alt

অর্থ-বাণিজ্য

ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে স্বল্পোন্নত দেশগুলো : ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সরকার যত বেশি জনসমর্থনপুষ্ট হবে, বৈদেশিক অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক স্বর্থের সমন্বয় করাও তত বেশি সহজ হবে। একইসঙ্গে, গণতান্ত্রিক সরকারগুলো বিদেশি শক্তি বা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর অন্যায় ও অন্যায্য সুযোগ নেয়ার প্রবণতা তত বেশি সামলানো যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

তিনি আরও বলেছেন, ‘পরিবর্তনশীল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে বিশ্বব্যাপী আন্তঃদেশীয় সম্পর্কের সমীকরণ ক্রমশ জঠিল হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোকেও এই টানাপড়েনের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।’

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তিন দিনব্যাপী উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলনের শনিবার (৯ ডিসেম্বর) শেষদিনে ‘বিকাশমান বৈশ্বিক ব্যবস্থা ও ভূরাজনীতি : স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কী বাস্তবতা’- শীর্ষক বক্তৃতায় ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘এই ধরনের পরিবর্তনে (ভূরাজনৈতিক) ঝুঁকিও আছে, আবার লাভবান হওয়ার সুযোগও আছে। ঝুঁকি মোকাবিলা করে ভূরাজনীতি ও ভূঅর্থনীতির পরিস্থিতি সামাল দেয়া বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’

এমন পরিস্থিতিতে, সরকারের প্রতি যত জনসমর্থন থাকবে, বৈদেশিক অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে তার রাজনৈতিক স্বার্থের সমন্বয় করা ততাই সহজ হবে বলে জানান তিনি।

বক্তৃতায় পরাশক্তিদের দ্বন্দ্ব নিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যে দ্বৈরথ চলছে, তা স্নায়ুযুদ্ধ থেকে অনেকটাই ভিন্ন। কারণ, এখন একেবারে বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এত দিন ধরে শুল্কযুদ্ধ চালালেও এখন পর্যন্ত তারা পরস্পরের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। অন্যদিকে স্নায়ুযুদ্ধের আদর্শিক ভিত্তি ছিল, বিষয়টি ছিল একদম সোজাসাপটা। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়টি সেরকম নয়, যদিও চীন নিজেদের মডেল সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। সেটি আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।’

একইসঙ্গে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।

ড. মাহমুদ বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তাৎক্ষণিক প্রভাবের তুলনায়, চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ কম দৃশ্যমান হতে পারে। তবে সারা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষ, বিনিয়োগের বিধিনিষেধ, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং শুল্ক কাঠামো বিশ্বের এই দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির রপ্তানি এবং জিডিপিতে সরাসরি স্বল্পমেয়াদি বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি লক্ষণীয় যে, বাণিজ্য যুদ্ধ সত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন একে অপরের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। এটি সত্য যে, কিছু উন্নয়নশীল দেশ মার্কিন বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে চীন থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার সুযোগ নিতে পারে। দক্ষতা এবং বিনিয়োগের অনুকূল জলবায়ু, উদাহরণস্বরূপ, ভিয়েতনাম এক্ষেত্রে বাংলাদেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে বলে মনে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি প্রমাণ করেছে যে বৃহৎ আকারের সংঘাতে অর্থনৈতিক সরঞ্জামগুলোর এ ধরনের ব্যবহারের প্রভাব সারা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য কতা বিঘ্নিত হতে পারে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে বাণিজ্য বাড়াতে হলে, উচ্চ কর প্রবণতা কমাতে হবে।

বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি রপ্তানিতে এতদিন যেসব প্রণোদনা দিয়ে আসছে সরকার, তা আমদানির ক্ষেত্রেও বাড়াতে হবে।’

ছবি

তেজগাঁওয়ে ডিম বিক্রি শুরু, ব্যবসায়ীদের লোকসানের অভিযোগ

ছবি

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

তিন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের, চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশে : বিশ্বব্যাংক

ছবি

ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

ছবি

বাংলাদেশের এমএসএমই সেক্টরকে এগিয়ে নিচ্ছে প্রিয়শপ

ছবি

রিয়েলমি ১২ এর প্রি-অর্ডার ক্যাম্পেইন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

ছবি

বাজারে আসুস আরওজি সিরিজের নতুন গেমিং মনিটর

ছবি

ব্যাংক আমানত কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকা, গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ

মাত্র দুই মাস সময় দিয়েই সরকারকে ব্যর্থ বলা যায় কিনা, প্রশ্ন বাণিজ্য উপদেষ্টার

ছবি

ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত

ছবি

মেট্রোরেলের একক টিকিট ফেরত না দেওয়ায় সঙ্কট: যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার অনুরোধ

ছবি

পাঠাও ফেস্টে গোল্ড জিতে নেয়ার সুযোগ

ছবি

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি: আগামীকাল থেকে ওএমএসে সবজি বিক্রি করবে কৃষি বিপনণ অধিদপ্তর

৩৫৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ছবি

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ফুডপ্যান্ডা’র কর্মশালা

ছবি

শুরু হলো লিফট এন্ড এস্কেলেটর এর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ২০২৪

ছবি

কুয়াকাটায় জেলের জালে ধরা পড়েছে ৬৪ কেজি পাখি মাছ

ছবি

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি কমে হতে পারে ৪ শতাংশ

ছবি

বাংলাদেশ রিটেইল কংগ্রেস ২০২৪ অনুষ্ঠিত

ছবি

ইবিএল ও মাস্টারকার্ডের সাথে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড নিয়ে এলো বাংলালিংক

