রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭ ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে অধিকাংশ খুচরা রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভেজাল সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ভেজাল সার প্রয়োগের ফলে কৃষক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাসিবুল হাসান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বাজার পরিদর্শনে গেলে তথ্যের সত্যতা পায়। ভেজাল সার বিক্রির অপরাধে জরিমানা এবং ভেজাল সারগুলো ধ্বংস করেছে। এ খবর পেয়ে অন্য ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। জানা গেছে, বিভিন্ন কোম্পানির নাম ব্যবহার করে প্যাকেটজাত দস্তা, সালফার, জিপসামসহ নানা ধরনের কথিত রাসায়নিক সার বিক্রি করছে প্রতারক চক্র। খুচরা সার বিক্রেতারা দামে কম পেয়ে সহজেই গ্রহন করছে। কৃষক দোকানদারদের উপর নির্ভরশীল হয়ে কমদামে পেয়ে সাদরে কিনে নিয়ে জমিতে প্রয়োগ করে অস্বাভাবিক ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে। সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালতে একটি ভেজাল সার কারখানা ধ্বংস করলেও অন্যরা তাদের কার্যক্রম অন্যরা তাদের কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে। জঙ্গল গ্রামের কৃষক প্রেম কুমার বিশ্বাস জানায়, এ বছর ২ একর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছে। জমি কর্ষনের সময় টি এস পি , পটাশ ও জিপসাম প্রয়োগ করেছিল। বীজতলা হতে সুন্দর চারা জমিতে লাগিয়ে সেচ দেওয়ার পর অধিকাংশ চারা পচে নষ্ঠ হচ্ছে। এ মৌসূমে তার অপূরনীয় ক্ষতি হবে। ভেজাল সার উৎপাদনকারী ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের শাস্তির দাবী করে। বন্যতৈল গ্রামের পেঁয়াজ চাষী প্রতাপ শিকদার জানায়, তার নিজস্ব কোন জমি নেই, অন্যের জমি বর্গা(ফসলি ভাগ) ও খাজনা (টাকার বিনিময়ে বাৎসরিক জমি ভোগ ) করে ৩ একর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছে। জমি কর্ষনে কোন ঘাটতি রাখেনি। উন্নতমানের চারা জমিতে লাগানোর পর মাটিই ধরছে না। ঐ জমিতে পুনরায় অন্য ফসলের আবাদ করতে হবে। তার ঘারে বড় ধরনের ঋনের বোঝা চেপে যাবে। যা কোন ক্রমেই পরিশোধ হবার যোগ্য নয়। মঙ্গলবার বিকেলে কৃষি কর্মকর্তা জঙ্গল বাজারে এসে কথিত ভেজাল সার নষ্ট করাতে বুঝতে পারল ঐ জাতীয় সার প্রয়োগের কারণেই তার এতবড় ক্ষতি হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭ ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে অধিকাংশ খুচরা রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভেজাল সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ভেজাল সার প্রয়োগের ফলে কৃষক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাসিবুল হাসান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বাজার পরিদর্শনে গেলে তথ্যের সত্যতা পায়। ভেজাল সার বিক্রির অপরাধে জরিমানা এবং ভেজাল সারগুলো ধ্বংস করেছে। এ খবর পেয়ে অন্য ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। জানা গেছে, বিভিন্ন কোম্পানির নাম ব্যবহার করে প্যাকেটজাত দস্তা, সালফার, জিপসামসহ নানা ধরনের কথিত রাসায়নিক সার বিক্রি করছে প্রতারক চক্র। খুচরা সার বিক্রেতারা দামে কম পেয়ে সহজেই গ্রহন করছে। কৃষক দোকানদারদের উপর নির্ভরশীল হয়ে কমদামে পেয়ে সাদরে কিনে নিয়ে জমিতে প্রয়োগ করে অস্বাভাবিক ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে। সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালতে একটি ভেজাল সার কারখানা ধ্বংস করলেও অন্যরা তাদের কার্যক্রম অন্যরা তাদের কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে। জঙ্গল গ্রামের কৃষক প্রেম কুমার বিশ্বাস জানায়, এ বছর ২ একর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছে। জমি কর্ষনের সময় টি এস পি , পটাশ ও জিপসাম প্রয়োগ করেছিল। বীজতলা হতে সুন্দর চারা জমিতে লাগিয়ে সেচ দেওয়ার পর অধিকাংশ চারা পচে নষ্ঠ হচ্ছে। এ মৌসূমে তার অপূরনীয় ক্ষতি হবে। ভেজাল সার উৎপাদনকারী ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের শাস্তির দাবী করে। বন্যতৈল গ্রামের পেঁয়াজ চাষী প্রতাপ শিকদার জানায়, তার নিজস্ব কোন জমি নেই, অন্যের জমি বর্গা(ফসলি ভাগ) ও খাজনা (টাকার বিনিময়ে বাৎসরিক জমি ভোগ ) করে ৩ একর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছে। জমি কর্ষনে কোন ঘাটতি রাখেনি। উন্নতমানের চারা জমিতে লাগানোর পর মাটিই ধরছে না। ঐ জমিতে পুনরায় অন্য ফসলের আবাদ করতে হবে। তার ঘারে বড় ধরনের ঋনের বোঝা চেপে যাবে। যা কোন ক্রমেই পরিশোধ হবার যোগ্য নয়। মঙ্গলবার বিকেলে কৃষি কর্মকর্তা জঙ্গল বাজারে এসে কথিত ভেজাল সার নষ্ট করাতে বুঝতে পারল ঐ জাতীয় সার প্রয়োগের কারণেই তার এতবড় ক্ষতি হয়েছে।