alt

অর্থ-বাণিজ্য

এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে আইএমএফ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করতে গিয়ে শুল্ক-কর আদায়ের চাপ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইএমএফই সেই লক্ষ্য কমিয়ে দিয়েছে।

আইএমএফের দেয়া লক্ষ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে চার লাখ কোটি টাকার বেশি শুল্ক-কর আদায় করতে হবে। কিন্তু বছরের প্রথম চার মাসেই লক্ষ্য অর্জনের পথে বেশ পিছিয়ে পড়েছে এনবিআর। জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থনীতিতে নানা অনিশ্চয়তায় পড়েছে। হরতাল-অবরোধে ব্যবসা-বাণিজ্যেও ভাটা চলছে। ফলে আইএমএফের দেয়া লক্ষ্য অর্জন ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে।

এনবিআর সূত্র জানায়, আইএমএফ দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে গত মাসে এ দেশের অর্থনীতির সর্বশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে। তখন একাধিক দফায় এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আইএমএফ চায়, চলতি অর্থবছরে অন্তত ৪ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা আদায় করুক এনবিআর। অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের লক্ষ্য কমলো ২৯ হাজার কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, গত অর্থবছরেও এনবিআরের জন্য প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দিয়েছিল আইএমএফ। কিন্তু বছর শেষে আইএমএফের দেয়া সেই লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি এনবিআর। সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ছিল ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

চলতি বছরের শুরুতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। এ ঋণ পাওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল, প্রতি বছর রাজস্ব আদায়ের স্বাভাবিক প্রবণতার চেয়ে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এটা নির্বাচনের বছর। নির্বাচনের বছরে ডলারেরও সংকট চলছে। আমদানি কমে গেছে, কমে গেছে ব্যবসার গতি। ফলে এমন পরিস্থিতিতে লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে রাজস্ব আয় আদায় করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হতেই পারে।’

এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, রাজনৈতিক এসব কর্মসূচির কারণে অতীতের মতো এবারও রাজস্ব আদায় কমেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না এনবিআর। বছরের শুরু থেকে নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়ছে রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সংস্থা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) শুল্ক, করসহ সব মিলিয়ে ১৩ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকার রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। এ সময় সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। তবে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। এটি এনবিআরের সাময়িক হিসাব।

কর্মকর্তারা মনে করছেন, শুল্ক-কর আদায়ের এ ধারা বজায় থাকলে বছর শেষে তিন লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি পরিমাণ শুল্ক-কর আদায় হতে পারে। তাহলে বছর শেষে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। বছরের শেষ দিকে সাধারণত রাজস্ব আদায়ে গতি বাড়ে। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আদায় আরও পিছিয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আমদানি, ভ্যাট ও আয়কর এই তিন খাতের মধ্যে কোনোটির ক্ষেত্রেই চার মাসের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হয়নি। সবচেয়ে বেশি ঘাটতি মূল্য সংযোজন কর বা মূসক বা ভ্যাট খাতে। এ খাতে চার মাসে ঘাটতি ছিল ৪ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা। এ সময়ে ৪৩ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু আদায় হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে চার মাসে আমদানি খাতে ৩৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে ৩২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এ খাতে ঘাটতি ৪ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। আয়কর খাতে ঘাটতি ৪ হাজার ৮০২ কোটি টাকা। এ সময়ে আয়কর আদায় হয়েছে ৩১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার। এ খাতে লক্ষ্য ছিল ৩৬ হাজার ৬২ কোটি টাকা।

ছবি

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে থেকে

ছবি

এপ্রিল মাসে অর্থনীতির গতি কমেছে, পিএমআই সূচক নামলো ৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে

অনিবন্ধিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

বাংলাদেশ জুড়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের টেকসই নানা উদ্যোগ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করলেন এডিবি প্রেসিডেন্ট

মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

ছবি

কর প্রশাসন আধুনিকায়নে এডিবির সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ উপদেষ্টার

বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ

ছবি

২০৩০ সালে চালু হবে বে টার্মিনাল, কর্মসংস্থান লাখ মানুষের

ছবি

চলতি অর্থবছরের সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় এপ্রিলে

ছবি

গ্লাস শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০৩০ সাল পর্যন্ত মওকুফ

বিজিএমইএ নির্বাচন: সম্মিলিত পরিষদের ৩৫ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা

ছবি

মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মুনাফা ৩৩০০ কোটি টাকা, যা ব্র্যাক, সিটি ও পূবালী ব্যাংকের চেয়েও বেশি

দ্বিতীয় দিনেও আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি

ছবি

ডেনিম এক্সপো শুরু হচ্ছে ১২ মে

যুদ্ধের প্রভাবে সূচক পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারে, রুপিরও দরপতন