ছবি

আইসিএসবি কর্পোরেট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার

ছবি

বাজারে স্যামসাংয়ের পরিবেশবান্ধব এসি ও রেফ্রিজারেটর

ছবি

আগামী দুই বছর শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি

ছবি

ব্যাংক বন্ধ আজ

মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন পরীক্ষামূলক চালু: পরবর্তী সপ্তাহেই যাত্রী পরিবহন শুরু হতে পারে

ছবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিচ্ছে বাক্কো

ছবি

আইসিএসবি করপোরেট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইউপিজিডিসিএল

ছবি

স্পিড-বেইসড লিমিটলেস ইন্টারনেট প্যাক চালু করলো গ্রামীণফোন

ছবি

ইউরোমানি সিকিউরিটিজ হাউসেস অ্যাওয়ার্ডস জিতলো ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড

ছবি

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১ উদ্বোধন

ছবি

দেশের বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়াতে ৪.৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

ছবি

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভোমরা স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ৯ দিন বন্ধ

ছবি

ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক-কর প্রত্যাহারের পুনরায় সুপারিশ

ছবি

শ্রমিক বেতন পরিশোধে সুদবিহীন ঋণের দাবি বিজিএমইএর

ছবি

জেলায় জেলায় টাস্কফোর্স গঠন: নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পদক্ষেপ

ছবি

গভীর সমুদ্রবন্দরের ব্যয় বাড়ানো হলো ৬ হাজার পাঁচশ ৭৩ কোটি টাকা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে স্বল্পোন্নত দেশগুলো : ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সরকার যত বেশি জনসমর্থনপুষ্ট হবে, বৈদেশিক অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক স্বর্থের সমন্বয় করাও তত বেশি সহজ হবে। একইসঙ্গে, গণতান্ত্রিক সরকারগুলো বিদেশি শক্তি বা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর অন্যায় ও অন্যায্য সুযোগ নেয়ার প্রবণতা তত বেশি সামলানো যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

তিনি আরও বলেছেন, ‘পরিবর্তনশীল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে বিশ্বব্যাপী আন্তঃদেশীয় সম্পর্কের সমীকরণ ক্রমশ জঠিল হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোকেও এই টানাপড়েনের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।’

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তিন দিনব্যাপী উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলনের শনিবার (৯ ডিসেম্বর) শেষদিনে ‘বিকাশমান বৈশ্বিক ব্যবস্থা ও ভূরাজনীতি : স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কী বাস্তবতা’- শীর্ষক বক্তৃতায় ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘এই ধরনের পরিবর্তনে (ভূরাজনৈতিক) ঝুঁকিও আছে, আবার লাভবান হওয়ার সুযোগও আছে। ঝুঁকি মোকাবিলা করে ভূরাজনীতি ও ভূঅর্থনীতির পরিস্থিতি সামাল দেয়া বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’

এমন পরিস্থিতিতে, সরকারের প্রতি যত জনসমর্থন থাকবে, বৈদেশিক অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে তার রাজনৈতিক স্বার্থের সমন্বয় করা ততাই সহজ হবে বলে জানান তিনি।

বক্তৃতায় পরাশক্তিদের দ্বন্দ্ব নিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যে দ্বৈরথ চলছে, তা স্নায়ুযুদ্ধ থেকে অনেকটাই ভিন্ন। কারণ, এখন একেবারে বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এত দিন ধরে শুল্কযুদ্ধ চালালেও এখন পর্যন্ত তারা পরস্পরের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। অন্যদিকে স্নায়ুযুদ্ধের আদর্শিক ভিত্তি ছিল, বিষয়টি ছিল একদম সোজাসাপটা। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়টি সেরকম নয়, যদিও চীন নিজেদের মডেল সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। সেটি আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।’

একইসঙ্গে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।

ড. মাহমুদ বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তাৎক্ষণিক প্রভাবের তুলনায়, চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ কম দৃশ্যমান হতে পারে। তবে সারা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষ, বিনিয়োগের বিধিনিষেধ, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং শুল্ক কাঠামো বিশ্বের এই দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির রপ্তানি এবং জিডিপিতে সরাসরি স্বল্পমেয়াদি বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি লক্ষণীয় যে, বাণিজ্য যুদ্ধ সত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন একে অপরের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। এটি সত্য যে, কিছু উন্নয়নশীল দেশ মার্কিন বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে চীন থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার সুযোগ নিতে পারে। দক্ষতা এবং বিনিয়োগের অনুকূল জলবায়ু, উদাহরণস্বরূপ, ভিয়েতনাম এক্ষেত্রে বাংলাদেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে বলে মনে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি প্রমাণ করেছে যে বৃহৎ আকারের সংঘাতে অর্থনৈতিক সরঞ্জামগুলোর এ ধরনের ব্যবহারের প্রভাব সারা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য কতা বিঘ্নিত হতে পারে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে বাণিজ্য বাড়াতে হলে, উচ্চ কর প্রবণতা কমাতে হবে।

বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি রপ্তানিতে এতদিন যেসব প্রণোদনা দিয়ে আসছে সরকার, তা আমদানির ক্ষেত্রেও বাড়াতে হবে।’

back to top