মতিঝিল এলাকায় সেনা কল্যাণ ভবনসংলগ্ন ৭০ দশমিক ৮২ শতক জমি প্রধান কার্যালয়ের ভবন তৈরির জন্য কিনেছিল বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এখন সেই জমি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে ব্যাংকটি। এই জমি কিনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের খরচ হয়েছে ১১০ কোটি টাকা। জমিটি একেবারে বাংলাদেশ ব্যাংক–সংলগ্ন না হলেও কাছাকাছি।
বাংলাদেশ ব্যাংক এমন এক সময়ে এই জমি কিনল, যখন সংকটে পড়ে প্রতিনিয়ত ইসলামী ব্যাংককে তারল্য সহায়তা নিতে হচ্ছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে নীতি ছাড়ও পেয়েছে ব্যাংকটি। বিশেষ সুবিধার আওতায় তারল্য জোগানও দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এই জমি কিনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎপরতা নতুন ছিল না। আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থাকাকালেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তখন এক রকম দামদরও ঠিক করা হয়েছিল। তবে ইসলামী ব্যাংক জমিটি ছাড়তে রাজি ছিল না। এরপর নানা সময়ে আলোচনা হলেও সায় দেয়নি ব্যাংকটি।
সূত্রগুলো জানায়, আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর পদে যোগ দেওয়ার পর এ নিয়ে তৎপরতা বাড়ান। এ সময় ব্যাংকটিও নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে। ফলে ব্যাংকটির মালিকপক্ষ জমিটি ছেড়ে দিতে বলে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সম্প্রতি জমির দলিল সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে জমির দাম ব্যাংকটিকে পরিশোধ করে দিয়েছে।
জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রধান কার্যালয়ের ভবন তৈরির জন্য আমরা জায়গাটি কিনেছিলাম। সেটা প্রায় ২০ বছর আগে। জায়গাটি বাংলাদেশ ব্যাংক–সংলগ্ন। আগ্রহ প্রকাশ করায় তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।’
জমিটিতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে আগের স্থাপনায় ইসলামী ব্যাংকের যেসব বিভাগ ছিল, তা ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভাঙা হচ্ছে ওই স্থাপনা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা রয়েছে ওই জমিতে দ্রুততম সময়ে সর্বাধুনিক সুবিধা ও নিরাপত্তাসংবলিত একটি ভবন তৈরির কাজ শুরু করা। কারণ, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব যে দুটি ভবন রয়েছে, তাতে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। এ জন্য সেনা কল্যাণ ভবনের বেশির ভাগ তলা ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
মতিঝিল এলাকায় সেনা কল্যাণ ভবনসংলগ্ন ৭০ দশমিক ৮২ শতক জমি প্রধান কার্যালয়ের ভবন তৈরির জন্য কিনেছিল বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এখন সেই জমি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে ব্যাংকটি। এই জমি কিনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের খরচ হয়েছে ১১০ কোটি টাকা। জমিটি একেবারে বাংলাদেশ ব্যাংক–সংলগ্ন না হলেও কাছাকাছি।
বাংলাদেশ ব্যাংক এমন এক সময়ে এই জমি কিনল, যখন সংকটে পড়ে প্রতিনিয়ত ইসলামী ব্যাংককে তারল্য সহায়তা নিতে হচ্ছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে নীতি ছাড়ও পেয়েছে ব্যাংকটি। বিশেষ সুবিধার আওতায় তারল্য জোগানও দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এই জমি কিনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎপরতা নতুন ছিল না। আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থাকাকালেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তখন এক রকম দামদরও ঠিক করা হয়েছিল। তবে ইসলামী ব্যাংক জমিটি ছাড়তে রাজি ছিল না। এরপর নানা সময়ে আলোচনা হলেও সায় দেয়নি ব্যাংকটি।
সূত্রগুলো জানায়, আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর পদে যোগ দেওয়ার পর এ নিয়ে তৎপরতা বাড়ান। এ সময় ব্যাংকটিও নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে। ফলে ব্যাংকটির মালিকপক্ষ জমিটি ছেড়ে দিতে বলে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সম্প্রতি জমির দলিল সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে জমির দাম ব্যাংকটিকে পরিশোধ করে দিয়েছে।
জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রধান কার্যালয়ের ভবন তৈরির জন্য আমরা জায়গাটি কিনেছিলাম। সেটা প্রায় ২০ বছর আগে। জায়গাটি বাংলাদেশ ব্যাংক–সংলগ্ন। আগ্রহ প্রকাশ করায় তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।’
জমিটিতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে আগের স্থাপনায় ইসলামী ব্যাংকের যেসব বিভাগ ছিল, তা ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ভাঙা হচ্ছে ওই স্থাপনা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা রয়েছে ওই জমিতে দ্রুততম সময়ে সর্বাধুনিক সুবিধা ও নিরাপত্তাসংবলিত একটি ভবন তৈরির কাজ শুরু করা। কারণ, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব যে দুটি ভবন রয়েছে, তাতে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। এ জন্য সেনা কল্যাণ ভবনের বেশির ভাগ তলা ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।