তারেক-জোবায়দার মামলার শুনানিতে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্য নেয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো আছাদুজ্জামানের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ মূলতবি রেখে এজলাস ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার পর পর্যন্ত দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল চলে।
এর আগে গত ২৮ মে থেকে প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। ওই সময় বিএনপিপন্থি আইনীজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি ওমর ফারুক ফারুকী মামলাটির সাক্ষ্য চলাকালে বিচারককে বলেন, মামলাটি প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়টি দৃষ্টিকটূ। আমরা চাই এভাবে যেন প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণ না করা হয়। তখন বিচারক বলেছিলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।
এরপরও মঙ্গলবার আবার মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য থাকায় এ আইনজীবী বিএনপি দলীয় কিছু আইনজীবীর উপস্থিতিতে বিষয়টি আবার আদালতে মেনশন করলে রাষ্ট্রপক্ষের একজন প্রসিকিউটর বিচারককে মেনশনকৃত আইনজীবী ফারুকীর বক্তব্য ভিডিও করছিলেন।
ওই সময় বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা ভিডিও করা নিয়ে বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। তখন বিচারক এজলাস ছেড়ে যান। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় আইনজীবীরাও ওই আদালতে আসেন। তখন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা আদালত কক্ষে অবস্থানের পর তারা চলে আসেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিচারক পুনরায় এজলাসে ওঠে ২৫ মিনিট অবস্থান করে সাক্ষীর অবশিষ্ট জবানবন্দি শেষ করেন।
এ নিয়ে দুই পক্ষ একে অন্যকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য দিয়েছেন। এ সম্পর্কে দুদক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলার আসামি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান পলাতক। তাই এ মামলায় আসামি পক্ষের কোন বক্তব্য থাকতে পারে না। তারপরও তারা প্রতিদিন আদালতে উপস্থিত থেকে বাধা সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবার তারা আদালতের সঙ্গে অনেক অশোভন আচরণ করেছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আসামি পলাতক থাকলেও আমরা কি আদালতে উপস্থিতও থাকতে পারবো না। তারা আদালত পক্ষে বেআইনিভাবে ছবি তুলতে, ভিডিও করতে পারেন? আমরা এর প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেছেন। তারাই আদালতের পরিবেশ নষ্ট করেছেন।
এদিকে আদালত মামলাটির আরও এক জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এ সাক্ষী হলেন, আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের চাটার্ড অ্যাকাউন্টেড এমএ মতিন। এ নিয়ে মামলাটির ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
তারেক-জোবায়দার মামলার শুনানিতে
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্য নেয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো আছাদুজ্জামানের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ মূলতবি রেখে এজলাস ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার পর পর্যন্ত দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল চলে।
এর আগে গত ২৮ মে থেকে প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। ওই সময় বিএনপিপন্থি আইনীজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি ওমর ফারুক ফারুকী মামলাটির সাক্ষ্য চলাকালে বিচারককে বলেন, মামলাটি প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়টি দৃষ্টিকটূ। আমরা চাই এভাবে যেন প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণ না করা হয়। তখন বিচারক বলেছিলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।
এরপরও মঙ্গলবার আবার মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য থাকায় এ আইনজীবী বিএনপি দলীয় কিছু আইনজীবীর উপস্থিতিতে বিষয়টি আবার আদালতে মেনশন করলে রাষ্ট্রপক্ষের একজন প্রসিকিউটর বিচারককে মেনশনকৃত আইনজীবী ফারুকীর বক্তব্য ভিডিও করছিলেন।
ওই সময় বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা ভিডিও করা নিয়ে বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। তখন বিচারক এজলাস ছেড়ে যান। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় আইনজীবীরাও ওই আদালতে আসেন। তখন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা আদালত কক্ষে অবস্থানের পর তারা চলে আসেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিচারক পুনরায় এজলাসে ওঠে ২৫ মিনিট অবস্থান করে সাক্ষীর অবশিষ্ট জবানবন্দি শেষ করেন।
এ নিয়ে দুই পক্ষ একে অন্যকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য দিয়েছেন। এ সম্পর্কে দুদক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলার আসামি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান পলাতক। তাই এ মামলায় আসামি পক্ষের কোন বক্তব্য থাকতে পারে না। তারপরও তারা প্রতিদিন আদালতে উপস্থিত থেকে বাধা সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবার তারা আদালতের সঙ্গে অনেক অশোভন আচরণ করেছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আসামি পলাতক থাকলেও আমরা কি আদালতে উপস্থিতও থাকতে পারবো না। তারা আদালত পক্ষে বেআইনিভাবে ছবি তুলতে, ভিডিও করতে পারেন? আমরা এর প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেছেন। তারাই আদালতের পরিবেশ নষ্ট করেছেন।
এদিকে আদালত মামলাটির আরও এক জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এ সাক্ষী হলেন, আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের চাটার্ড অ্যাকাউন্টেড এমএ মতিন। এ নিয়ে মামলাটির ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।