ্গী গ্রামে সরোয়ার হোসেনের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ঐ এলাকার বাসিন্দা মৃত হাসেম তালুকদারের ছেলে মো: সরোয়ার তালুকদার(৫৬) এবং তার স্ত্রী শাহানাজ পারভীন(৪০)।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদেরকে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে সরোয়ার হোসেন মাথার জখম বেশি গুরতর হওয়ায় তাকে ও তার স্ত্রীকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
ঘটনার বিবরনে সরোয়ার তালুকদারের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন জানান ‘ঘটনার দিন সকালে তাদের বসত ঘরের সামনে তার দেবর রাজু তালুকদার(৩৫) কোদাল দিয়ে মাটি খুরে গর্ত করতে থাকে।ঘরের সামনে গর্ত করতে সরোয়ার হোসেন নিষেধ করায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতে থাকা কোদাল দিয়ে রাজু সরোয়ার তালুকদারকে কোপাতে থাকে। এ সময় সরোয়ার তালুকদোরের স্ত্রী শাহানাজ বেগম তার স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে সাইদ তালুকদার (৫০) ও রাজু মিলে শাহানাজকেও কিল ঘুসি ও কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে ‘
এ ঘটনার ব্যাপারে রাজুর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে মুঠোফেনে সাইদ তালুকদার তাদের মধ্যে জমিজমার বিরোধের কথা স্বীকার করেন। তবে সরোয়ারকে কোপনোর কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন সকালের খাবার খাচ্ছিলেন তিনি এর মধ্যে হইচই শুনে এগিয়ে দেখেন সরোয়ারকে আহত করা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ খান বলেন ‘সরোয়ার ও সাঈদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।বিরোধ নিরশনে কয়েক ধাপে শালিস হয়েছে।আজ যে ঘটনা ঘটেছে এটা কিছুতেই কাম্য নয়।’
এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ঋতু সারিন বলেন, ‘সকালে দুইজন চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। একজনের মাথার ক্ষত বেশ গুরতর থাকায় রক্ত পরা বন্ধকরার জন্য প্রাথমিক ভাবে ব্যান্ডেজ করে উন্নত চিকিত্সার জন্য তাদেরকে ফরিদপুরে রেফার্ড করা হয়েছে।’
চরভদ্রাসন থানা অফিসার ইনচার্জ মিন্টু মন্ডল বলেন, ‘মারামারির ঘটনা শুনে তিনি পুলিশ পাঠিয়েছি।আহতরা চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে গিয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি ‘
অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাই ও ভাবীকে কোদাল দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মারত্মক জখম করার ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে ঐ ইউনিয়নের মধ্য বিএসডাঙ্গী গ্রামে সরোয়ার হোসেনের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ঐ এলাকার বাসিন্দা মৃত হাসেম তালুকদারের ছেলে মো: সরোয়ার তালুকদার(৫৬) এবং তার স্ত্রী শাহানাজ পারভীন(৪০)।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদেরকে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে সরোয়ার হোসেন মাথার জখম বেশি গুরতর হওয়ায় তাকে ও তার স্ত্রীকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
ঘটনার বিবরনে সরোয়ার তালুকদারের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন জানান ‘ঘটনার দিন সকালে তাদের বসত ঘরের সামনে তার দেবর রাজু তালুকদার(৩৫) কোদাল দিয়ে মাটি খুরে গর্ত করতে থাকে।ঘরের সামনে গর্ত করতে সরোয়ার হোসেন নিষেধ করায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতে থাকা কোদাল দিয়ে রাজু সরোয়ার তালুকদারকে কোপাতে থাকে। এ সময় সরোয়ার তালুকদোরের স্ত্রী শাহানাজ বেগম তার স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে সাইদ তালুকদার (৫০) ও রাজু মিলে শাহানাজকেও কিল ঘুসি ও কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে ‘
এ ঘটনার ব্যাপারে রাজুর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে মুঠোফেনে সাইদ তালুকদার তাদের মধ্যে জমিজমার বিরোধের কথা স্বীকার করেন। তবে সরোয়ারকে কোপনোর কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন সকালের খাবার খাচ্ছিলেন তিনি এর মধ্যে হইচই শুনে এগিয়ে দেখেন সরোয়ারকে আহত করা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ খান বলেন ‘সরোয়ার ও সাঈদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।বিরোধ নিরশনে কয়েক ধাপে শালিস হয়েছে।আজ যে ঘটনা ঘটেছে এটা কিছুতেই কাম্য নয়।’
এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ঋতু সারিন বলেন, ‘সকালে দুইজন চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। একজনের মাথার ক্ষত বেশ গুরতর থাকায় রক্ত পরা বন্ধকরার জন্য প্রাথমিক ভাবে ব্যান্ডেজ করে উন্নত চিকিত্সার জন্য তাদেরকে ফরিদপুরে রেফার্ড করা হয়েছে।’
চরভদ্রাসন থানা অফিসার ইনচার্জ মিন্টু মন্ডল বলেন, ‘মারামারির ঘটনা শুনে তিনি পুলিশ পাঠিয়েছি।আহতরা চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে গিয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি ‘
অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।