alt

আন্তর্জাতিক বাজার : ডলারের দরপতন সবচেয়ে বেশি নভেম্বরে

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

বিশ্বে প্রচলিত ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে নভেম্বরে ইউ এস ডলারের দরপতন হার সবচেয়ে বেশি ছিল। এ সময় মুদ্রাটির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। তবে এটি আমদানিনির্ভর ও ডলারভিত্তিক ঋণ পরিশোধ করে এমন দেশগুলোর জন্য সুসংবাদ। ডলারের অবমূল্যায়ন হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের আমদানীকৃত পণ্যের জন্য আগের তুলনায় আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে বলে জানা গেছে। সিএনএন।

জুলাইয়ের মাঝামাঝি ও অক্টোবরের শুরুর দিকে মার্কিন ডলার সূচক ৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ইতিবাচক অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ধারণা করা হচ্ছিল ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার আরও বেশি নির্ধারণ করবে।

সুদহার বাড়লে মুদ্রার মানও বাড়তে থাকে। কারণ সেই সময় বাইরের দেশের বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়। তারা এর মাধ্যমে বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারে, যে কারণে মুদ্রার চাহিদাও বাড়ে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় মার্কিন অর্থনীতির গতি ধীর হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের ধারণা, ফেড ঋণ খরচ আর বাড়াবে না এবং দ্রুতই সুদহার কমানো শুরু করবে।

কমার্জব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা গবেষণার প্রধান উলরিচ লিউচম্যান সিএনএনকে বলেন, ‘আরও দুই প্রান্তিক মার্কিন ডলারের অবমূল্যায়ন থাকবে বলে আমার মনে হচ্ছে। সুদহার কমানোর বিষয়ে ফেডের সিদ্ধান্ত এ ধারণাকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।’

যুক্তরাজ্যের সুইডিশ ব্যাংক হ্যান্ডেলসব্যাঙ্কেনের পুঁজিবাজার টিমের ক্যামেরন উইলার্ড জানান, তিনি ধারণা করছেন আগামী বছরের প্রথমার্ধে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকবে, বছরের শেষদিকে ডলারের মূল্য আবার বাড়তে পারে। কারণ শেষদিকে বেশ কয়েকটি দেশের নির্বাচনের ফল সামনে আসবে। যে কারণে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাও বাড়তে পারে।’

অস্থির সময়ে বিনিয়োগকারীরা ডলারকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন, যেখানে তাদের নগদ অর্থের মূল্য বজায় রাখবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, ডলারের এ অবমূল্যায়ন দীর্ঘমেয়াদি হবে। এজন্য আমাদের একটি বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প থাকা দরকার, ডলার এখনও বিশ্বের রিজার্ভ কারেন্সি এবং বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ মুদ্রা। আমরা এর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা দেখছি না।’

টরন্টো ডোমেনিয়ন (টিডি) সিকিউরিটিজের বৈদেশিক মুদ্রার উদীয়মান বাজার কৌশলের বৈশ্বিক প্রধান মার্ক ম্যাককরমিক বলেন, ‘ডলারের দরপতনের কারণে লাভবান হবে আমদানিনির্ভর দেশগুলো।

তারা খাদ্যশস্য ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কম মূল্যে কিনতে পারবে। ফলে এমন দেশগুলোর সামগ্রিক অর্থনীতির মূল্যস্ফীতি কমতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, জাপান, কোরিয়া, ভারত ও ইউরো ব্যবহার করা অনেক দেশই পণ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল।’

আমেরিকান রপ্তানিকারকরাও লাভবান হবে তাদের পণ্যের দাম অন্য মুদ্রায় কমে যাওয়ায় পণ্যের বিক্রি অন্যান্য দেশে বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ডলারের অবমূল্যায়ন আমেরিকান ভোক্তাদের জন্য খারাপ খবর। কারণ তাদের ওয়াইন বা চীনের তৈরি খেলনার মতো আমদানি করা পণ্যের জন্য এবং বিদেশে ছুটি কাটাতে আগের তুলনায় বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে।

