alt

অর্থ-বাণিজ্য

চলতি অর্থবছরের এডিপির ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

আগামী অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে সরকার, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির চেয়ে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য এক হাজার ৩২১টি প্রকল্পের বিপরীতে এ বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রস্তাবিত নতুন এডিপির আকার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে দুই হাজার কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতি ও অর্থ সংকটের কারণে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দের হার বেশি বাড়ানো হয়নি বলে এডিপি প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন।

এদিন রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনইসি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে নতুন এডিপির বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।

চলতি অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা, যা মার্চে সংশোধন করে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ী নীতির কারণে কম অগ্রাধিকারের প্রকল্পগুলোতে ব্যয় কমেছে। বাস্তবায়ন কম হওয়ায় গত মার্চে এডিপির আকার ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়েছিল সরকার।

নতুন এডিপিতে স্থানীয় স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের জন্য আরও প্রায় ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে মোট এডিপির আকার দাঁড়াবে দুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে।

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন সক্ষমতা বাড়াতে প্রতি তিন মাস পরপর প্রকল্প মূল্যায়ন করে দেখতে। এখন থেকে তিন মাস পরপর মূল্যায়ন করে দেখা হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে নিয়োজিত করার। এখন থেকে তাদের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে পদায়ন করতে সচিবদের নিদের্শনা দেওয়া হবে।

নতুন এডিপিতে মোট ব্যয়ের মধ্যে অভন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা আসবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ।

এডিপির অবশিষ্ট ৩৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ বা এক লাখ কোটি টাকার অর্থায়ন আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি ঋণ ও অনুদানের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতেবৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়বে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

চলমান ডলার সংকটের সময়েও বিদেশি ঋণের পারিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সত্যজিত কর্মকার বলেন, ‘২০২৬ সালের পর এলডিসি উত্তরণ হলে আমরা স্বল্প সুদের বৈদেশিক ঋণ আর পাব না। এর আগে পর্যন্ত যতটা পারা যায় বৈদেশিক ঋণের ব্যবহার করে নেওয়ার।’

আগামী এডিপিতে গতবারের মতো এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের প্রকল্পগুলাতে, যার পরিমাণ ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা, যা মোট ব্যয়ের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

নতুন এডিপিতেদ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ বরাদ্দ পেয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ আছে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা, যা মোট ব্যয়ের ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

এছাড়া শিক্ষায় ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি, গৃহায়ণে ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি, স্বাস্থ্যে ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ২১ লাখ, কৃষি খাতে ১৩ হাজার ২১৯ কোটি ৫৯ লাখ, জলবায়ু ও পরিবেশ খাতে ১১ হাজার ৮৯ কোটি ৪৩ লাখ, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় ছয় হাজার ৪৯২ কোটি টাকা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে চার হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অতীতের মত এবারও এডিপিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন খাত। যোগাযোগ ও পল্লী উন্নয়ন মিলিয়ে ৮৮ হাজার ৬৭২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ৩৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

নতুন বরাদ্দে স্বাস্থ্য খাতের সেবার মানে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসবে কি না এবং এ খাতে নৈরাজ্য বন্ধে তা ভূমিকা রাখবে-এমন প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সত্যজিত কর্মকার বলেন,‘বরাদ্দ বাড়ানোর মূল সমস্যা হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত তা বাস্তবায়ন করতে পারে না। বাস্তবায়ন সক্ষমতা কম হওয়ায় অর্থ বরাদ্দ সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

‘শিক্ষা খাতেও বাস্তবায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধি না পাওয়ায় যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ বেশি যাচ্ছে। যোগাযোগ খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নটি করতে চায়।’

চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, আগের অর্থবছরে একই সময় যা ছিল ৫০ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বাস্তবায়নের হার কমে যাওয়া প্রসঙ্গে সত্যজিত কর্মকার বলেন, বিষয়টি এনইসি সভায় আলোচনা হয়েছে। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ পথে রয়েছে। চলতি অর্থবছর বাস্তবায়নের হার বাড়বে আশা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ছবি

‘শাটডাউন’ এর মধ্যে কাস্টমস চাকরিকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করল সরকার

ছবি

স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে তদন্তে ভয় নেই’— এনবিআর ইস্যুতে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

ছবি

বিমানবন্দরের ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম গুটাতে বলল কর্তৃপক্ষ

ছবি

অর্থবছরের শেষ দিন শেয়ারবাজারে পতন

ছবি

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম

ছবি

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ থাকবে

পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে: ডিবিএ সভাপতি

ছবি

দাম কমেছে অপো এ৩এক্স স্মার্টফোনের

ছবি

দুদক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার বেড়ে ৫

ছবি

রাজস্ব আদায়ে জোর, ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ: নিট রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য উল্লম্ফন

স্টার্লিংয়ের এফডিআরের টাকা ফেরত দেয়নি ফারইস্ট ফাইন্যান্স, তদন্তে বিএসইসি

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে পোশাকের দাম বাড়ছে: এইচঅ্যান্ডএম সিইও

ছবি

আলোচনার আশা ভেঙে সচিবালয় থেকে ফিরে গেলেন এনবিআর আন্দোলনকারীরা

লজিস্টিক পলিসির বাস্তবায়নে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান অপরিহার্য: ঢাকা চেম্বার

পরপর পাঁচ কার্যদিবস উত্থানে শেয়ারবাজার

ছবি

জাপান ও ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

ছবি

‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে কাস্টমস কার্যক্রমে অচলাবস্থা

