রাজশাহী : আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় কর্মব্যস্ত বাসিন্দারা -সংবাদ
দুর্গাপুর পৌর বাজার থেকে উত্তরে প্রায় তিন কিলোমিটার পিচঢালা পথ পেরোলে উপজেলার দেবীপুর গ্রামে আশ্রয়নে সারি সারি রঙিন ঘর। দূর থেকে দেখলে মনে হয় পাকা এ ঘরগুলোর টিনের চালা যেন ‘লাল-সবুজের’ পতাকা। এর এক পাশে রয়েছে পিচঢালা পথ ঘেষে বারণয় নদীর পাশে সবুজের সমাহার।
ঘরের পাশে মাচায় লকলকিয়ে বাড়ছে সিম আর লাউ, নিচের গাছে ঝুলছে ছোট ছোট বেগুন ও লাল-সবুজ টমেটো। এক কোণে পালং ও লালশাকও মাটি ফুঁড়ে উঠেছে ইঞ্চি দুয়েক। রয়েছে পেপে, কলাসহ শীতকালীণ নানা সবজি। গাছে গাছে আমের মুকুল জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমন। আশ্রয়নে নানা জাতের ফলের বাগান দিন দিন এ পল্লীকে সমৃদ্ধ করছে। এর পাশেই সুবাস ছড়াচ্ছে গাছের বাহারী রঙিন ফুল।
রয়েছে হাস-মুরগি আর গবাদী পশু পালনের সুব্যবস্থা। এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে খেলছে শিশু-কিশোরের দল। পুরুষরা ছুটছেন দৈনন্দিন কাজে। নারীদের কেউ কেউ ব্যস্ত হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগলে কাজ নিয়ে আর নিজ আঙিনায় গড়ে তোলা সবজি বাগানের পরিচর্যা নিয়ে।
রঙিন টিনের আধাপাকা ঘরগুলো দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। এ যেন এক খন্ড শান্তির নীড়। এই নীড়েই সুখের স্বপ্ন গড়েছেন সহায়-সম্বলহীন এক দল নারী-পুরুষ। নদী, খাল ও সড়কের গাঁ ঘেঁষে গড়ে ওঠা আশ্রয়ন প্রকল্পের এই পল্লীতে এ উপজেলায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের শান্তির বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩১২। জনসংখ্যার হিসাবে এখানে শতাধিক নারী-পুরুষের বসতি। তাদের জীবনের শুরুটা ভূমিহীন হলেও এখন তারা আর ভূমিহীন নয়। প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীনদের শান্তির বসবাস জন্য শুধু ঘর নয় নিজ নামে জমি লিখে দিয়েছেন।
এতে তারা হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু পালন ও সবজির বাগানসহ নানা উপায়ে স্বাবলম্বী এ মানুষগুলো। শিক্ষার ছোঁয়াও লেগেছে তাদের মধ্যে। আশ্রয়নে বসবাসরত অর্ধশত ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। দেবীপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের তিন থেকে সাড়ে চার শত গজের মধ্যেই মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থান। ফলে এ আশ্রয়নে শিক্ষার প্রভাবও পড়েছে। এতে আশশ্রনের উন্নয়নও ঘটেছে।
সরেজমিনে দেবীপুর আশ্রয়নে গিয়ে দেখা যায়, ছোট পরিসরে আদর্শ রঙিন ছিমছাম সারি সারি ঘর। আর সেই সুখনিলয়ের আঙিনায় সবজি খেতে কাজ করছিলেন মুনজুয়ারা বেগম (৫০) নামের এক নারী। ২০ বছর আগে একমাত্র ছেলে এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে নিয়ে তিনি দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন থেকে জীবন-জীবিকার তাগিদে তেঁতুলতোলায় আসেন। পৌর বাজারের ৬নং ওয়ার্ডে রাস্তার পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় বসবাস করে এলজিডি’র রাস্তার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
জমিসহ সুন্দর পাকা ঘর করে দেওয়ায় মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণভরে আশীর্বাদ করেন তিনি। আরেক বাসিন্দা আমিনুলের স্ত্রী বেদেনা (৩২) জানান, এর আগে তারা মাড়িয়া ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামে মানুষের বাড়িতে থাকতেন। মনোরম পরিবেশে জমিসহ রঙিন পাকা ঘর পেয়ে তারা আবেগাপ্লুত।
