নারায়ণগঞ্জে ওএমএস’র ২ টন চাল বিতরণ না করে স্থানীয় কাউন্সিলর নিজেই তা কিনে রাখার ঘটনার তদন্তে পৃথক দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ঢাকা এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ এর গঠিত কমিটি দু’টি বিষয়টির তদন্তে কাজ করছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে আগামী রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত ২১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বরাদ্দ করা ২ টন (২০০০ কেজি) ওএমএস’র (ওপেন সেল মার্কেট) চাল বিতরণ না করে নিজেই কিনে রাখেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু। এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের পর সংবাদে গত ২৫ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই সময় কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু চাল কিনে রাখার কথা অস্বীকার করলেও ওই ওয়ার্ডে ঘটনার দিন নির্ধারিত ডিলার বিষয়টি স্বীকার করেন। স্থানীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী বলে পরিচিত এই কাউন্সিলর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এক নম্বর প্যানেল মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য।
আঞ্চলিক (ঢাকা) খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে এই বিষয়ে তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা বিষয়টি তদন্তে কাজ করছেন। আশা করি, তারা রোববার নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আসমা উল হোসনাও একই কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পাশাপাশি জেলা অফিসও তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসকও বিষয়টি দেখছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ‘নিউজের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে এসেছে। এরপর আমরা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করা হয়েছে। ওই তদন্তে কাউন্সিলর ওইদিন চালগুলো কিনে রেখেছিলেন বলে সত্যতা পেয়েছি। কিন্তু পরবর্তীতে চালগুলো তিনি জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। সেগুলো তিনি নির্ধারিত কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে বিতরণ না করে ওই এলাকার কোন এক পুকুরের পাড়ে বিতরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন।’
‘পরে বিতরণ করলেও তিনি এইভাবে চাল কিনে নিতে পারেন না। এটা নিয়মের বাইরে। ভবিষ্যতে তিনি যেন এমন কাজ না করেন এই ব্যাপারে তাকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িত ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করা যায় কিনা সেই ব্যাপারে আমরা দেখছি।’
উল্লেখ্য, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) মাধ্যমে নি¤œবিত্তদের জন্য বরাদ্দ এই চাল ৩০ টাকা কেজি দরে একজনকে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল বিতরণ করার কথা। প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রতি সপ্তাহে ২ টন বা ২ হাজার কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের তদারকিতে নির্ধারিত ডিলারের চাল বিক্রি করার নিয়ম।
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
নারায়ণগঞ্জে ওএমএস’র ২ টন চাল বিতরণ না করে স্থানীয় কাউন্সিলর নিজেই তা কিনে রাখার ঘটনার তদন্তে পৃথক দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ঢাকা এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ এর গঠিত কমিটি দু’টি বিষয়টির তদন্তে কাজ করছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে আগামী রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত ২১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বরাদ্দ করা ২ টন (২০০০ কেজি) ওএমএস’র (ওপেন সেল মার্কেট) চাল বিতরণ না করে নিজেই কিনে রাখেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু। এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের পর সংবাদে গত ২৫ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই সময় কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু চাল কিনে রাখার কথা অস্বীকার করলেও ওই ওয়ার্ডে ঘটনার দিন নির্ধারিত ডিলার বিষয়টি স্বীকার করেন। স্থানীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী বলে পরিচিত এই কাউন্সিলর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এক নম্বর প্যানেল মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য।
আঞ্চলিক (ঢাকা) খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে এই বিষয়ে তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা বিষয়টি তদন্তে কাজ করছেন। আশা করি, তারা রোববার নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আসমা উল হোসনাও একই কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পাশাপাশি জেলা অফিসও তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসকও বিষয়টি দেখছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ‘নিউজের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে এসেছে। এরপর আমরা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করা হয়েছে। ওই তদন্তে কাউন্সিলর ওইদিন চালগুলো কিনে রেখেছিলেন বলে সত্যতা পেয়েছি। কিন্তু পরবর্তীতে চালগুলো তিনি জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। সেগুলো তিনি নির্ধারিত কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে বিতরণ না করে ওই এলাকার কোন এক পুকুরের পাড়ে বিতরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন।’
‘পরে বিতরণ করলেও তিনি এইভাবে চাল কিনে নিতে পারেন না। এটা নিয়মের বাইরে। ভবিষ্যতে তিনি যেন এমন কাজ না করেন এই ব্যাপারে তাকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িত ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করা যায় কিনা সেই ব্যাপারে আমরা দেখছি।’
উল্লেখ্য, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) মাধ্যমে নি¤œবিত্তদের জন্য বরাদ্দ এই চাল ৩০ টাকা কেজি দরে একজনকে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল বিতরণ করার কথা। প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রতি সপ্তাহে ২ টন বা ২ হাজার কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের তদারকিতে নির্ধারিত ডিলারের চাল বিক্রি করার নিয়ম।