ডুমুরিয়া (খুলনা) : লবণ পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধান খেত -সংবাদ
কতিপয় অসাধু প্রভাবশালী মাছ চাষিদের কারনে খুলনার ডুমুরিয়াতে মারা যাচ্ছে ৭শ বিঘা জমির ধান। এই উপজেরার জয়খালী মৌজার কাকমারিতে ওয়াফদার বাঁধের তলদেশে পাইপ বসিয়ে লবণ পানি তুলে বাগদা চিংড়ির চাষ করে আসছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। তাদের তোলা লবণ পানি এবার ঢুকে পড়েছে অন্যান্য বরো চাষিদের ঘেরে। যার ফলে চারা রোপণের কিছু দিনের মধ্যেই তাতে পচন ধরে গেছে। সার-কীটনাশক, ওষুধ-পত্র দিয়েও পচন ঠেকাতে পারছেন না কৃষকেরা। ইতোমধ্যে অনেক চাষিরা খেত ছেড়ে দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রায় দুই শতাধিক বোরো চাষি। এদের মধ্যে ভূসম্পত্তির মালিক ছাড়াও বর্গা চাষি রয়েছে অর্ধশতাধিক। সরেজমিনে দেখা গেছে ওয়াফদার বাঁধের গভীর তলদেশে বেশ কয়েকটি পাইপ দৃশ্যমান রয়েছে। কৃষকেরা জানালেন, আরও কিছু পাইপ আছে যা নজরে আসে না। অথচ তা দিয়ে প্রয়োজনমতো পানি তোলা হচ্ছে। এই পানি তোলা নিয়ে মৎস্য চাষিদেরর সাথে কৃষকদের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়া-বিবাদও হয়েছে। অসাধু মৎস্য চাষিরা খুবই প্রভাবশালী ও মার-দাঙ্গা প্রকৃতির। তাদের রয়েছে সাঙ্গ-পাঙ্গ আর লাঠিয়াল বাহিনী। জানা গেছে রাজনৈতিক প্রভাবও রয়েছে কয়েকজন মৎস্য চাষির। অনৈতিকভাবে লবণ পানি তোলা মৎস্য চাষিদের মধ্যে কুমারঘাটা গ্রামের আনিস সরদার, নূর-ইসলাম সরদার, (পিতা: মৃত ছমির সরদার) একই গ্রামের হাচেন আলী সরদারের ছেলে আশরফ সরদার, উমর আলী সরদারের ছেলে সোহরাব সরদার, সাহস গ্রামের আজিবুর সারদর রাজাপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল সরদারের ছেলে ইউনুচ সরদার ও উলা গ্রামের প্রফেসর মল্লিক নাসিমুল ইসলামের পাইপ দৃশ্যমান। অদৃশ্য পাইপ দিয়ে পানি তোলা মৎস্য চাষিরা হলেন কুমারঘাটার মৃত ছবেদ আলী মোল্লার ছেলে সুলতান মোল্লা ওরফে মন্টু মোল্লা, আরব সরদার মৃত আমির আলী খাঁর ছেলে মজিবর রহমান খাঁ, একই গ্রামের খর্তির পাড়ার শ্যামল দেবনাথ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা তাগাদা দিয়েও এসব মৎস্য চাষিদের অবৈধ পানি তোলা বন্ধ করতে পারছে না এমন দাবি বর্গা চাষি শহর আলী শেখের। তিনি জানান, জয়খালি মৌজার কাকমারি ঘেরের এই ৭শ’ বিঘা জমি শোভনা ইউনিয়নের মধ্যে পড়ায় এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত বৈদ্য কয়েকদিন আগে এসে মৎস্য চাষিদের সতর্ক করে গেছেন।
আমরা বরো চাষিরা স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপির কাছেও নালিশ করেছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। লবণ পানি তোলা নিয়ে কথা হয় অভিযুক্ত মৎস্য চাষি নূর ইসলাম সরদার, সোহরাব সরদার ও শ্যামল দেবনাথের সাথে। তারা লবণ পানি তোলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। ওয়াফদার বাঁধে দৃশ্যমান পাইপের কথা জানতে চাইলে তারা বলেন, এ পাইপ দিয়ে আমরা আমরা বৃষ্টির পানি বাইরে ফেলি, ভেতরে লবন পানি তুলি না। এ রিপোর্ট লেখার আগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে বার বার তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা জানান বিষয়টি আমি শুনলাম। তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডুমুরিয়া (খুলনা) : লবণ পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধান খেত -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
