বাংলাদেশে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং শিল্পের বিকাশ ঘটছে। এরই মধ্যে প্লাস্টিক খাতে বিভিন্ন রিসাইক্লিং কারখানা গড়ে উঠেছে। প্লাস্টিক খাতের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আঙ্গিনায় রিসাইক্লিং প্লান্ট স্থাপন করে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। যার ফলে প্লাস্টিক বর্জ্য ৩৫ শতাংশ রিসাইকেল হলেও পেট বোতল ফ্লেক্স ৯০ শতাংশ রিসাইকেল হয়।
যা আরও দ্রুত বাড়াতে হবে।
রাজধানীতে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্লাস্টিক রিসাইকেল ও গ্রীণ ফাইন্যান্স ফর সাস্টেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলা হয়। বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও বাংলাদেশ পেট ফ্লেক্স ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিপিএফএমইএ) এর যৌথ উদ্যোগে সেমিনারটির আয়োজন করে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাজু বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা দুই ধরণের ঋণের জন্য সাহায্য করে থাকি। প্রথমত; কালেকশন ইউনিট, দ্বিতীয়ত; রিসাইক্লিং ইউনিট। প্রথমটি বর্জ্য পেট বোতল সংগ্রকারী (টোকাই/আড়তদার) ও দ্বিতীয়টি যারা বর্জ্য পেট বোতলকে প্রসেসিং করে ফ্লেক্স তৈরি করে তাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিপিএফএমইএ এর সদস্যরা রিসাইক্লিং ইউনিট লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আমরা উনাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিবো।’
সাজু বড়ুয়া বলেন, ‘বিপিএফএমইএ এর কার্যক্রমগুলোকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা উচিৎ যাতে সরকার ও জনগণের মাঝে পরিবেশ উন্নয়নে তাদের অবদান স্বীকৃত হয়। তানা হলে অর্থ-ঋণসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মো. জিয়াউল হক তার বক্তব্যে বিপিএফএমইএ সদস্যদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বর্জ্য পেট বোতল রিসাইক্লিং বা প্রসেসেইং এর মাধ্যমে যে পেট-ফ্লেক্স প্রস্তুত করা হচ্ছে তার জন্য হলুদ শ্রেণীর শিল্প প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান ও নবায়ন প্রক্রিয়া বর্তমানে সহজ করা হয়েছে। দরখাস্ত গ্রহণের ১৫ কার্যদিবসে নিষ্পত্তি করার বিধান আছে।’
তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমএপি প্রকল্পের যুগ্ম পরিচালক মো. আবু রায়হান মিঞা গ্রীণ-ফাইন্যান্সের ৫শতাংশ সুদের হারে অর্থ ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে ওনাদের প্রতিষ্ঠান থেকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ‘যেসব কমপ্লায়েন্সের প্রয়োজন সেগুলো বিপিএফএমইএ এর সদস্যরা নিজ নিজ দায়িত্বে পালন ও পূরণ করবেন। এটা মূলত ব্যাংক ও তার ক্লায়েন্টের মাঝে বোঝাপড়ার ওপর নির্ভর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক চাইলে গ্রীণ-ফাইন্যান্সের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ঋণ তার ক্লায়েন্টের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঋণ দিতে পারে, তাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এর পক্ষ থেকে ক্লায়েন্টের জন্য তেমন সুপারিশ করার এখতিয়ার কিংবা নিয়ম নাই।’
সেমিনারে বিপিএফএমইএ পক্ষ্য থেকে বালা হয়, আমরা নিশ্চিত করে বলা হয়, সরকারের যথাযথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ ব্যাংক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ?ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনসহ সরকারের সব মহলের অব্যাহত সমর্থন পেলে আমাদের কাজ এগিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে আমরা বর্জ্য পেট-বোতল ফ্লেক্স উৎপাদন ও রপ্তানি করে পরিবেশ রক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ সামাজিক দায়বদ্ধতা নীতি যথাযথভাবে মেনে সমাজ ও পরিবেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারব।
শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪
বাংলাদেশে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং শিল্পের বিকাশ ঘটছে। এরই মধ্যে প্লাস্টিক খাতে বিভিন্ন রিসাইক্লিং কারখানা গড়ে উঠেছে। প্লাস্টিক খাতের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আঙ্গিনায় রিসাইক্লিং প্লান্ট স্থাপন করে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। যার ফলে প্লাস্টিক বর্জ্য ৩৫ শতাংশ রিসাইকেল হলেও পেট বোতল ফ্লেক্স ৯০ শতাংশ রিসাইকেল হয়।
যা আরও দ্রুত বাড়াতে হবে।
রাজধানীতে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্লাস্টিক রিসাইকেল ও গ্রীণ ফাইন্যান্স ফর সাস্টেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলা হয়। বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও বাংলাদেশ পেট ফ্লেক্স ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিপিএফএমইএ) এর যৌথ উদ্যোগে সেমিনারটির আয়োজন করে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাজু বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা দুই ধরণের ঋণের জন্য সাহায্য করে থাকি। প্রথমত; কালেকশন ইউনিট, দ্বিতীয়ত; রিসাইক্লিং ইউনিট। প্রথমটি বর্জ্য পেট বোতল সংগ্রকারী (টোকাই/আড়তদার) ও দ্বিতীয়টি যারা বর্জ্য পেট বোতলকে প্রসেসিং করে ফ্লেক্স তৈরি করে তাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিপিএফএমইএ এর সদস্যরা রিসাইক্লিং ইউনিট লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আমরা উনাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিবো।’
সাজু বড়ুয়া বলেন, ‘বিপিএফএমইএ এর কার্যক্রমগুলোকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা উচিৎ যাতে সরকার ও জনগণের মাঝে পরিবেশ উন্নয়নে তাদের অবদান স্বীকৃত হয়। তানা হলে অর্থ-ঋণসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মো. জিয়াউল হক তার বক্তব্যে বিপিএফএমইএ সদস্যদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বর্জ্য পেট বোতল রিসাইক্লিং বা প্রসেসেইং এর মাধ্যমে যে পেট-ফ্লেক্স প্রস্তুত করা হচ্ছে তার জন্য হলুদ শ্রেণীর শিল্প প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান ও নবায়ন প্রক্রিয়া বর্তমানে সহজ করা হয়েছে। দরখাস্ত গ্রহণের ১৫ কার্যদিবসে নিষ্পত্তি করার বিধান আছে।’
তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমএপি প্রকল্পের যুগ্ম পরিচালক মো. আবু রায়হান মিঞা গ্রীণ-ফাইন্যান্সের ৫শতাংশ সুদের হারে অর্থ ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে ওনাদের প্রতিষ্ঠান থেকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ‘যেসব কমপ্লায়েন্সের প্রয়োজন সেগুলো বিপিএফএমইএ এর সদস্যরা নিজ নিজ দায়িত্বে পালন ও পূরণ করবেন। এটা মূলত ব্যাংক ও তার ক্লায়েন্টের মাঝে বোঝাপড়ার ওপর নির্ভর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক চাইলে গ্রীণ-ফাইন্যান্সের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ঋণ তার ক্লায়েন্টের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঋণ দিতে পারে, তাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এর পক্ষ থেকে ক্লায়েন্টের জন্য তেমন সুপারিশ করার এখতিয়ার কিংবা নিয়ম নাই।’
সেমিনারে বিপিএফএমইএ পক্ষ্য থেকে বালা হয়, আমরা নিশ্চিত করে বলা হয়, সরকারের যথাযথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ ব্যাংক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ?ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনসহ সরকারের সব মহলের অব্যাহত সমর্থন পেলে আমাদের কাজ এগিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে আমরা বর্জ্য পেট-বোতল ফ্লেক্স উৎপাদন ও রপ্তানি করে পরিবেশ রক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ সামাজিক দায়বদ্ধতা নীতি যথাযথভাবে মেনে সমাজ ও পরিবেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারব।