alt

অর্থ-বাণিজ্য

বিসিকের গবেষণা প্রতিবেদন

চামড়া শিল্পে দীর্ঘদিনেও অর্জিত হয়নি দূষণমুক্ত ও উন্নত কর্মপরিবেশ

অর্র্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

চামড়াশিল্প দেশের পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম খাত। যদিও স্থানীয়ভাবে চামড়ার পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে, তা সত্ত্বেও এই শিল্পের রপ্তানি আশানুরূপ নয়। বর্তমানে যে পরিমাণ চামড়া রপ্তানি হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার উপযুক্ত দাম পান না উদ্যোক্তারা।

দীর্ঘদিনেও দেশের চামড়াশিল্প খাতে অর্জিত হয়নি দূষণমুক্ত ও উন্নত কর্মপরিবেশ (কমপ্লায়েন্স), যার প্রভাব পড়ছে রপ্তানিতেও। এই কমপ্লায়েন্স অর্জন না করার পেছনে চারটি কারণের কথা উঠে এসেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।

বিসিকের যে চারটি কারণ চিহ্নিত করেছে, সেগুলো হলো সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের (সিইটিপি) সক্ষমতার অভাব, কমপ্লায়েন্স সম্পর্কে কারখানা বা ট্যানারি মালিকদের যথাযথ ধারণা না থাকা, কঠিন বর্জ্যরে অব্যবস্থাপনা এবং ট্যানারির অভ্যন্তরীণ পরিবেশের মান উন্নত না হওয়া।

এসব কারণে ট্যানারিশিল্পের মানসনদ প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) থেকে স্বীকৃতি পাচ্ছে না সাভারে অবস্থিত ট্যানারিগুলো। দেশে বর্তমানে এলডব্লিউজি সনদ পাওয়া চারটি ট্যানারি রয়েছে, যার সবকটিই সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর বাইরে।

মূলত চামড়াশিল্পে কমপ্লায়েন্স অর্জনের ক্ষেত্রে ট্যানারিগুলোর কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, তা জানতে গবেষণাটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিসিকের পরিকল্পনা ও গবেষণা বিভাগ। তবে এতে সিইটিপির দুর্বলতা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়নি।

অন্যদিকে ট্যানারির মালিকেরা বলছেন, কমপ্লায়েন্স অর্জনের ক্ষেত্রে সিইটিপিই প্রধান বিষয়। সেটি ঠিক না করে ট্যানারিগুলোর মান নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে বিসিক দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।

সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে বর্তমানে ১৪০টি ট্যানারি চালু রয়েছে। এর মধ্যে ১০৯টি ট্যানারির তথ্য নিয়ে গবেষণাটি করেছে বিসিক। এলডব্লিউজি সনদ পেতে হলে ট্যানারিগুলোকে বেশ কিছু মানদন্ড পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে ট্যানারির সামাজিক নিরীক্ষা অন্যতম একটি শর্ত। তবে চামড়াশিল্প নগরীর প্রায় ৮৫ শতাংশ ট্যানারি এই নিরীক্ষা সম্পন্ন করেনি।

চামড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অন্যতম ক্ষতিকর পদার্থ ক্রোমিয়াম। কিন্তু শিল্পনগরীর অর্ধেক ট্যানারিই তাদের কারখানায় ব্যবহৃত ক্রোমিয়ামের মাত্রা পরিমাপ করে না। আর ৭০ শতাংশ ট্যানারি কারখানায় ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ ও বর্জ্যরে তালিকা (রেজিস্টার) সংরক্ষণ করে না।

বিসিকের গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সাভারের ট্যানারিগুলোর মধ্যে ৩৫টির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, বয়লারের অনুমতি নেই ২০টির এবং রাসায়নিক পদার্থ ক্রয় ও সংরক্ষণের অনুমতি নেই ৩৬টির। শিল্পনগরীর শতকরা ৮৬ শতাংশ ট্যানারির ইনকামিং ট্রেসিবিলিটি ও শতকরা ৫৫ শতাংশ ট্যানারির তাদের কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্যের গন্তব্য জানা নেই।

গবেষণায় উঠে এসেছে, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা (ইসিআর) ১৯৯৭ অনুযায়ী, প্রতি টন কাঁচা চামড়া উৎপাদনে সর্বোচ্চ ৩০ ঘনমিটার পানি ব্যবহারের বিধান রয়েছে। কিন্তু ট্যানারিগুলো এর চেয়ে বেশি পরিমাণে পানি ব্যবহার করছে।