লিউচম্যান জানান, ডলারের অবমূল্যায়ন বা দরপতন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কেননা পণ্য আমদানির জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে এবং রপ্তানিকৃত পণ্য থেকেও আয় কম হবে। তবে মূল্য বাড়ানোর পেছনে অন্যান্য কারণও আছে। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি আরও কমার পূর্বাভাস দিয়েছেন।

ছবি

বাংলাদেশে তুলা রপ্তানিতে জটিলতার সমাধান চান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা তিন মাস কমলো দেশের পণ্য রপ্তানি

ছবি

শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে চায় ১২ প্রতিষ্ঠান

ছবি

নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সমন্বয় ছাড়া আর্থিক খাতের সংস্কার টেকসই হবে না, আলোচনায় বক্তারা

ছবি

বে টার্মিনাল চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হবে: বন্দর চেয়ারম্যান

ছবি

সূচকের পতনে দাম কমল ৩০০ কোম্পানির

ছবি

বিদেশী ঋণের ১৯০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে সামিট মেঘনাঘাট

ছবি

বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল

ছবি

পরপর দুই মাস রেমিট্যান্স এসেছে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন করেছে আকিজ রিসোর্স

ছবি

তিন দিনের পর্যটন মেলায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

ছবি

বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে: আইএসপিএবি

ছবি

বাজারে রেসি ব্র্যান্ডের হাই ক্যাপাসিটি পাওয়ার ব্যাংক

ছবি

মৌসুমের দ্বিতীয় দিনেও সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের উপস্থিতি নেই, হতাশ ব্যবসায়ীরা

ছবি

চালু হলো এমএফএস ও ব্যাংক আন্তলেনদেন

ছবি

ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারে দরপতন, লেনদেন ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ-শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ ৩ মাস স্থগিত

ছবি

‘বিডাকে দ্রুত পরিবর্তিত বিনিয়োগ পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে’

ছবি

জুলাই-সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া

ছবি

বিশ্বের প্রথম ৫ লাখ কোটি ডলারের কোম্পানি এনভিডিয়া

ছবি

নিষেধাজ্ঞা উঠলেও নভেম্বরে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ

ছবি

শেয়ারবাজারে বাজার মূলধন হারালো প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা

ছবি

এসএমই খাতকে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের উদ্যোগ

ছবি

৩০ নভেম্বরের মধ্যে করদাতাদের ই-রিটার্ন জমা দিতে হবে: এনবিআর

ছবি

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: ২০২৬ সালে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও ৭ শতাংশ কমতে পারে

ছবি

সরকারি মালিকানার ব্যাংকের পরিচালকদের কাজের বছরভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে

ছবি

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করি না: লুৎফে সিদ্দিকী

ছবি

চলতি কর বছরে ই-রিটার্ন ১০ লাখ ছাড়িয়েছে

ছবি

খেলাপির প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করায় সন্তোষ প্রকাশ আইএমএফের

ছবি

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপাল গেল ১ হাজার ৪০৭ টন আলু

ছবি

বিদেশি ঋণ পাওয়ার চেয়ে পরিশোধই বেশি

ছবি

বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করছে আইএমএফ

ছবি

প্রাইম ব্যাংকের নিট মুনাফা বেড়েছে ২৭ শতাংশ

ছবি

সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি তদন্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন

tab

আন্তর্জাতিক বাজার : ডলারের দরপতন সবচেয়ে বেশি নভেম্বরে

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

বিশ্বে প্রচলিত ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে নভেম্বরে ইউ এস ডলারের দরপতন হার সবচেয়ে বেশি ছিল। এ সময় মুদ্রাটির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। তবে এটি আমদানিনির্ভর ও ডলারভিত্তিক ঋণ পরিশোধ করে এমন দেশগুলোর জন্য সুসংবাদ। ডলারের অবমূল্যায়ন হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের আমদানীকৃত পণ্যের জন্য আগের তুলনায় আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে বলে জানা গেছে। সিএনএন।

