লিফট কিনতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের তুরস্ক সফর নিয়ে সারাদেশে ব্যপক সমালোচনার পর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে তুরস্ক ভ্রমণ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে শুক্রবার (২ জুন) দুপুর পর্যন্ত সফরকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে এর পক্ষে উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন সাফাই গেয়েছেন। এ নিয়ে পাবিপ্রবি সাধারণ শিক্ষক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। আগামী ৯ জুন পাবিপ্রবির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের লিফট কিনতে তুরস্ক যাওয়ার জন্য ৬ জুন থেকে ছুটি মঞ্জুরও করছিলেন তারা। বিষয়টি নিয়ে ব্যপক সমালোচনার মুখে অবশেষে সফর বাতিল করতে বাধ্য হলো পাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের বিদেশ সফরের বিষয়টি রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্মকে জানানো হয়েছে। ওই চিঠিতে ‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পে বিভিন্ন স্থাপনার লিফট সংগ্রহের প্রাক-জাহাজীকরণে ছয় সদস্যের একটি পরিদর্শক দলের তুরস্ক ভ্রমণের কথা উল্লেখ করা হয়।
সফরের দলনেতা করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খানকে। উপ দলনেতা করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিনকে। এ ছাড়াও সদস্য হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ আহমেদ, উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী (ইইই) মো. রিপন আলী, উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী জহির মোহা. জিয়াউল আবেদীন। সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জি এম আজিজুর রহমান।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে জনগণের অর্থ অপচয় করে এ ধরনের সফরের যৌক্তিকতা নিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে। সারাদেশের ন্যায় পাবনায়ও শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।
বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তুরস্কের যে লিফট পাবিপ্রবিতে সংযোজনের কথা রয়েছে সেই হিটকক্স গ্লোবাল ইঞ্জিনিয়ারিং নামক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৫০টি লিফট সরবরাহ করেছে। সুতরাং লিফট দেখতে তুরস্কে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। লিফট এখন জাহাজীকরণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সেখানে মতামত প্রদানেরও সুযোগ নেই। তাছাড়া প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞও নন। এটি মূলত পাবিপ্রবির কর্তাদের একটি প্রমোদ ভ্রমণ ছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রতিনিধি দলের এই ভ্রমণের ব্যয় আকাশ থেকে পড়বে না, প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ব্যয় হবে। ঠিকাদারের কাজে যদি উদ্বৃত্ত অর্থ থাকে তা দিয়ে অযৌক্তিক প্রমোদ ভ্রমণ না করে, ছাত্রকল্যাণে ব্যয় করার পরামর্শও প্রদান করেন তিনি।
এ বিষয়ে পাবিপ্রবির উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন বলেন, সফরের বিষয়টি অনেক আগে থেকেই অনুমোদন করা থাকলেও মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশে এই সফর স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩
লিফট কিনতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের তুরস্ক সফর নিয়ে সারাদেশে ব্যপক সমালোচনার পর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে তুরস্ক ভ্রমণ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে শুক্রবার (২ জুন) দুপুর পর্যন্ত সফরকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে এর পক্ষে উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন সাফাই গেয়েছেন। এ নিয়ে পাবিপ্রবি সাধারণ শিক্ষক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। আগামী ৯ জুন পাবিপ্রবির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের লিফট কিনতে তুরস্ক যাওয়ার জন্য ৬ জুন থেকে ছুটি মঞ্জুরও করছিলেন তারা। বিষয়টি নিয়ে ব্যপক সমালোচনার মুখে অবশেষে সফর বাতিল করতে বাধ্য হলো পাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের বিদেশ সফরের বিষয়টি রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্মকে জানানো হয়েছে। ওই চিঠিতে ‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পে বিভিন্ন স্থাপনার লিফট সংগ্রহের প্রাক-জাহাজীকরণে ছয় সদস্যের একটি পরিদর্শক দলের তুরস্ক ভ্রমণের কথা উল্লেখ করা হয়।
সফরের দলনেতা করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খানকে। উপ দলনেতা করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিনকে। এ ছাড়াও সদস্য হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ আহমেদ, উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী (ইইই) মো. রিপন আলী, উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী জহির মোহা. জিয়াউল আবেদীন। সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জি এম আজিজুর রহমান।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে জনগণের অর্থ অপচয় করে এ ধরনের সফরের যৌক্তিকতা নিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে। সারাদেশের ন্যায় পাবনায়ও শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।
বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তুরস্কের যে লিফট পাবিপ্রবিতে সংযোজনের কথা রয়েছে সেই হিটকক্স গ্লোবাল ইঞ্জিনিয়ারিং নামক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৫০টি লিফট সরবরাহ করেছে। সুতরাং লিফট দেখতে তুরস্কে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। লিফট এখন জাহাজীকরণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সেখানে মতামত প্রদানেরও সুযোগ নেই। তাছাড়া প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞও নন। এটি মূলত পাবিপ্রবির কর্তাদের একটি প্রমোদ ভ্রমণ ছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রতিনিধি দলের এই ভ্রমণের ব্যয় আকাশ থেকে পড়বে না, প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ব্যয় হবে। ঠিকাদারের কাজে যদি উদ্বৃত্ত অর্থ থাকে তা দিয়ে অযৌক্তিক প্রমোদ ভ্রমণ না করে, ছাত্রকল্যাণে ব্যয় করার পরামর্শও প্রদান করেন তিনি।
এ বিষয়ে পাবিপ্রবির উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন বলেন, সফরের বিষয়টি অনেক আগে থেকেই অনুমোদন করা থাকলেও মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশে এই সফর স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।