স্টেশন থেকে হারিয়ে গেছে ২ লাখ টিকিট, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা
মেট্রোরেলের একক যাত্রার জন্য ব্যবহার করা টিকিট ফেরত না দেওয়ার প্রবণতা যাত্রীদের মধ্যে বাড়ছে, যা স্টেশনে টিকিট সঙ্কট তৈরি করছে। ঢাকার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, প্রায় ২ লাখ টিকিট স্টেশনে ফেরত না দিয়ে যাত্রীরা নিয়ে চলে গেছেন। এতে স্টেশনে টিকিটের অভাবে অন্যান্য যাত্রীদের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ সোমবার উত্তরায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের জন্য ২ লাখ ৪৮ হাজার একক যাত্রার টিকিট সরবরাহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১৩ হাজার নষ্ট হয়েছে এবং ২ লাখের বেশি টিকিট যাত্রীরা ফেরত দেননি।
রউফ আরও জানান, "এটি আইনত অপরাধ। একক যাত্রার টিকিট স্টেশন থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।"
মেট্রোরেলে বর্তমানে দুটি ধরনের টিকিট ব্যবহৃত হয়। একটিতে রয়েছে এমআরটি পাস, যা রিচার্জ করে বারবার ব্যবহার করা যায়। এই পাস ব্যবহার করে যাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় পাঞ্চ মেশিনে ভাড়া কেটে ফেলতে পারেন। এছাড়াও এমআরটি পাস ব্যবহারকারীরা ১০ শতাংশ ভাড়ার ছাড়ও পান। অন্যদিকে, একক যাত্রার টিকিট একটি নির্দিষ্ট ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা স্টেশনের মেশিনে ঢুকিয়ে ফেরত দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
কিন্তু অনেক যাত্রী স্টেশনে সেই নিয়ম মানছেন না। তারা টিকিট জমা না দিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন, যা সমস্যা সৃষ্টি করছে। মেট্রোরেল ভিত্তিক বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে অনেক যাত্রী মজার ছলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে টিকিট বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এমনকি কেউ কেউ এতে গর্বও প্রকাশ করেছেন।
এই পরিস্থিতি নিয়ে ডিএমটিসিএল-এর পক্ষ থেকে যাত্রীদের টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। রউফ বলেন, "এভাবে নিয়ে যাওয়া টিকিট অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তাই অনুরোধ করছি, যাত্রীরা যেন এগুলো নিকটবর্তী স্টেশনে গিয়ে ফেরত দেন। এতে রাষ্ট্র আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।"
এই টিকিটের অভাবের কারণে স্টেশনগুলোতে সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠছে। অনেক টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তবে ডিএমটিসিএল যাত্রীদের সুবিধার্থে কিছু উদ্যোগও নিয়েছে। এমআরটি পাস রিচার্জের প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করতে অ্যাপ তৈরি হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। রউফ বলেন, "আমরা এমন একটি অ্যাপ তৈরি করছি, যার মাধ্যমে যাত্রীরা ঘরে বসেই এমআরটি পাস রিচার্জ করতে পারবেন। বিষয়টি চুক্তির শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি, খুব শিগগিরই আমরা যাত্রীদের জন্য সুখবর দিতে পারব।"
এই টিকিট সমস্যা এবং নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি ডিএমটিসিএল মিরপুর-১০ স্টেশনের পুনরায় চালুর ঘোষণাও দিয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় এই স্টেশনটি ভাঙচুরের শিকার হয়েছিল। মঙ্গলবার থেকে স্টেশনটি আবার চালু করা হবে বলে জানানো হয়।
স্টেশন থেকে হারিয়ে গেছে ২ লাখ টিকিট, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
মেট্রোরেলের একক যাত্রার জন্য ব্যবহার করা টিকিট ফেরত না দেওয়ার প্রবণতা যাত্রীদের মধ্যে বাড়ছে, যা স্টেশনে টিকিট সঙ্কট তৈরি করছে। ঢাকার মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, প্রায় ২ লাখ টিকিট স্টেশনে ফেরত না দিয়ে যাত্রীরা নিয়ে চলে গেছেন। এতে স্টেশনে টিকিটের অভাবে অন্যান্য যাত্রীদের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ সোমবার উত্তরায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের জন্য ২ লাখ ৪৮ হাজার একক যাত্রার টিকিট সরবরাহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১৩ হাজার নষ্ট হয়েছে এবং ২ লাখের বেশি টিকিট যাত্রীরা ফেরত দেননি।
রউফ আরও জানান, "এটি আইনত অপরাধ। একক যাত্রার টিকিট স্টেশন থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।"
মেট্রোরেলে বর্তমানে দুটি ধরনের টিকিট ব্যবহৃত হয়। একটিতে রয়েছে এমআরটি পাস, যা রিচার্জ করে বারবার ব্যবহার করা যায়। এই পাস ব্যবহার করে যাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় পাঞ্চ মেশিনে ভাড়া কেটে ফেলতে পারেন। এছাড়াও এমআরটি পাস ব্যবহারকারীরা ১০ শতাংশ ভাড়ার ছাড়ও পান। অন্যদিকে, একক যাত্রার টিকিট একটি নির্দিষ্ট ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা স্টেশনের মেশিনে ঢুকিয়ে ফেরত দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
কিন্তু অনেক যাত্রী স্টেশনে সেই নিয়ম মানছেন না। তারা টিকিট জমা না দিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন, যা সমস্যা সৃষ্টি করছে। মেট্রোরেল ভিত্তিক বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে অনেক যাত্রী মজার ছলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে টিকিট বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এমনকি কেউ কেউ এতে গর্বও প্রকাশ করেছেন।
এই পরিস্থিতি নিয়ে ডিএমটিসিএল-এর পক্ষ থেকে যাত্রীদের টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। রউফ বলেন, "এভাবে নিয়ে যাওয়া টিকিট অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তাই অনুরোধ করছি, যাত্রীরা যেন এগুলো নিকটবর্তী স্টেশনে গিয়ে ফেরত দেন। এতে রাষ্ট্র আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।"
এই টিকিটের অভাবের কারণে স্টেশনগুলোতে সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠছে। অনেক টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তবে ডিএমটিসিএল যাত্রীদের সুবিধার্থে কিছু উদ্যোগও নিয়েছে। এমআরটি পাস রিচার্জের প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করতে অ্যাপ তৈরি হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। রউফ বলেন, "আমরা এমন একটি অ্যাপ তৈরি করছি, যার মাধ্যমে যাত্রীরা ঘরে বসেই এমআরটি পাস রিচার্জ করতে পারবেন। বিষয়টি চুক্তির শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি, খুব শিগগিরই আমরা যাত্রীদের জন্য সুখবর দিতে পারব।"
এই টিকিট সমস্যা এবং নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি ডিএমটিসিএল মিরপুর-১০ স্টেশনের পুনরায় চালুর ঘোষণাও দিয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় এই স্টেশনটি ভাঙচুরের শিকার হয়েছিল। মঙ্গলবার থেকে স্টেশনটি আবার চালু করা হবে বলে জানানো হয়।