বিসিকের গবেষণায় বলা হয়েছে, ট্যানারিতে উৎপন্ন কঠিন বর্জ্য খোলা স্থানে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে ডাম্পিং ইয়ার্ডে একটি প্রতিরোধী ব্যবস্থা স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছে বিসিক। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভয়াবহ পরিবেশদূষণ ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির মতো কারণগুলো এলডব্লিউজি সনদ না পাওয়ার পেছনে কাজ করছে। সিইটিপির ওপরে চাপ কমাতে অপেক্ষকাকৃত বড় ট্যানারিগুলোকে নিজ ব্যবস্থাপনায় ইটিপি নির্মাণে বাধ্য করা বা পাঁচ-সাতটি ট্যানারির সমন্বয়ে ক্লাস্টার গঠনের সুপারিশ করেছে বিসিক।

ছবি

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে থেকে

ছবি

এপ্রিল মাসে অর্থনীতির গতি কমেছে, পিএমআই সূচক নামলো ৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে

অনিবন্ধিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

বাংলাদেশ জুড়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের টেকসই নানা উদ্যোগ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করলেন এডিবি প্রেসিডেন্ট

মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

ছবি

কর প্রশাসন আধুনিকায়নে এডিবির সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ উপদেষ্টার

বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ

ছবি

২০৩০ সালে চালু হবে বে টার্মিনাল, কর্মসংস্থান লাখ মানুষের

ছবি

চলতি অর্থবছরের সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় এপ্রিলে

ছবি

গ্লাস শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০৩০ সাল পর্যন্ত মওকুফ

বিজিএমইএ নির্বাচন: সম্মিলিত পরিষদের ৩৫ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা

ছবি

মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মুনাফা ৩৩০০ কোটি টাকা, যা ব্র্যাক, সিটি ও পূবালী ব্যাংকের চেয়েও বেশি

দ্বিতীয় দিনেও আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি

ছবি

ডেনিম এক্সপো শুরু হচ্ছে ১২ মে

যুদ্ধের প্রভাবে সূচক পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারে, রুপিরও দরপতন

একনেকে ৩৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

রাজশাহীতে দেড় হাজার কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্য

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ঢাকার শেয়ারবাজারে বড় ধস

ছবি

পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার হবে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

ছবি

ফের পতন শেয়ারবাজারে, সূচকের অবস্থান ৪ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে

চার খাতে এডিবির কাছে সহযোগিতা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশকে প্রায় ৪০ কোটি ইউরো ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে ইআইবি এবং ইইউ

ছবি

এপ্রিলে তৈরি পোশাকে রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার

ছবি

চট করে আইএমএফের শর্ত মেনে নিয়ে কিছুই করব না: অর্থ উপদেষ্টা

বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন শেয়ারবাজারে

ছবি

বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হলো সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডিকে

বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করা ছয় সংস্থা একীভূত করার উদ্যোগে কমিটি গঠন

ছবি

মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ২০ ব্যাংকের

রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকে অভিন্ন পদোন্নতি নীতিমালা

ছবি

আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে, সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট

ছবি

ঋণের দুই কিস্তি ছাড়ে ফের আলোচনায় বসছে আইএমএফ

ছবি

আইএমএফ ঋণ নিয়ে এডিবির জিজ্ঞাসা, আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ

ছবি

উদ্যোক্তাদের সুবিধায় বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে এলো জাতিক ক্যাপিটাল

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বিসিকের গবেষণা প্রতিবেদন

চামড়া শিল্পে দীর্ঘদিনেও অর্জিত হয়নি দূষণমুক্ত ও উন্নত কর্মপরিবেশ

অর্র্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

চামড়াশিল্প দেশের পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম খাত। যদিও স্থানীয়ভাবে চামড়ার পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে, তা সত্ত্বেও এই শিল্পের রপ্তানি আশানুরূপ নয়। বর্তমানে যে পরিমাণ চামড়া রপ্তানি হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার উপযুক্ত দাম পান না উদ্যোক্তারা।

দীর্ঘদিনেও দেশের চামড়াশিল্প খাতে অর্জিত হয়নি দূষণমুক্ত ও উন্নত কর্মপরিবেশ (কমপ্লায়েন্স), যার প্রভাব পড়ছে রপ্তানিতেও। এই কমপ্লায়েন্স অর্জন না করার পেছনে চারটি কারণের কথা উঠে এসেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।

বিসিকের যে চারটি কারণ চিহ্নিত করেছে, সেগুলো হলো সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের (সিইটিপি) সক্ষমতার অভাব, কমপ্লায়েন্স সম্পর্কে কারখানা বা ট্যানারি মালিকদের যথাযথ ধারণা না থাকা, কঠিন বর্জ্যরে অব্যবস্থাপনা এবং ট্যানারির অভ্যন্তরীণ পরিবেশের মান উন্নত না হওয়া।

এসব কারণে ট্যানারিশিল্পের মানসনদ প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) থেকে স্বীকৃতি পাচ্ছে না সাভারে অবস্থিত ট্যানারিগুলো। দেশে বর্তমানে এলডব্লিউজি সনদ পাওয়া চারটি ট্যানারি রয়েছে, যার সবকটিই সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর বাইরে।

মূলত চামড়াশিল্পে কমপ্লায়েন্স অর্জনের ক্ষেত্রে ট্যানারিগুলোর কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, তা জানতে গবেষণাটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিসিকের পরিকল্পনা ও গবেষণা বিভাগ। তবে এতে সিইটিপির দুর্বলতা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়নি।

অন্যদিকে ট্যানারির মালিকেরা বলছেন, কমপ্লায়েন্স অর্জনের ক্ষেত্রে সিইটিপিই প্রধান বিষয়। সেটি ঠিক না করে ট্যানারিগুলোর মান নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে বিসিক দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।

সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে বর্তমানে ১৪০টি ট্যানারি চালু রয়েছে। এর মধ্যে ১০৯টি ট্যানারির তথ্য নিয়ে গবেষণাটি করেছে বিসিক। এলডব্লিউজি সনদ পেতে হলে ট্যানারিগুলোকে বেশ কিছু মানদন্ড পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে ট্যানারির সামাজিক নিরীক্ষা অন্যতম একটি শর্ত। তবে চামড়াশিল্প নগরীর প্রায় ৮৫ শতাংশ ট্যানারি এই নিরীক্ষা সম্পন্ন করেনি।

চামড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অন্যতম ক্ষতিকর পদার্থ ক্রোমিয়াম। কিন্তু শিল্পনগরীর অর্ধেক ট্যানারিই তাদের কারখানায় ব্যবহৃত ক্রোমিয়ামের মাত্রা পরিমাপ করে না। আর ৭০ শতাংশ ট্যানারি কারখানায় ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ ও বর্জ্যরে তালিকা (রেজিস্টার) সংরক্ষণ করে না।

বিসিকের গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সাভারের ট্যানারিগুলোর মধ্যে ৩৫টির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, বয়লারের অনুমতি নেই ২০টির এবং রাসায়নিক পদার্থ ক্রয় ও সংরক্ষণের অনুমতি নেই ৩৬টির। শিল্পনগরীর শতকরা ৮৬ শতাংশ ট্যানারির ইনকামিং ট্রেসিবিলিটি ও শতকরা ৫৫ শতাংশ ট্যানারির তাদের কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্যের গন্তব্য জানা নেই।

গবেষণায় উঠে এসেছে, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা (ইসিআর) ১৯৯৭ অনুযায়ী, প্রতি টন কাঁচা চামড়া উৎপাদনে সর্বোচ্চ ৩০ ঘনমিটার পানি ব্যবহারের বিধান রয়েছে। কিন্তু ট্যানারিগুলো এর চেয়ে বেশি পরিমাণে পানি ব্যবহার করছে।

বিসিকের গবেষণায় বলা হয়েছে, ট্যানারিতে উৎপন্ন কঠিন বর্জ্য খোলা স্থানে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে ডাম্পিং ইয়ার্ডে একটি প্রতিরোধী ব্যবস্থা স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছে বিসিক। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভয়াবহ পরিবেশদূষণ ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির মতো কারণগুলো এলডব্লিউজি সনদ না পাওয়ার পেছনে কাজ করছে। সিইটিপির ওপরে চাপ কমাতে অপেক্ষকাকৃত বড় ট্যানারিগুলোকে নিজ ব্যবস্থাপনায় ইটিপি নির্মাণে বাধ্য করা বা পাঁচ-সাতটি ট্যানারির সমন্বয়ে ক্লাস্টার গঠনের সুপারিশ করেছে বিসিক।

back to top