alt

সারাদেশ

টেকনাফ ওসির হাতে পায়ে ধরেও জিডি করাতে পারেননি নিহত ইমরানের মা

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার : শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

কক্সবাজারের টেকনাফে বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন তিন বন্ধু। তারা হলেন ইমরান, রুবেল ও মোহাম্মদ ইউছুপ। অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকার জন্য পরিবারের কাছে একাধিকবার মোবাইল ফোনে নির্যাতনের কথা বলার পরও মুক্তিপণ পায়নি অপহরণকারিরা। এ কারণে এক সাথে হত্যা করা হয় তিন বন্ধুকে। কিন্তু, এ ঘটনায় দুষছে টেকনাফ থানার ওসি আব্দুল হালিমকে।

নিহত ইমরানের মা হামিদা বেগম পুলিশের গাফেলতির কথা উল্লেখ করে বলেন, টেকনাফ থানার ওসি আব্দুল হালিমের হাতে পায়ে ধরেও আমার ছেলের জন্য একটি জিডি করাতে পারেনি। মুক্তিপণের টাকার জন্য চাপ দেয়া অপহরণকারীদের একাধিক মোবাইল নম্বর পুলিশকে দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ওই সময় পুলিশ চাইলে তিনটি তাজা প্রাণ রক্ষা করতে পারতো। কিন্তু, ওসি আব্দুল হালিম তা করেননি।

নিহত ইমরানের মা হামিদা বেগম আরও বলেন, আমার ছেলেসহ তিনজন অপহরণের পর বিষয়টি জিডির করতে প্রথমে কক্সবাজার সদর থানায় গেলে কক্সবাজার থানার পুলিশ টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে পাঠান। পরে টেকনাফ থানায় গেলে ওসি আব্দুল হালিম জিডি নিতে অনিহা প্রকাশ করেন। এভাবে গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন সুরহা পাননি। পরে আমার ছেলেসহ তিনজনকে জীবন দিতে হল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে। হামিদা বলেন, আমার ছেলে মত আর কাউকে যাতে এইভাবে মরতে না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এদিকে টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অপহরণের বিষয় নিয়ে কেউ থানায় আসেনি। পুলিশ যখন বিষয়টি জানতে পেরেছে তখন থেকে অপহরণকারিদের ধরতে তৎপর হয়ে উঠে পুলিশ। পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে।

ওসি আরও বলেন, অপহরণের ঘটনায় গত ১২ মে জড়িত থাকার অভিযোগে রোহিঙ্গা শফি আলম ও তার ভাগ্নে আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে, টেকনাফ দমদমিয়া পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন জানিয়েছেন, অপহরণের পর তিনবন্ধু হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গেল বুধবার টেকনাফ হাবিবছড়া গহীন পাহাড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ছৈয়দ হোসন ওরফে সোনালী ডাকাত (৩৫) ও ইমরুল (৩০)।

লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম বলেন, তিন বন্ধু টেকনাফ যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। পরে তাদের পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। দাবিকৃত মুক্তিপণ দিতে না পারায় তাদের হত্যা করে

অপহরণকারিরা।

র‌্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলামের ভাষ্যমতে, গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফ সদরে কোহিনূর নামে এক মেয়েকে দেখার টোপ দিয়ে রুবেলসহ তার দুই বন্ধুকে ডেকে আনে রোহিঙ্গা শফি আলম। তিন বন্ধু অপহরণের বিষয়টি নজরে আসার পর কাজ শুরু করে পুলিশ। শফির দেয়া তথ্যমতে তার ভাগ্নে আরাফাতকে টেকনাফের মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে অপহৃত রুবেলের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে র‌্যাব তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী টেকনাফ দমদমিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো ছিল অর্ধগলিত। গ্রেপ্তার দুইজন প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন, তাঁরা এই কাজে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। বিত্তশালীদের টার্গেট করে এসব অপহরণ করতেন তাঁরা। দিনের বেলায় এই চক্রের সদস্যরা লোকালয়ে এসে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশ ধরে থাকতেন। রাতের বেলায় পাহাড়ে গিয়ে তাদের নির্যাতন করতো। যারা টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তাদের মাটির মধ্যে পুঁতে রাখা হতো।

গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফে বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন কক্সবাজারের চৌফলদন্ডী উত্তর পাড়ার রুবেল, ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া মোহাম্মদ ইউছুপ ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। তাঁরা তিনজনই বন্ধু। পাড়া মোহাম্মদ ইউছুপ ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। তাঁরা তিনজনই বন্ধু। পরে ২৪ মে টেকনাফের দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ওই তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

শরণখোলার রেঞ্জে মাছ ধরার সময় পাঁচ জেলে আটক

নারায়ণগঞ্জ শহরে গরম কমাতে ‘তাপকর্ম পরিকল্পনা’

ছবি

কক্সবাজারে জামায়াত নেতার হামলা, বিএনপি নেতা নিহত

ছবি

শায়েস্তাগঞ্জ ও অলিপুরে উচ্ছেদ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা, উদ্বোধন হলো পুলিশ বক্স

ছবি

বিনা বিচারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি পেলেন কানু মিয়া

ছবি

ঐতিহাসিক ভবন ভাঙা ঠেকাতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চিঠি

ছবি

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ নেই ১০ বছর

মহেশপুর আদালত চত্বরে জাল কোর্টফিতে সয়লাব

কমলগঞ্জে চা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

মোহনগঞ্জে হারিয়ে গেছে দেশি জাতের ধান

নবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

মোরেলগঞ্জ ভেটেরিনারি হাসপাতালে ১১ পদের মধ্যে ৮ পদেই কেউ নেই

রংপুর চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন

ছবি

৭ বছর আগের সেই মর্মান্তিক ঘটনায় চোখের জলে বুক ভাসান স্বজনরা

চাঁদপুরে অপরাধে জড়িত সন্দেহে আটক ২২

তারাগঞ্জে চাষিদের বীজ, সার ও অর্থ বিতরণ

ছবি

হরিপুর-চিলমারী সেতুর উদ্বোধন ২ আগস্ট

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে কলমাকান্দায় আলোচনা সভা

বাগাতিপাড়ায় সড়ক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অভিযান

ভিডব্লিউবি কার্ডধারীদের কাছে ট্যাক্সের নামে টাকা আদায়

ছবি

দশমিনায় বাড়ির আঙিনায় বস্তায় আদা চাষে সাফল্য

কাঁঠালিয়ায় জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

চিতলমারীতে মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

ছবি

বারবার প্রতিশ্রুতির পরও পাকাকরণ হয়নি সড়ক

পাঁচবিবি উপজেলা প্রশাসন ভবন উদ্বোধন

মা হত্যার দায়ে পুত্রের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

মাদারগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সেতু পুনর্নির্মাণ

শ্রীমঙ্গলে চাঞ্চল্যকর হৃদয় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন দুই বন্ধু গ্রেপ্তার

ভুক্তভোগী দুই নারীকে হুমকির অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

ছবি

বড়াল নদীতে মাছ ধরার উৎসব

স্বজনদের আপত্তির মুখে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে গেল পিবিআই টিম

মোরেলগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রকে কুপিয়ে জখম

ছবি

চাঁদাবাজি বন্ধে বিএনপির সমাবেশ

অটোরিকশা চালককে মারধর করায় বিএনপি নেতার পদ স্থগিত

খাগড়াছড়িতে এনসিপির নেতানেত্রীর পাল্টাপাল্টি জিডি

ছবি

দোয়ারাবাজারে সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোতে পারাপার

tab

সারাদেশ

টেকনাফ ওসির হাতে পায়ে ধরেও জিডি করাতে পারেননি নিহত ইমরানের মা

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার

শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

কক্সবাজারের টেকনাফে বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন তিন বন্ধু। তারা হলেন ইমরান, রুবেল ও মোহাম্মদ ইউছুপ। অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকার জন্য পরিবারের কাছে একাধিকবার মোবাইল ফোনে নির্যাতনের কথা বলার পরও মুক্তিপণ পায়নি অপহরণকারিরা। এ কারণে এক সাথে হত্যা করা হয় তিন বন্ধুকে। কিন্তু, এ ঘটনায় দুষছে টেকনাফ থানার ওসি আব্দুল হালিমকে।

