alt

বাংলাদেশ ভিন্ন ধরনের জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে : আহসান এইচ মনসুর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ এক ভিন্ন ধরনের জটিল রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এর আগে এমনটি হয়নি বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, ‘আগে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করলেও এবার রাজনীতির সঙ্গে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এবার নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক অবস্থার সঙ্গে ভিন্ন একটি দেশের জড়ানো এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক অবস্থার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে পিআরআই কার্যালয়ে ‘আইএমএফ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে মূল উপস্থাপনায় তিনি এসব কথা বলেন। এটি সঞ্চালনা করেন পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক ড. আবদুর রাজ্জাক।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশের আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত। শীঘ্রই এ বিষয়ে জানা যাবে যে, বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে থেকে ৬৮১ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে। যদি না কোনো বড় শক্তি ভিন্ন কিছু করতে না চায়। বাংলাদেশের এবারের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সঙ্গে ভিন্ন দেশ যুক্ত আছে। এটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। তারপরও আইএমএফয়ের ঋণ ছাড়ের পথে কেউ বাধা হবে বলে মনে হয় না। আবার এমনও দৃষ্টান্তও আছে। অতীতে আফ্রিকার দেশ সুদানকে আইএমএফয়ের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ফাইনাল ঘোষণার আগের দিন উল্টো ঘোষণা আসে।’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি ঝুঁকি তৈরি করছে। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য পূরণে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমলেও বাংলাদেশে কমে না। এর কারণ, মুষ্টিমেয় কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমদানি সীমাবদ্ধ থাকা। ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্য ঠিক করলেও লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয় না।’

ডলারের বিনিময় হার হঠাৎ করে বাজারের হাতে ছেড়ে দিলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতির। এজন্য ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের হাতে ছেড়ে দেয়ার আগে পরিবেশ তৈরি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের যে প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে তা ভুয়া, অসত্য। বাজারে ডলারের একাধিক বিনিময় হার থাকার কারণে ব্যাংকগুলো এটি করে থাকে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকই দায়ী।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন যেখানে আছে সেখানে ধরে রাখতে হবে। সেটা ১৭ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারে ধরে রাখতে হবে, বাংলাদেশ সেটা পারবে; সেটার জন্য চেষ্টা করছে। এজন্য বাংলাদেশ বন্ধুরাষ্ট্রের কাছে থেকে ধার নেয়ার চেষ্টা করছে। সৌদি আরব, চীন বা ভারতের কাছ থেকে দুই বিলিয়ন ডলার ধার পেতে পারে। তবে এটি শ্রীলঙ্কার মতো পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার মতো ধার নয়। এই ডলার ধার শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো পর্যায়ে না যাওয়ার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে।’

রাজস্ব আদায় বাড়ানো পুরোপুরি অটোমেশন ছাড়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে করদাতা ও আদায়কারীর মধ্যে সরাসরি দেখা হওয়া বা ফোনে যোগাযোগ হওয়ার মতো মাধ্যম রাজস্ব বৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হলে এসব বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে- বলেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক।

ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে এবার প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা যুক্ত হওয়ার কারণে সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক জায়গাগুলো তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অর্থনীতিকে সচল করবে এমন আমদানি কমেছে। আমদানি কম হওয়ার কারণে রাজস্বেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে রাজস্ব কমবে, নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এজন্য নতুন করদাতাকে খুঁজে বের করার পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ে দুর্নীতি দূর, অটোমেশন ও কর আদায় ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে হবে।’

ছবি

ঢাকা জেলায় মাথাপিছু আয় ৫১৬৩ ডলার: ডিসিসিআই

ছবি

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে শরণখোলার জেলেরা

ছবি

রাজনৈতিক অস্থিরতা, এক বছরে চট্টগ্রামে বন্ধ ২২ পোশাক কারখানা

ছবি

শেয়ারবাজারের মূলধনে যোগ হলো ৬ হাজার কোটি টাকা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যসংযোজিত পণ্য রপ্তানিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশ: আইএমএফ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে এলো গম

ছবি

ঢাকা জেলার মাথাপিছু আয় জাতীয় গড়ের প্রায় দ্বিগুণ: ডিসিসিআই রিপোর্ট

ছবি

সবজির দাম সামান্য কমেছে, অন্য নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে

ছবি

দেশে কার্ডভিত্তিক লেনদেন দ্রুত বাড়ছে

ছবি

২০ শ্রমিকের সম্মতিতেও করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন

ছবি

এক বছরে বাংলাদেশের ৩৬ কারখানা পেল আন্তর্জাতিক ‘সবুজ’ সনদ

ছবি

প্রবাসী করদাতাদের জন্য ই-রিটার্ন দাখিল সহজ হল

ছবি

ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে ৪৮৫০ কোটি টাকা

ছবি

চালু হলো প্যাসিফিকের সাত কারখানা

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে টেকনো’র নতুন স্মার্টফোন স্পার্ক ৪০ ফাইভজি

ছবি

দেশে ‘চামচা পুঁজিবাদী’ অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: সিলেটে ড. দেবপ্রিয়

ছবি

দেশের বাজারে শাওমি ব্ল্যাকশার্ক ব্র্যান্ডের প্যাড ৭ নিয়ে এলো টেকটাইম

ছবি

জুলাই-সেপ্টেম্বরে শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি ৯ হাজার কোটি টাকা

