সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়া নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে কেন্দ্র।
শনিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বক্ষরে তাদের এই নোটিস পাঠানো হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে একজন ও কাউন্সিলর পদে ৪০ বিএনপি নেতা প্রার্থী হয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলা নেতা জানান।
এর আগে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু সিলেটে যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।”
মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনও একই কথা বলেন। মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন নগরীর ২৭ নম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সালাউদ্দিন রিমন।
সালাউদ্দিন রিমন বলেন, “আমি মেয়র পদে নির্বাচন করছি।”
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখন আমি ব্যস্ত আছি; পরে কথা বলব।”
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৭৩ জন। ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জনই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই নগরীতে ওয়ার্ড আছে ৪২টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোট কক্ষ ১ হাজার ৩৬৪টি।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। ২৩ মে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া শেষ হয়েছে। ২৫ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ হয়।
২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদর উদ্দিন কামরান, ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
রোববার, ০৪ জুন ২০২৩
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়া নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে কেন্দ্র।
শনিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বক্ষরে তাদের এই নোটিস পাঠানো হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে একজন ও কাউন্সিলর পদে ৪০ বিএনপি নেতা প্রার্থী হয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলা নেতা জানান।
এর আগে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু সিলেটে যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।”
মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনও একই কথা বলেন। মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন নগরীর ২৭ নম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সালাউদ্দিন রিমন।
সালাউদ্দিন রিমন বলেন, “আমি মেয়র পদে নির্বাচন করছি।”
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখন আমি ব্যস্ত আছি; পরে কথা বলব।”
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৭৩ জন। ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জনই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই নগরীতে ওয়ার্ড আছে ৪২টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোট কক্ষ ১ হাজার ৩৬৪টি।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। ২৩ মে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া শেষ হয়েছে। ২৫ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ হয়।
২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদর উদ্দিন কামরান, ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।