রাজশাহী : আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় কর্মব্যস্ত বাসিন্দারা -সংবাদ
শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩
দুর্গাপুর পৌর বাজার থেকে উত্তরে প্রায় তিন কিলোমিটার পিচঢালা পথ পেরোলে উপজেলার দেবীপুর গ্রামে আশ্রয়নে সারি সারি রঙিন ঘর। দূর থেকে দেখলে মনে হয় পাকা এ ঘরগুলোর টিনের চালা যেন ‘লাল-সবুজের’ পতাকা। এর এক পাশে রয়েছে পিচঢালা পথ ঘেষে বারণয় নদীর পাশে সবুজের সমাহার।
ঘরের পাশে মাচায় লকলকিয়ে বাড়ছে সিম আর লাউ, নিচের গাছে ঝুলছে ছোট ছোট বেগুন ও লাল-সবুজ টমেটো। এক কোণে পালং ও লালশাকও মাটি ফুঁড়ে উঠেছে ইঞ্চি দুয়েক। রয়েছে পেপে, কলাসহ শীতকালীণ নানা সবজি। গাছে গাছে আমের মুকুল জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমন। আশ্রয়নে নানা জাতের ফলের বাগান দিন দিন এ পল্লীকে সমৃদ্ধ করছে। এর পাশেই সুবাস ছড়াচ্ছে গাছের বাহারী রঙিন ফুল।
রয়েছে হাস-মুরগি আর গবাদী পশু পালনের সুব্যবস্থা। এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে খেলছে শিশু-কিশোরের দল। পুরুষরা ছুটছেন দৈনন্দিন কাজে। নারীদের কেউ কেউ ব্যস্ত হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগলে কাজ নিয়ে আর নিজ আঙিনায় গড়ে তোলা সবজি বাগানের পরিচর্যা নিয়ে।
রঙিন টিনের আধাপাকা ঘরগুলো দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। এ যেন এক খন্ড শান্তির নীড়। এই নীড়েই সুখের স্বপ্ন গড়েছেন সহায়-সম্বলহীন এক দল নারী-পুরুষ। নদী, খাল ও সড়কের গাঁ ঘেঁষে গড়ে ওঠা আশ্রয়ন প্রকল্পের এই পল্লীতে এ উপজেলায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের শান্তির বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩১২। জনসংখ্যার হিসাবে এখানে শতাধিক নারী-পুরুষের বসতি। তাদের জীবনের শুরুটা ভূমিহীন হলেও এখন তারা আর ভূমিহীন নয়। প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীনদের শান্তির বসবাস জন্য শুধু ঘর নয় নিজ নামে জমি লিখে দিয়েছেন।
এতে তারা হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু পালন ও সবজির বাগানসহ নানা উপায়ে স্বাবলম্বী এ মানুষগুলো। শিক্ষার ছোঁয়াও লেগেছে তাদের মধ্যে। আশ্রয়নে বসবাসরত অর্ধশত ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। দেবীপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের তিন থেকে সাড়ে চার শত গজের মধ্যেই মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থান। ফলে এ আশ্রয়নে শিক্ষার প্রভাবও পড়েছে। এতে আশশ্রনের উন্নয়নও ঘটেছে।
সরেজমিনে দেবীপুর আশ্রয়নে গিয়ে দেখা যায়, ছোট পরিসরে আদর্শ রঙিন ছিমছাম সারি সারি ঘর। আর সেই সুখনিলয়ের আঙিনায় সবজি খেতে কাজ করছিলেন মুনজুয়ারা বেগম (৫০) নামের এক নারী। ২০ বছর আগে একমাত্র ছেলে এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে নিয়ে তিনি দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন থেকে জীবন-জীবিকার তাগিদে তেঁতুলতোলায় আসেন। পৌর বাজারের ৬নং ওয়ার্ডে রাস্তার পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় বসবাস করে এলজিডি’র রাস্তার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
জমিসহ সুন্দর পাকা ঘর করে দেওয়ায় মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণভরে আশীর্বাদ করেন তিনি। আরেক বাসিন্দা আমিনুলের স্ত্রী বেদেনা (৩২) জানান, এর আগে তারা মাড়িয়া ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামে মানুষের বাড়িতে থাকতেন। মনোরম পরিবেশে জমিসহ রঙিন পাকা ঘর পেয়ে তারা আবেগাপ্লুত।