alt

অর্থ-বাণিজ্য

১৫ দিনে এলো ১১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

প্রবাসী আয় বাড়লেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছেই। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন হয়েছে। প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে এসেছিল ৯২ কোটি ডলার।

বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি মাসের শুরুতে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ১২৩-১২৪ টাকা পর্যন্ত ওঠায় বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে। এখন কড়াকড়ি আরোপ করায় আয় আসা আবার কমতে পারে। এদিকে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। এই সুযোগে কিছু ব্যাংক আটকে রাখা আমদানি দায় ও বিদেশি ঋণের কিস্তি শোধ করে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৯ কোটি ডলার, যা এ বছরের একই মাসে কমে হয় ১৯৭ কোটি ডলার। গত বছরের আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৩ কোটি ডলার। এবার একই মাসে তা কমে হয় ১৬০ কোটি ডলার। গত সেপ্টেম্বরে আয় আরও কমে ১৩৩ কোটি ডলারে নামে, যা গত বছর একই মাসে ছিল ১৫৪ কোটি ডলার। গত অক্টোবরে আবার আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৭ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই মাসে ছিল ১৫২ কোটি ডলার। আর চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১৫ দিনে আয় আসে ১১৩ কোটি ডলার, গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯২ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। এখন প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে প্রতি ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। তবে প্রবাসী আয়ে সরকারের আড়াই শতাংশের পাশাপাশি ব্যাংক আরও আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিতে পারে। ৫ শতাংশ প্রণোদনার ফলে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ দাম দাঁড়ায় প্রায় ১১৬ টাকা। তবে আমদানি দায়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১১১ টাকা।

ব্যাংকারদের পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এসব দাম তদারক করছে। পাশাপাশি প্রবাসী আয় সংগ্রহে শীর্ষ পর্যায়ে থাকা রেমিট্যান্স হাউসগুলোকেও জানিয়ে দিয়েছে, ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে প্রবাসী আয় আনা যাবে না।

মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন রেমিট্যান্স হাউসগুলোর কর্মকর্তারা জানান, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোই ১২৩-১২৪ টাকায় ডলার কেনার চাহিদা দিয়েছিল। সে জন্য তখন বেশি মানুষ তাদের মাধ্যমে আয় পাঠিয়েছিলেন। এখন বেশির ভাগ ব্যাংক ১১০ টাকা ৫০ পয়সার বেশি দাম দিতে রাজি হচ্ছে না।

এদিকে প্রবাসী আয় বাড়লেও রিজার্ভ বাড়ছে না। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি যেমন কমেনি, পাশাপাশি চলতি মাসে বাংলাদেশকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধ করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৫ দিনে রিজার্ভ কমেছে ১২১ কোটি ডলার।

গত বছরের মার্চে শুরু হওয়া ডলার সংকট এখনও কাটেনি। প্রতি মাসে যে পরিমাণ ডলার খরচ হচ্ছে, ডলার আসছে তার চেয়ে কম। যদিও আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় নতুন ঋণপত্র খোলা কমেছে।

তবে আগের আমদানি দায়, বিদেশি ঋণ শোধ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত কমছে। গত অক্টোবরে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৪৭ কোটি ডলার, যা গত ১৫ নভেম্বর কমে হয় ২ হাজার ৫২৬ কোটি ডলার।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ হবে ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলার। এ ছাড়া নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কম।

ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা তুলে নিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বায়ুদূষণ, ডেঙ্গু সংক্রমণ ও আদালতের তিরস্কার

রিটার্ন দাখিলের সময় দুই মাস বাড়লো

ডলারের দাম বাড়ায় চিনির দাম কমছে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

একের পর এক বাতিল হচ্ছে বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন

প্রকৃত মজুরি নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির চেয়ে বেশি : বিজিএমইএ

উত্থানে ফিরেছে শেয়ারবাজার

এমএসএমই খাতে অর্থায়ন ঘাটতি ২৮০ কোটি ডলার

ছবি

ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা তুলে নিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

রিহ্যাবের প্রশাসক হলেন উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস

ছবি

আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ল ২ মাস

ছবি

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছবি

কৃষি ঋণের সুদহার ১০ শতাংশ ছাড়ালো

বৃদ্ধি পেতে পারে রিটার্ন জমা দেয়ার সময়

জাহাজ নির্মাণ শিল্পের ঋণ পুনঃতফসিলের সময় বাড়লো

শেয়ারবাজারে পতন, লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে

তেল উৎপাদন আরও কমানোর চিন্তা করছে ওপেক

উৎপাদক থেকে ভোক্তা সবাইকে ভেজাল রোধে সচেতন হতে হবে : ভোক্তা অধিকার

নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করলো জাইকা

ছবি

বগুড়ায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন

ছবি

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে আইএমএফ

মাস্টারকার্ড ‘এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলো ২৭টি প্রতিষ্ঠান