ছবি

‘শর্ত ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার করুন’—ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর অনুরোধ

ছবি

বিদেশিদের হস্তান্তরের আগপর্যন্ত এনসিটি পরিচালনায় আলোচনায় নৌবাহিনী

ব্যাংকিং খাত বর্তমানে সংকটময় অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে: ডিসিসিআই

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট চালু করলো বিডা

ছবি

কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হয়রানি দূর করার দাবি

ছবি

বাজার মূলধনে যোগ হলো ১১ হাজার কোটি টাকা

ছবি

এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ কাম্য নয়, হয়রানিমুক্ত এনবিআর চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের ফাউন্ডেশনের ‘কৃষি খাদ্যের অগ্রদূত’ তালিকায় আবদুল আউয়ালমিন্টু

ছবি

‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান অর্থ মন্ত্রণালয়ের

ছবি

নগদের বোর্ড পুনর্গঠন, চেয়ারম্যান কাইজার আহমেদ চৌধুরী

ছবি

ব্যাংকের সীমাতিরিক্ত টাকা পরিশোধ বাধ্যতামূলক করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন আবদুল আউয়াল মিন্টু

ট্রাম্পের শুল্কনীতি পোশাক শিল্পের জন্য মরণফাঁদ: শ্রমিক ফেডারেশন

স্বল্প আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশই মানুষ সকালের খাবার খায় না: জরিপ

tab

অর্থ-বাণিজ্য

চলতি অর্থবছরের এডিপির ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

আগামী অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে সরকার, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির চেয়ে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য এক হাজার ৩২১টি প্রকল্পের বিপরীতে এ বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রস্তাবিত নতুন এডিপির আকার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে দুই হাজার কোটি টাকা বা শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতি ও অর্থ সংকটের কারণে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দের হার বেশি বাড়ানো হয়নি বলে এডিপি প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন।

এদিন রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনইসি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে নতুন এডিপির বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।

চলতি অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা, যা মার্চে সংশোধন করে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ী নীতির কারণে কম অগ্রাধিকারের প্রকল্পগুলোতে ব্যয় কমেছে। বাস্তবায়ন কম হওয়ায় গত মার্চে এডিপির আকার ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়েছিল সরকার।

নতুন এডিপিতে স্থানীয় স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের জন্য আরও প্রায় ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে মোট এডিপির আকার দাঁড়াবে দুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে।

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন সক্ষমতা বাড়াতে প্রতি তিন মাস পরপর প্রকল্প মূল্যায়ন করে দেখতে। এখন থেকে তিন মাস পরপর মূল্যায়ন করে দেখা হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে নিয়োজিত করার। এখন থেকে তাদের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে পদায়ন করতে সচিবদের নিদের্শনা দেওয়া হবে।

নতুন এডিপিতে মোট ব্যয়ের মধ্যে অভন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা আসবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ।

এডিপির অবশিষ্ট ৩৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ বা এক লাখ কোটি টাকার অর্থায়ন আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি ঋণ ও অনুদানের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতেবৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়বে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

চলমান ডলার সংকটের সময়েও বিদেশি ঋণের পারিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সত্যজিত কর্মকার বলেন, ‘২০২৬ সালের পর এলডিসি উত্তরণ হলে আমরা স্বল্প সুদের বৈদেশিক ঋণ আর পাব না। এর আগে পর্যন্ত যতটা পারা যায় বৈদেশিক ঋণের ব্যবহার করে নেওয়ার।’

আগামী এডিপিতে গতবারের মতো এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের প্রকল্পগুলাতে, যার পরিমাণ ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা, যা মোট ব্যয়ের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

নতুন এডিপিতেদ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ বরাদ্দ পেয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ আছে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা, যা মোট ব্যয়ের ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

এছাড়া শিক্ষায় ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি, গৃহায়ণে ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি, স্বাস্থ্যে ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ২১ লাখ, কৃষি খাতে ১৩ হাজার ২১৯ কোটি ৫৯ লাখ, জলবায়ু ও পরিবেশ খাতে ১১ হাজার ৮৯ কোটি ৪৩ লাখ, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় ছয় হাজার ৪৯২ কোটি টাকা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে চার হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অতীতের মত এবারও এডিপিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন খাত। যোগাযোগ ও পল্লী উন্নয়ন মিলিয়ে ৮৮ হাজার ৬৭২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ৩৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

নতুন বরাদ্দে স্বাস্থ্য খাতের সেবার মানে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসবে কি না এবং এ খাতে নৈরাজ্য বন্ধে তা ভূমিকা রাখবে-এমন প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সত্যজিত কর্মকার বলেন,‘বরাদ্দ বাড়ানোর মূল সমস্যা হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত তা বাস্তবায়ন করতে পারে না। বাস্তবায়ন সক্ষমতা কম হওয়ায় অর্থ বরাদ্দ সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

‘শিক্ষা খাতেও বাস্তবায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধি না পাওয়ায় যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ বেশি যাচ্ছে। যোগাযোগ খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নটি করতে চায়।’

চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, আগের অর্থবছরে একই সময় যা ছিল ৫০ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বাস্তবায়নের হার কমে যাওয়া প্রসঙ্গে সত্যজিত কর্মকার বলেন, বিষয়টি এনইসি সভায় আলোচনা হয়েছে। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ পথে রয়েছে। চলতি অর্থবছর বাস্তবায়নের হার বাড়বে আশা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

back to top