মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা রেমিট্যান্স লেনদেনের সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে সরাসরি রেমিট্যান্সভোগীর কাছে পাঠানো যাবে।
বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত সব এমএফএস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান ও তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এমএফএস হিসাবে বৈধ উপায়ে পাঠানো রেমিট্যান্সের সীমা বৃদ্ধি সম্পর্কে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে আগত রেমিট্যান্স মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) হিসাবের মাধ্যমে বিতরণের ক্ষেত্রে রেমিট্যান্সভোগীর এমএফএস হিসাবে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা (নগদ প্রণোদনার অর্থ ব্যতীত) ব্যাংক কর্তৃক সরাসরি দেওয়া যাবে।
মোবাইল ব্যাংকিং নামে পরিচিত বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায় ও এম ক্যাশের মতো এমএফএস সেবাদাতা কোম্পানির মাধ্যমে রেমিটেন্স আনার পরিমাণ বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জমি কেনাসহ বিশেষ প্রয়োজনে অনেক সময়ে প্রবাসীদের একসঙ্গে বড় অঙ্কের রেমিটেন্স পাঠানোর প্রয়োজন হয়। এজন্য অনেকেই আবেদন করেছেন সীমা বাড়াতে। রেমিটেন্স সংগ্রহের বিষয়টি এখন অগ্রাধিকার তালিকায় থাকায় এ সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে সার্কুলারে কোনো এমএফএস গ্রাহকের হিসাবে রেমিটেন্সের স্থিতি তিন লাখ টাকা অতিক্রম করলে নতুন করে কোনো অর্থ ওই হিসাবে ক্যাশ ইন বা অ্যাড ইন (মোবাইল হিসাবে অর্থ জমা) করা যাবে না। হিসাবের স্থিতি পুনরায় তিন লাখ টাকার নিচে নামলে ক্যাশ ইন ও অ্যাড মানি করা যাবে।
বর্তমানে এমএফএস হিসাবে সরাসরি রেমিটেন্স পাঠাতে পারেন প্রবাসীরা। তবে এক্ষেত্রে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে এমএফএস হিসাব থাকা ব্যক্তির কোনো ব্যাংক অ্যাকউন্ট লাগে না।
আর বিদেশে থাকা ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে শুধু এমএফএস হিসাবের নাম্বারের বিপরীতে রেমিটেন্স পাঠানো যায়। এরপর দেশি কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে সেই অর্থ সুবিধাভোগীর এমএফএস হিসাবে চলে যায়।
সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, শুধু রেমিটেন্সের অর্থ এমএফএস হিসাবে পাঠানো যাবে। রেমিটেন্সের বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অর্থ পাঠানো যাবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে এমএফএস হিসাবের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৫২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের বছর সেপ্টেম্বরের তুলনায় তা ৫৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ১৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকা বেশি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ মাধ্যমে এসেছিল ৩৩০ কোটি ১১ লাখ টাকা।
গত সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে মোবাইল হিসাবের মাধ্যমে ১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা রেমিটেন্স এসেছে। আর সেপ্টেম্বরে এমএফএস হিসাবের মাধ্যমে মোট এক লাখ ৮ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
রেমিট্যান্সের খাত ব্যতীত এমএফএসের অন্যান্য সব লেনদেনের ক্ষেত্রে এ বিভাগের ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে জারি করা নির্দেশনা পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্দেশনার ফলে ইতোপূর্বে জারি করা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের সার্কুলার রহিত করা হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা রেমিট্যান্স লেনদেনের সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে সরাসরি রেমিট্যান্সভোগীর কাছে পাঠানো যাবে।
বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত সব এমএফএস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান ও তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এমএফএস হিসাবে বৈধ উপায়ে পাঠানো রেমিট্যান্সের সীমা বৃদ্ধি সম্পর্কে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে আগত রেমিট্যান্স মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) হিসাবের মাধ্যমে বিতরণের ক্ষেত্রে রেমিট্যান্সভোগীর এমএফএস হিসাবে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা (নগদ প্রণোদনার অর্থ ব্যতীত) ব্যাংক কর্তৃক সরাসরি দেওয়া যাবে।
মোবাইল ব্যাংকিং নামে পরিচিত বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায় ও এম ক্যাশের মতো এমএফএস সেবাদাতা কোম্পানির মাধ্যমে রেমিটেন্স আনার পরিমাণ বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জমি কেনাসহ বিশেষ প্রয়োজনে অনেক সময়ে প্রবাসীদের একসঙ্গে বড় অঙ্কের রেমিটেন্স পাঠানোর প্রয়োজন হয়। এজন্য অনেকেই আবেদন করেছেন সীমা বাড়াতে। রেমিটেন্স সংগ্রহের বিষয়টি এখন অগ্রাধিকার তালিকায় থাকায় এ সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে সার্কুলারে কোনো এমএফএস গ্রাহকের হিসাবে রেমিটেন্সের স্থিতি তিন লাখ টাকা অতিক্রম করলে নতুন করে কোনো অর্থ ওই হিসাবে ক্যাশ ইন বা অ্যাড ইন (মোবাইল হিসাবে অর্থ জমা) করা যাবে না। হিসাবের স্থিতি পুনরায় তিন লাখ টাকার নিচে নামলে ক্যাশ ইন ও অ্যাড মানি করা যাবে।
বর্তমানে এমএফএস হিসাবে সরাসরি রেমিটেন্স পাঠাতে পারেন প্রবাসীরা। তবে এক্ষেত্রে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে এমএফএস হিসাব থাকা ব্যক্তির কোনো ব্যাংক অ্যাকউন্ট লাগে না।
আর বিদেশে থাকা ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে শুধু এমএফএস হিসাবের নাম্বারের বিপরীতে রেমিটেন্স পাঠানো যায়। এরপর দেশি কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে সেই অর্থ সুবিধাভোগীর এমএফএস হিসাবে চলে যায়।
সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, শুধু রেমিটেন্সের অর্থ এমএফএস হিসাবে পাঠানো যাবে। রেমিটেন্সের বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অর্থ পাঠানো যাবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে এমএফএস হিসাবের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৫২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের বছর সেপ্টেম্বরের তুলনায় তা ৫৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ১৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকা বেশি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ মাধ্যমে এসেছিল ৩৩০ কোটি ১১ লাখ টাকা।
গত সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে মোবাইল হিসাবের মাধ্যমে ১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা রেমিটেন্স এসেছে। আর সেপ্টেম্বরে এমএফএস হিসাবের মাধ্যমে মোট এক লাখ ৮ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
রেমিট্যান্সের খাত ব্যতীত এমএফএসের অন্যান্য সব লেনদেনের ক্ষেত্রে এ বিভাগের ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে জারি করা নির্দেশনা পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্দেশনার ফলে ইতোপূর্বে জারি করা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের সার্কুলার রহিত করা হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।