চামড়া শিল্পে দীর্ঘদিনেও অর্জিত হয়নি দূষণমুক্ত ও উন্নত কর্মপরিবেশ

সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

ছবি

বাড়লো নীতি সুদহার, বাড়বে ব্যাংকের সুদ হার

ছবি

স্মার্ট অথনীতি : ক্ষুদ্র ও মাঝারিদের প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান

চার মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ ১১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

এক বছরের রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার

ভারত থেকে রেলপথে এলো ২,৭০০ টন চিটাগুড়

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবারও কমেছে

ছবি

বকেয়া পরিশোধ শুরু, ফিরছে ইন্টারনেটের গতি

ছবি

মন্দা বাজারে ফু-ওয়াং সিরামিকের চমক

ছবি

চার মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ ১১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

ছবি

বাজার মূলধন কমলো আরও ৩ হাজার কোটি টাকা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সুখবর নেই, এবার কমে নামলো ১৯.৫ বিলিয়নে

tab

অর্থ-বাণিজ্য

১৫ দিনে এলো ১১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

প্রবাসী আয় বাড়লেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছেই। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন হয়েছে। প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে এসেছিল ৯২ কোটি ডলার।

বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি মাসের শুরুতে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ১২৩-১২৪ টাকা পর্যন্ত ওঠায় বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে। এখন কড়াকড়ি আরোপ করায় আয় আসা আবার কমতে পারে। এদিকে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। এই সুযোগে কিছু ব্যাংক আটকে রাখা আমদানি দায় ও বিদেশি ঋণের কিস্তি শোধ করে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৯ কোটি ডলার, যা এ বছরের একই মাসে কমে হয় ১৯৭ কোটি ডলার। গত বছরের আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৩ কোটি ডলার। এবার একই মাসে তা কমে হয় ১৬০ কোটি ডলার। গত সেপ্টেম্বরে আয় আরও কমে ১৩৩ কোটি ডলারে নামে, যা গত বছর একই মাসে ছিল ১৫৪ কোটি ডলার। গত অক্টোবরে আবার আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৭ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই মাসে ছিল ১৫২ কোটি ডলার। আর চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১৫ দিনে আয় আসে ১১৩ কোটি ডলার, গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯২ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। এখন প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে প্রতি ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। তবে প্রবাসী আয়ে সরকারের আড়াই শতাংশের পাশাপাশি ব্যাংক আরও আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিতে পারে। ৫ শতাংশ প্রণোদনার ফলে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ দাম দাঁড়ায় প্রায় ১১৬ টাকা। তবে আমদানি দায়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১১১ টাকা।

ব্যাংকারদের পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এসব দাম তদারক করছে। পাশাপাশি প্রবাসী আয় সংগ্রহে শীর্ষ পর্যায়ে থাকা রেমিট্যান্স হাউসগুলোকেও জানিয়ে দিয়েছে, ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে প্রবাসী আয় আনা যাবে না।

মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন রেমিট্যান্স হাউসগুলোর কর্মকর্তারা জানান, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোই ১২৩-১২৪ টাকায় ডলার কেনার চাহিদা দিয়েছিল। সে জন্য তখন বেশি মানুষ তাদের মাধ্যমে আয় পাঠিয়েছিলেন। এখন বেশির ভাগ ব্যাংক ১১০ টাকা ৫০ পয়সার বেশি দাম দিতে রাজি হচ্ছে না।

এদিকে প্রবাসী আয় বাড়লেও রিজার্ভ বাড়ছে না। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি যেমন কমেনি, পাশাপাশি চলতি মাসে বাংলাদেশকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধ করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৫ দিনে রিজার্ভ কমেছে ১২১ কোটি ডলার।

গত বছরের মার্চে শুরু হওয়া ডলার সংকট এখনও কাটেনি। প্রতি মাসে যে পরিমাণ ডলার খরচ হচ্ছে, ডলার আসছে তার চেয়ে কম। যদিও আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় নতুন ঋণপত্র খোলা কমেছে।

তবে আগের আমদানি দায়, বিদেশি ঋণ শোধ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত কমছে। গত অক্টোবরে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৪৭ কোটি ডলার, যা গত ১৫ নভেম্বর কমে হয় ২ হাজার ৫২৬ কোটি ডলার।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ হবে ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলার। এ ছাড়া নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কম।

back to top