কতিপয় অসাধু প্রভাবশালী মাছ চাষিদের কারনে খুলনার ডুমুরিয়াতে মারা যাচ্ছে ৭শ বিঘা জমির ধান। এই উপজেরার জয়খালী মৌজার কাকমারিতে ওয়াফদার বাঁধের তলদেশে পাইপ বসিয়ে লবণ পানি তুলে বাগদা চিংড়ির চাষ করে আসছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। তাদের তোলা লবণ পানি এবার ঢুকে পড়েছে অন্যান্য বরো চাষিদের ঘেরে। যার ফলে চারা রোপণের কিছু দিনের মধ্যেই তাতে পচন ধরে গেছে। সার-কীটনাশক, ওষুধ-পত্র দিয়েও পচন ঠেকাতে পারছেন না কৃষকেরা। ইতোমধ্যে অনেক চাষিরা খেত ছেড়ে দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রায় দুই শতাধিক বোরো চাষি। এদের মধ্যে ভূসম্পত্তির মালিক ছাড়াও বর্গা চাষি রয়েছে অর্ধশতাধিক। সরেজমিনে দেখা গেছে ওয়াফদার বাঁধের গভীর তলদেশে বেশ কয়েকটি পাইপ দৃশ্যমান রয়েছে। কৃষকেরা জানালেন, আরও কিছু পাইপ আছে যা নজরে আসে না। অথচ তা দিয়ে প্রয়োজনমতো পানি তোলা হচ্ছে। এই পানি তোলা নিয়ে মৎস্য চাষিদেরর সাথে কৃষকদের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়া-বিবাদও হয়েছে। অসাধু মৎস্য চাষিরা খুবই প্রভাবশালী ও মার-দাঙ্গা প্রকৃতির। তাদের রয়েছে সাঙ্গ-পাঙ্গ আর লাঠিয়াল বাহিনী। জানা গেছে রাজনৈতিক প্রভাবও রয়েছে কয়েকজন মৎস্য চাষির। অনৈতিকভাবে লবণ পানি তোলা মৎস্য চাষিদের মধ্যে কুমারঘাটা গ্রামের আনিস সরদার, নূর-ইসলাম সরদার, (পিতা: মৃত ছমির সরদার) একই গ্রামের হাচেন আলী সরদারের ছেলে আশরফ সরদার, উমর আলী সরদারের ছেলে সোহরাব সরদার, সাহস গ্রামের আজিবুর সারদর রাজাপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল সরদারের ছেলে ইউনুচ সরদার ও উলা গ্রামের প্রফেসর মল্লিক নাসিমুল ইসলামের পাইপ দৃশ্যমান। অদৃশ্য পাইপ দিয়ে পানি তোলা মৎস্য চাষিরা হলেন কুমারঘাটার মৃত ছবেদ আলী মোল্লার ছেলে সুলতান মোল্লা ওরফে মন্টু মোল্লা, আরব সরদার মৃত আমির আলী খাঁর ছেলে মজিবর রহমান খাঁ, একই গ্রামের খর্তির পাড়ার শ্যামল দেবনাথ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা তাগাদা দিয়েও এসব মৎস্য চাষিদের অবৈধ পানি তোলা বন্ধ করতে পারছে না এমন দাবি বর্গা চাষি শহর আলী শেখের। তিনি জানান, জয়খালি মৌজার কাকমারি ঘেরের এই ৭শ’ বিঘা জমি শোভনা ইউনিয়নের মধ্যে পড়ায় এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত বৈদ্য কয়েকদিন আগে এসে মৎস্য চাষিদের সতর্ক করে গেছেন।
আমরা বরো চাষিরা স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপির কাছেও নালিশ করেছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। লবণ পানি তোলা নিয়ে কথা হয় অভিযুক্ত মৎস্য চাষি নূর ইসলাম সরদার, সোহরাব সরদার ও শ্যামল দেবনাথের সাথে। তারা লবণ পানি তোলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। ওয়াফদার বাঁধে দৃশ্যমান পাইপের কথা জানতে চাইলে তারা বলেন, এ পাইপ দিয়ে আমরা আমরা বৃষ্টির পানি বাইরে ফেলি, ভেতরে লবন পানি তুলি না। এ রিপোর্ট লেখার আগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে বার বার তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা জানান বিষয়টি আমি শুনলাম। তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।