জুলাইয়ের মাঝামাঝি ও অক্টোবরের শুরুর দিকে মার্কিন ডলার সূচক ৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ইতিবাচক অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ধারণা করা হচ্ছিল ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার আরও বেশি নির্ধারণ করবে।

সুদহার বাড়লে মুদ্রার মানও বাড়তে থাকে। কারণ সেই সময় বাইরের দেশের বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়। তারা এর মাধ্যমে বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারে, যে কারণে মুদ্রার চাহিদাও বাড়ে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় মার্কিন অর্থনীতির গতি ধীর হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের ধারণা, ফেড ঋণ খরচ আর বাড়াবে না এবং দ্রুতই সুদহার কমানো শুরু করবে।

কমার্জব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা গবেষণার প্রধান উলরিচ লিউচম্যান সিএনএনকে বলেন, ‘আরও দুই প্রান্তিক মার্কিন ডলারের অবমূল্যায়ন থাকবে বলে আমার মনে হচ্ছে। সুদহার কমানোর বিষয়ে ফেডের সিদ্ধান্ত এ ধারণাকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।’

যুক্তরাজ্যের সুইডিশ ব্যাংক হ্যান্ডেলসব্যাঙ্কেনের পুঁজিবাজার টিমের ক্যামেরন উইলার্ড জানান, তিনি ধারণা করছেন আগামী বছরের প্রথমার্ধে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকবে, বছরের শেষদিকে ডলারের মূল্য আবার বাড়তে পারে। কারণ শেষদিকে বেশ কয়েকটি দেশের নির্বাচনের ফল সামনে আসবে। যে কারণে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাও বাড়তে পারে।’

অস্থির সময়ে বিনিয়োগকারীরা ডলারকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন, যেখানে তাদের নগদ অর্থের মূল্য বজায় রাখবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, ডলারের এ অবমূল্যায়ন দীর্ঘমেয়াদি হবে। এজন্য আমাদের একটি বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প থাকা দরকার, ডলার এখনও বিশ্বের রিজার্ভ কারেন্সি এবং বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ মুদ্রা। আমরা এর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা দেখছি না।’

টরন্টো ডোমেনিয়ন (টিডি) সিকিউরিটিজের বৈদেশিক মুদ্রার উদীয়মান বাজার কৌশলের বৈশ্বিক প্রধান মার্ক ম্যাককরমিক বলেন, ‘ডলারের দরপতনের কারণে লাভবান হবে আমদানিনির্ভর দেশগুলো।

তারা খাদ্যশস্য ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কম মূল্যে কিনতে পারবে। ফলে এমন দেশগুলোর সামগ্রিক অর্থনীতির মূল্যস্ফীতি কমতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, জাপান, কোরিয়া, ভারত ও ইউরো ব্যবহার করা অনেক দেশই পণ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল।’

আমেরিকান রপ্তানিকারকরাও লাভবান হবে তাদের পণ্যের দাম অন্য মুদ্রায় কমে যাওয়ায় পণ্যের বিক্রি অন্যান্য দেশে বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ডলারের অবমূল্যায়ন আমেরিকান ভোক্তাদের জন্য খারাপ খবর। কারণ তাদের ওয়াইন বা চীনের তৈরি খেলনার মতো আমদানি করা পণ্যের জন্য এবং বিদেশে ছুটি কাটাতে আগের তুলনায় বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে।

লিউচম্যান জানান, ডলারের অবমূল্যায়ন বা দরপতন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কেননা পণ্য আমদানির জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে এবং রপ্তানিকৃত পণ্য থেকেও আয় কম হবে। তবে মূল্য বাড়ানোর পেছনে অন্যান্য কারণও আছে। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি আরও কমার পূর্বাভাস দিয়েছেন।

back to top