একনেকে ৩৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

রাজশাহীতে দেড় হাজার কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্য

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ঢাকার শেয়ারবাজারে বড় ধস

ছবি

পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার হবে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

ছবি

ফের পতন শেয়ারবাজারে, সূচকের অবস্থান ৪ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে

চার খাতে এডিবির কাছে সহযোগিতা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশকে প্রায় ৪০ কোটি ইউরো ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে ইআইবি এবং ইইউ

ছবি

এপ্রিলে তৈরি পোশাকে রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার

ছবি

চট করে আইএমএফের শর্ত মেনে নিয়ে কিছুই করব না: অর্থ উপদেষ্টা

বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন শেয়ারবাজারে

ছবি

বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হলো সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডিকে

বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করা ছয় সংস্থা একীভূত করার উদ্যোগে কমিটি গঠন

ছবি

মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ২০ ব্যাংকের

রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকে অভিন্ন পদোন্নতি নীতিমালা

ছবি

আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে, সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট

ছবি

ঋণের দুই কিস্তি ছাড়ে ফের আলোচনায় বসছে আইএমএফ

ছবি

আইএমএফ ঋণ নিয়ে এডিবির জিজ্ঞাসা, আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ

ছবি

উদ্যোক্তাদের সুবিধায় বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে এলো জাতিক ক্যাপিটাল

tab

অর্থ-বাণিজ্য

এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে আইএমএফ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করতে গিয়ে শুল্ক-কর আদায়ের চাপ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইএমএফই সেই লক্ষ্য কমিয়ে দিয়েছে।

আইএমএফের দেয়া লক্ষ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে চার লাখ কোটি টাকার বেশি শুল্ক-কর আদায় করতে হবে। কিন্তু বছরের প্রথম চার মাসেই লক্ষ্য অর্জনের পথে বেশ পিছিয়ে পড়েছে এনবিআর। জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থনীতিতে নানা অনিশ্চয়তায় পড়েছে। হরতাল-অবরোধে ব্যবসা-বাণিজ্যেও ভাটা চলছে। ফলে আইএমএফের দেয়া লক্ষ্য অর্জন ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে।

এনবিআর সূত্র জানায়, আইএমএফ দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে গত মাসে এ দেশের অর্থনীতির সর্বশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে। তখন একাধিক দফায় এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আইএমএফ চায়, চলতি অর্থবছরে অন্তত ৪ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা আদায় করুক এনবিআর। অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের লক্ষ্য কমলো ২৯ হাজার কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, গত অর্থবছরেও এনবিআরের জন্য প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দিয়েছিল আইএমএফ। কিন্তু বছর শেষে আইএমএফের দেয়া সেই লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি এনবিআর। সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ছিল ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

চলতি বছরের শুরুতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। এ ঋণ পাওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল, প্রতি বছর রাজস্ব আদায়ের স্বাভাবিক প্রবণতার চেয়ে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এটা নির্বাচনের বছর। নির্বাচনের বছরে ডলারেরও সংকট চলছে। আমদানি কমে গেছে, কমে গেছে ব্যবসার গতি। ফলে এমন পরিস্থিতিতে লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে রাজস্ব আয় আদায় করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হতেই পারে।’

এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, রাজনৈতিক এসব কর্মসূচির কারণে অতীতের মতো এবারও রাজস্ব আদায় কমেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না এনবিআর। বছরের শুরু থেকে নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়ছে রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সংস্থা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) শুল্ক, করসহ সব মিলিয়ে ১৩ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকার রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। এ সময় সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। তবে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। এটি এনবিআরের সাময়িক হিসাব।

কর্মকর্তারা মনে করছেন, শুল্ক-কর আদায়ের এ ধারা বজায় থাকলে বছর শেষে তিন লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি পরিমাণ শুল্ক-কর আদায় হতে পারে। তাহলে বছর শেষে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। বছরের শেষ দিকে সাধারণত রাজস্ব আদায়ে গতি বাড়ে। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আদায় আরও পিছিয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আমদানি, ভ্যাট ও আয়কর এই তিন খাতের মধ্যে কোনোটির ক্ষেত্রেই চার মাসের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হয়নি। সবচেয়ে বেশি ঘাটতি মূল্য সংযোজন কর বা মূসক বা ভ্যাট খাতে। এ খাতে চার মাসে ঘাটতি ছিল ৪ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা। এ সময়ে ৪৩ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু আদায় হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে চার মাসে আমদানি খাতে ৩৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে ৩২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এ খাতে ঘাটতি ৪ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। আয়কর খাতে ঘাটতি ৪ হাজার ৮০২ কোটি টাকা। এ সময়ে আয়কর আদায় হয়েছে ৩১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার। এ খাতে লক্ষ্য ছিল ৩৬ হাজার ৬২ কোটি টাকা।

back to top