নিহত ইমরানের মা হামিদা বেগম পুলিশের গাফেলতির কথা উল্লেখ করে বলেন, টেকনাফ থানার ওসি আব্দুল হালিমের হাতে পায়ে ধরেও আমার ছেলের জন্য একটি জিডি করাতে পারেনি। মুক্তিপণের টাকার জন্য চাপ দেয়া অপহরণকারীদের একাধিক মোবাইল নম্বর পুলিশকে দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ওই সময় পুলিশ চাইলে তিনটি তাজা প্রাণ রক্ষা করতে পারতো। কিন্তু, ওসি আব্দুল হালিম তা করেননি।

নিহত ইমরানের মা হামিদা বেগম আরও বলেন, আমার ছেলেসহ তিনজন অপহরণের পর বিষয়টি জিডির করতে প্রথমে কক্সবাজার সদর থানায় গেলে কক্সবাজার থানার পুলিশ টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে পাঠান। পরে টেকনাফ থানায় গেলে ওসি আব্দুল হালিম জিডি নিতে অনিহা প্রকাশ করেন। এভাবে গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন সুরহা পাননি। পরে আমার ছেলেসহ তিনজনকে জীবন দিতে হল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে। হামিদা বলেন, আমার ছেলে মত আর কাউকে যাতে এইভাবে মরতে না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এদিকে টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অপহরণের বিষয় নিয়ে কেউ থানায় আসেনি। পুলিশ যখন বিষয়টি জানতে পেরেছে তখন থেকে অপহরণকারিদের ধরতে তৎপর হয়ে উঠে পুলিশ। পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে।

ওসি আরও বলেন, অপহরণের ঘটনায় গত ১২ মে জড়িত থাকার অভিযোগে রোহিঙ্গা শফি আলম ও তার ভাগ্নে আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে, টেকনাফ দমদমিয়া পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন জানিয়েছেন, অপহরণের পর তিনবন্ধু হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গেল বুধবার টেকনাফ হাবিবছড়া গহীন পাহাড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ছৈয়দ হোসন ওরফে সোনালী ডাকাত (৩৫) ও ইমরুল (৩০)।

লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম বলেন, তিন বন্ধু টেকনাফ যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। পরে তাদের পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। দাবিকৃত মুক্তিপণ দিতে না পারায় তাদের হত্যা করে

অপহরণকারিরা।

র‌্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলামের ভাষ্যমতে, গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফ সদরে কোহিনূর নামে এক মেয়েকে দেখার টোপ দিয়ে রুবেলসহ তার দুই বন্ধুকে ডেকে আনে রোহিঙ্গা শফি আলম। তিন বন্ধু অপহরণের বিষয়টি নজরে আসার পর কাজ শুরু করে পুলিশ। শফির দেয়া তথ্যমতে তার ভাগ্নে আরাফাতকে টেকনাফের মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে অপহৃত রুবেলের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে র‌্যাব তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী টেকনাফ দমদমিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো ছিল অর্ধগলিত। গ্রেপ্তার দুইজন প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন, তাঁরা এই কাজে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। বিত্তশালীদের টার্গেট করে এসব অপহরণ করতেন তাঁরা। দিনের বেলায় এই চক্রের সদস্যরা লোকালয়ে এসে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশ ধরে থাকতেন। রাতের বেলায় পাহাড়ে গিয়ে তাদের নির্যাতন করতো। যারা টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তাদের মাটির মধ্যে পুঁতে রাখা হতো।

গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফে বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন কক্সবাজারের চৌফলদন্ডী উত্তর পাড়ার রুবেল, ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া মোহাম্মদ ইউছুপ ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। তাঁরা তিনজনই বন্ধু। পাড়া মোহাম্মদ ইউছুপ ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। তাঁরা তিনজনই বন্ধু। পরে ২৪ মে টেকনাফের দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ওই তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

back to top