কারাগারের মধ্যে বসে মজাদার নানান দেশী ও চায়নিজ খাবার পাওয়া যায় - বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিভিন্ন স্থান থেকে নারী পুরুষ আসছেন কারাগারের খাবার স্বাদ নিতে। না এটা বাস্তবের কারগার নয়। রংপুর নগরীর পার্কের মোড় এলাকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের কাছেই একটি হোটেলের নাম কারাগার হোটেল। সেখানে কারাগারের আদলেই তৈরী করা হয়েছে হোটেলটি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে রংপুর নগরীর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কারাগার নামে একটি হোটেল চালু করা হয়েছে অতিসম্প্রতি। ভেতরে কারাগারের আদলে লোহার শিক দিয়ে তৈরী করা হয়েছে হোটেলের কক্ষগুলো। কারাগারের মতো লোহার শিক দিয়ে মাথা নীচু করে ভেতরে প্রবেশ করতে হয় খদ্দেরদের। হোটেলের ভেতরে প্রবেশ করলে মনে হবে যেন কারাগারের মধ্যে আছি।
এ ছাড়াও ফাঁসির মঞ্চের আদলে নির্মারন করা হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। নতুন হোটেলের খদ্দের প্রথম দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলেও এখন নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন নানা শ্রেনী পেশার নারী পুরুষ।
অনেকেই ছবি তোলেন কারাগারে আটক থাকার মতো করে। তবে বেশিরভাগ খদ্দের বলেন সত্যিকার কারাগারে যেতে চাইনা। মুলত মজা করতেই হোটেলে আসা।
খদ্দেরদের পছন্দের কথা ভেবে বাহারী ধরনের বিভিন্ন চাইনিজ ও দেশীয় খাবার তৈরী করা হয়। রান্নার মানও ভালো। সব মিলিয়ে কারাগার নামে হোটেলটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে নগরীতে।
কারাগার হোটেলটি বৈশিষ্ট হচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা যায় কারাগারের প্রধান ফটকের আদলেই লোহার রড দিয়ে একটি প্রবেশ পথ তৈরী করা হয়েছে। সেখানে প্রবেশ করার সময় লোহার গেট খুলে মাথা নীচু করে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়।
ভেতরে কারাগারের মতোই লোহার রড দিয়ে কারাগার বানানো হয়েছে। ভেতরে সারি সারি টেবিল বসানো হয়েছে। যে কেউ ভেতরে প্রবেশ করে কারাগারের স্বাদ নিতে পারে। বাইরে থেকে ঠিক কারাগারের যে দৃশ্য ঠিক ওই রকমেই মনে হবে।
ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেল লোহার গেটটের ভেতরে আসামী অথবা কয়েদীর মতো দাঁড়িয়ে আছে। বাইরে থেকে কথা বলছে ভেতরে থাকা ব্যাক্তির সাথে। যারাই আসেন তারা মোবাইল ফোনে সেলফি তোলেন।
নগরীর সিও বাজার এলাকা থেকে এসেছেন লাভলু ও তার বন্ধু মারুফ। তারা বললেন সামাজিক যোগাযেুাগ মাধ্যমে কারাগার হোটেলের কথা দেখে কারাগার হোটেলে এসেছেন তারা। এ যেন সত্যিকার কারাগার মনে হয়। একটু মজা করার জন্য কারাগারের ভেতরে আর বাইরে দুজন দুবার দাঁড়িয়ে থেকে কথা বলার মতো করে মোবাইল ফোনে ছবি তুলেছি। এ ছাড়া নিজের সেলফি তুলেছি। ভেতরে ফাঁসির মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা হয়েছে। পরে চিকেন বারাগার আর কোল্ড ড্রিংক পান করেছি। নকল কারাগারে বেশ কিছুক্ষন অবস্থান করে এনজয় করলাম আরকি।
খুলনা থেকে স্বজনের বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে রংপুরে এসেছেন আশরাফ আর সাবিহা দম্পতি। তারাও কারাগার হোটেলের কথা শুনে দেখতে এসেছেন বলে জানালেন। তারা অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে আশরাফ বললেন একবার পুলিশী ঝামেলায় পড়ে একরাত থানা হাজতে থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। সে অসহনীয় পরিস্থিতি, সারারাত মশার কামড় আর দুগর্ন্ধ, সে স্মৃতি এখনও মনে হলে শিউরে উঠি।
কারাগার হোটেলে বেশির ভাগ নারী পুরুষ যুবক যুবতী। লোকজন মুলত খাদ্য খাওয়ার চাইতে সেলফি তুলতেই আসেন বলে কর্মচারী লোকমান।
কারাগার হোটেলের মালিক আমিনুর রহমান জানান খদ্দেরদের ভিন্ন স্বাদ দিতেই তার নতুন কনসেপ্ট কারাগার হোটেল। দুর দুরান্ত থেকে মানুষ আসেন কারাগারের আদলে নির্মিত হোটেলটিতে। ভেতরে ডেকোরেশনও ভালো রুচি সম্মত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন তিনি।
শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২
কারাগারের মধ্যে বসে মজাদার নানান দেশী ও চায়নিজ খাবার পাওয়া যায় - বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিভিন্ন স্থান থেকে নারী পুরুষ আসছেন কারাগারের খাবার স্বাদ নিতে। না এটা বাস্তবের কারগার নয়। রংপুর নগরীর পার্কের মোড় এলাকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের কাছেই একটি হোটেলের নাম কারাগার হোটেল। সেখানে কারাগারের আদলেই তৈরী করা হয়েছে হোটেলটি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে রংপুর নগরীর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কারাগার নামে একটি হোটেল চালু করা হয়েছে অতিসম্প্রতি। ভেতরে কারাগারের আদলে লোহার শিক দিয়ে তৈরী করা হয়েছে হোটেলের কক্ষগুলো। কারাগারের মতো লোহার শিক দিয়ে মাথা নীচু করে ভেতরে প্রবেশ করতে হয় খদ্দেরদের। হোটেলের ভেতরে প্রবেশ করলে মনে হবে যেন কারাগারের মধ্যে আছি।
এ ছাড়াও ফাঁসির মঞ্চের আদলে নির্মারন করা হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। নতুন হোটেলের খদ্দের প্রথম দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলেও এখন নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন নানা শ্রেনী পেশার নারী পুরুষ।
অনেকেই ছবি তোলেন কারাগারে আটক থাকার মতো করে। তবে বেশিরভাগ খদ্দের বলেন সত্যিকার কারাগারে যেতে চাইনা। মুলত মজা করতেই হোটেলে আসা।
খদ্দেরদের পছন্দের কথা ভেবে বাহারী ধরনের বিভিন্ন চাইনিজ ও দেশীয় খাবার তৈরী করা হয়। রান্নার মানও ভালো। সব মিলিয়ে কারাগার নামে হোটেলটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে নগরীতে।
কারাগার হোটেলটি বৈশিষ্ট হচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা যায় কারাগারের প্রধান ফটকের আদলেই লোহার রড দিয়ে একটি প্রবেশ পথ তৈরী করা হয়েছে। সেখানে প্রবেশ করার সময় লোহার গেট খুলে মাথা নীচু করে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়।
ভেতরে কারাগারের মতোই লোহার রড দিয়ে কারাগার বানানো হয়েছে। ভেতরে সারি সারি টেবিল বসানো হয়েছে। যে কেউ ভেতরে প্রবেশ করে কারাগারের স্বাদ নিতে পারে। বাইরে থেকে ঠিক কারাগারের যে দৃশ্য ঠিক ওই রকমেই মনে হবে।
ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেল লোহার গেটটের ভেতরে আসামী অথবা কয়েদীর মতো দাঁড়িয়ে আছে। বাইরে থেকে কথা বলছে ভেতরে থাকা ব্যাক্তির সাথে। যারাই আসেন তারা মোবাইল ফোনে সেলফি তোলেন।
নগরীর সিও বাজার এলাকা থেকে এসেছেন লাভলু ও তার বন্ধু মারুফ। তারা বললেন সামাজিক যোগাযেুাগ মাধ্যমে কারাগার হোটেলের কথা দেখে কারাগার হোটেলে এসেছেন তারা। এ যেন সত্যিকার কারাগার মনে হয়। একটু মজা করার জন্য কারাগারের ভেতরে আর বাইরে দুজন দুবার দাঁড়িয়ে থেকে কথা বলার মতো করে মোবাইল ফোনে ছবি তুলেছি। এ ছাড়া নিজের সেলফি তুলেছি। ভেতরে ফাঁসির মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা হয়েছে। পরে চিকেন বারাগার আর কোল্ড ড্রিংক পান করেছি। নকল কারাগারে বেশ কিছুক্ষন অবস্থান করে এনজয় করলাম আরকি।
খুলনা থেকে স্বজনের বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে রংপুরে এসেছেন আশরাফ আর সাবিহা দম্পতি। তারাও কারাগার হোটেলের কথা শুনে দেখতে এসেছেন বলে জানালেন। তারা অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে আশরাফ বললেন একবার পুলিশী ঝামেলায় পড়ে একরাত থানা হাজতে থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। সে অসহনীয় পরিস্থিতি, সারারাত মশার কামড় আর দুগর্ন্ধ, সে স্মৃতি এখনও মনে হলে শিউরে উঠি।
কারাগার হোটেলে বেশির ভাগ নারী পুরুষ যুবক যুবতী। লোকজন মুলত খাদ্য খাওয়ার চাইতে সেলফি তুলতেই আসেন বলে কর্মচারী লোকমান।
কারাগার হোটেলের মালিক আমিনুর রহমান জানান খদ্দেরদের ভিন্ন স্বাদ দিতেই তার নতুন কনসেপ্ট কারাগার হোটেল। দুর দুরান্ত থেকে মানুষ আসেন কারাগারের আদলে নির্মিত হোটেলটিতে। ভেতরে ডেকোরেশনও ভালো রুচি সম্মত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন তিনি।