নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে ২০০৭ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রুটে যাত্রা শুরু করা ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ২০১৫ সালে চিলাহাটি থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচল শুরু করে। নৈশকালীন এই ট্রেন চালুর পর থেকেই দিবাকালীন আরেকটি ট্রেন চালুর দাবি করে আসছিল উত্তরে সীমান্তবর্তী এই জেলার মানুষ। দাবি আদায়ে নানা সময়ে নানান কর্মসূচিও পালন করে তারা।
অতঃপর সেই দিবাকালীন ট্রেনের দাবি পূরণ হলো উত্তরের জনপদের মানুষের। আজ সকাল ১০টায় গণভবন থেকে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এবং বাঁশি বাজিয়ে ভার্চুয়ালি ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ নামের ট্রেনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর নীলফামারীর চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যায়। আগামী ৭ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিলাহাটি-ঢাকা রেলপথে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করবে চিলাহাটি এক্সপ্রেস।
ট্রেনটির উদ্বোধন উপলক্ষে গতকাল সকাল থেকে চিলাহাটি স্টেশন এলাকার আশপাশে জমায়েত হতে থাকে উৎসুক জনতা। তারা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রেল যোগাযোগের উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অনুষ্ঠানস্থল ছাড়াও প্রায় পাঁচ-সাত কিলোমিটারজুড়ে রেলপথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করলেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
অনুষ্ঠানের জন্য স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্থাপন করা হয় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার একটি তাঁবু। বেলা ১০টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বড় পর্দায় সেখানে দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রেলকে ধ্বংস করেছিল বিএনপি-জামায়াত। আওয়ামী লীগ রেলকে পুনরুজ্জীবিত করেছে, রেললাইন সম্প্রসারণ ও নতুন নতুন কোচ এবং লোকোমোটিভ এনে রেল যোগাযোগ বাড়িয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারছেন।’
চিলাহাটিপ্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন– সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মমতাজুল হক, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, চিলাহাটি স্টেশন মাস্টার আশরাফ আলী প্রমুখ। এছাড়াও রেলপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রোববার, ০৪ জুন ২০২৩
নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে ২০০৭ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রুটে যাত্রা শুরু করা ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ২০১৫ সালে চিলাহাটি থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচল শুরু করে। নৈশকালীন এই ট্রেন চালুর পর থেকেই দিবাকালীন আরেকটি ট্রেন চালুর দাবি করে আসছিল উত্তরে সীমান্তবর্তী এই জেলার মানুষ। দাবি আদায়ে নানা সময়ে নানান কর্মসূচিও পালন করে তারা।
অতঃপর সেই দিবাকালীন ট্রেনের দাবি পূরণ হলো উত্তরের জনপদের মানুষের। আজ সকাল ১০টায় গণভবন থেকে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এবং বাঁশি বাজিয়ে ভার্চুয়ালি ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ নামের ট্রেনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর নীলফামারীর চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যায়। আগামী ৭ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিলাহাটি-ঢাকা রেলপথে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করবে চিলাহাটি এক্সপ্রেস।
ট্রেনটির উদ্বোধন উপলক্ষে গতকাল সকাল থেকে চিলাহাটি স্টেশন এলাকার আশপাশে জমায়েত হতে থাকে উৎসুক জনতা। তারা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রেল যোগাযোগের উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অনুষ্ঠানস্থল ছাড়াও প্রায় পাঁচ-সাত কিলোমিটারজুড়ে রেলপথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করলেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
অনুষ্ঠানের জন্য স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্থাপন করা হয় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার একটি তাঁবু। বেলা ১০টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বড় পর্দায় সেখানে দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রেলকে ধ্বংস করেছিল বিএনপি-জামায়াত। আওয়ামী লীগ রেলকে পুনরুজ্জীবিত করেছে, রেললাইন সম্প্রসারণ ও নতুন নতুন কোচ এবং লোকোমোটিভ এনে রেল যোগাযোগ বাড়িয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারছেন।’
চিলাহাটিপ্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন– সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মমতাজুল হক, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, চিলাহাটি স্টেশন মাস্টার আশরাফ আলী প্রমুখ। এছাড়াও রেলপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।