কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় টাকা চুরির অপবাদ দেওয়ায় এক শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার সহকর্মীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন জানান, আগের রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর নোয়াপাড়া এলাকার ডোবা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করেন তারা।
নিহত মনজুরুল ইসলামের (২৬) বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মনজুরুলের সহকর্মী ১৯ বছর বয়সী নাহিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাহিদের বাড়ি রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার উজিয়াল ডাক্তারপাড়া এলাকায়।
দুজনই বুড়িচংয়ের দুর্গাপুর নোয়াপাড়া এলাকায় আক্তার হোসেনের গরুর খামারে কাজ করতেন বলে পুলিশ জানায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, মনজুরুলের টাকা চুরি যাওয়ায় নাহিদকে চোর বলে সন্দেহ করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাহিদ ১৩ জানুয়ারি রাতে মনজুরুলকে হত্যা করে। এরপর লাশ বস্তায় ভরে পাশের একটি ডোবায় পুঁতে রাখে।
এদিকে মনজুরুলকে খুঁজে না পেয়ে সোমবার বিকালে বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার ছোট ভাই রংপুরের মোস্তাকিন মিয়া। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন নাহিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মনজুরুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পরে নাহিদের দেওয়া তথ্যে মনজুরুলের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা কামরান হোসেন। নাহিদের বরাতে কামরান সাংবাদিকদের বলেন, মনজুরুল গরুর ফার্মে চাকরির পাশাপাশি সময় পেলে অন্যের বাড়িতে দৈনিক মজুরিতে কৃষি কাজ করতেন। ঘটনার দিন রাতে মনজুরুলের পকেটে থাকা ১৪’শ টাকা খোয়া যায়।
“তখন মনজুরুল দাবি করেন তার টাকা হারিয়ে যায়নি; এই টাকা নাহিদ চুরি করেছে । বিষয়টি নিয়ে ওইদিন দুজনের মধ্য বাকবিতণ্ডাও হয়।”
তিনি আরও বলেন, মনজুরুল ঘটনাটি স্থানীয়দের ডেকে জানায় এবং পরে ঘুমিয়ে যায়। এতে রেগে গিয়ে রাত সাড়ে ১১টায় নাহিদ ঘুমন্ত অবস্থায় মনজুরুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
“এরপর লাশ গায়েব করতে গরুর খামারের পাশের একটি ডোবায় লাশ বস্তাবন্দি করে লুকিয়ে রাখে।”
বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মনজুরুলের ছোট ভাই মোস্তাকিন মিয়া বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নাহিদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় টাকা চুরির অপবাদ দেওয়ায় এক শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার সহকর্মীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন জানান, আগের রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর নোয়াপাড়া এলাকার ডোবা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করেন তারা।
নিহত মনজুরুল ইসলামের (২৬) বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মনজুরুলের সহকর্মী ১৯ বছর বয়সী নাহিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাহিদের বাড়ি রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার উজিয়াল ডাক্তারপাড়া এলাকায়।
দুজনই বুড়িচংয়ের দুর্গাপুর নোয়াপাড়া এলাকায় আক্তার হোসেনের গরুর খামারে কাজ করতেন বলে পুলিশ জানায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, মনজুরুলের টাকা চুরি যাওয়ায় নাহিদকে চোর বলে সন্দেহ করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাহিদ ১৩ জানুয়ারি রাতে মনজুরুলকে হত্যা করে। এরপর লাশ বস্তায় ভরে পাশের একটি ডোবায় পুঁতে রাখে।
এদিকে মনজুরুলকে খুঁজে না পেয়ে সোমবার বিকালে বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার ছোট ভাই রংপুরের মোস্তাকিন মিয়া। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন নাহিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মনজুরুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পরে নাহিদের দেওয়া তথ্যে মনজুরুলের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা কামরান হোসেন। নাহিদের বরাতে কামরান সাংবাদিকদের বলেন, মনজুরুল গরুর ফার্মে চাকরির পাশাপাশি সময় পেলে অন্যের বাড়িতে দৈনিক মজুরিতে কৃষি কাজ করতেন। ঘটনার দিন রাতে মনজুরুলের পকেটে থাকা ১৪’শ টাকা খোয়া যায়।
“তখন মনজুরুল দাবি করেন তার টাকা হারিয়ে যায়নি; এই টাকা নাহিদ চুরি করেছে । বিষয়টি নিয়ে ওইদিন দুজনের মধ্য বাকবিতণ্ডাও হয়।”
তিনি আরও বলেন, মনজুরুল ঘটনাটি স্থানীয়দের ডেকে জানায় এবং পরে ঘুমিয়ে যায়। এতে রেগে গিয়ে রাত সাড়ে ১১টায় নাহিদ ঘুমন্ত অবস্থায় মনজুরুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
“এরপর লাশ গায়েব করতে গরুর খামারের পাশের একটি ডোবায় লাশ বস্তাবন্দি করে লুকিয়ে রাখে।”
বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মনজুরুলের ছোট ভাই মোস্তাকিন মিয়া বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নাহিদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।