ছবি

তিন দেশ থেকে এক লাখ মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার

ছবি

টানা রেকর্ডের পর কমলো স্বর্ণ-রুপার দাম

ছবি

আল-আরাফাহ্ ব্যাংক ও সমাধান সার্ভিসেসের চুক্তি

ছবি

শিশুখাদ্য আমদানিতে শতভাগ মার্জিনের শর্ত শিথিল

ছবি

পুঁজিবাজারে গুজব ছড়াতে দেয়া যাবে না: আনিসুজ্জামান চৌধুরী

ছবি

রিজার্ভ ছাড়ালো ৩২ বিলিয়ন ডলার

ছবি

আইসিসিবিতে বাংলাদেশ-চীন গ্রিন টেক্সটাইল এক্সপো শুরু

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক করতে চায় প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স

ছবি

বেড়েছে ডলারের দাম

ছবি

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর ৪১৮তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

চার মাস পর ফের ৩০০ কোটি টাকার ঘরে শেয়ারবাজারের লেনদেন

ছবি

পুঁজিবাজারে শিবলী-রিয়াজ আজীবন নিষিদ্ধ

ছবি

দরপত্র ছাড়া ২৮ লাখ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

ছবি

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও জেনারেল হাসপাতালে ব্যবহার হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার

ছবি

বিনিয়োগ ঝুঁকি ও সহনশীলতা সূচকে ১৯৩ তম অবস্থানে বাংলাদেশ: হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে এডিপি বাস্তবায়ন ৫ শতাংশ

ছবি

এলআর গ্লোবালের রিয়াজ ইসলাম শেয়ারবাজারে আজীবন নিষিদ্ধ

ছবি

আমদানি পণ্য ছাড় স্বাভাবিক হয়নি, ব্যবসায়ীরা কষছেন ক্ষতির হিসাব

tab

বাংলাদেশ ভিন্ন ধরনের জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে : আহসান এইচ মনসুর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ এক ভিন্ন ধরনের জটিল রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এর আগে এমনটি হয়নি বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, ‘আগে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করলেও এবার রাজনীতির সঙ্গে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এবার নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক অবস্থার সঙ্গে ভিন্ন একটি দেশের জড়ানো এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক অবস্থার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে পিআরআই কার্যালয়ে ‘আইএমএফ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে মূল উপস্থাপনায় তিনি এসব কথা বলেন। এটি সঞ্চালনা করেন পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক ড. আবদুর রাজ্জাক।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশের আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত। শীঘ্রই এ বিষয়ে জানা যাবে যে, বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে থেকে ৬৮১ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে। যদি না কোনো বড় শক্তি ভিন্ন কিছু করতে না চায়। বাংলাদেশের এবারের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সঙ্গে ভিন্ন দেশ যুক্ত আছে। এটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। তারপরও আইএমএফয়ের ঋণ ছাড়ের পথে কেউ বাধা হবে বলে মনে হয় না। আবার এমনও দৃষ্টান্তও আছে। অতীতে আফ্রিকার দেশ সুদানকে আইএমএফয়ের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ফাইনাল ঘোষণার আগের দিন উল্টো ঘোষণা আসে।’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি ঝুঁকি তৈরি করছে। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য পূরণে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমলেও বাংলাদেশে কমে না। এর কারণ, মুষ্টিমেয় কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমদানি সীমাবদ্ধ থাকা। ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্য ঠিক করলেও লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয় না।’

ডলারের বিনিময় হার হঠাৎ করে বাজারের হাতে ছেড়ে দিলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতির। এজন্য ডলারের বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের হাতে ছেড়ে দেয়ার আগে পরিবেশ তৈরি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের যে প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে তা ভুয়া, অসত্য। বাজারে ডলারের একাধিক বিনিময় হার থাকার কারণে ব্যাংকগুলো এটি করে থাকে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকই দায়ী।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন যেখানে আছে সেখানে ধরে রাখতে হবে। সেটা ১৭ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারে ধরে রাখতে হবে, বাংলাদেশ সেটা পারবে; সেটার জন্য চেষ্টা করছে। এজন্য বাংলাদেশ বন্ধুরাষ্ট্রের কাছে থেকে ধার নেয়ার চেষ্টা করছে। সৌদি আরব, চীন বা ভারতের কাছ থেকে দুই বিলিয়ন ডলার ধার পেতে পারে। তবে এটি শ্রীলঙ্কার মতো পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার মতো ধার নয়। এই ডলার ধার শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো পর্যায়ে না যাওয়ার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে।’

রাজস্ব আদায় বাড়ানো পুরোপুরি অটোমেশন ছাড়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে করদাতা ও আদায়কারীর মধ্যে সরাসরি দেখা হওয়া বা ফোনে যোগাযোগ হওয়ার মতো মাধ্যম রাজস্ব বৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হলে এসব বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে- বলেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক।

ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে এবার প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা যুক্ত হওয়ার কারণে সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক জায়গাগুলো তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অর্থনীতিকে সচল করবে এমন আমদানি কমেছে। আমদানি কম হওয়ার কারণে রাজস্বেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে রাজস্ব কমবে, নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এজন্য নতুন করদাতাকে খুঁজে বের করার পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ে দুর্নীতি দূর, অটোমেশন ও কর আদায় ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে হবে।’

back to top