সরকার পতনের আন্দোলন এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অগাস্টে বেসরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে নেমেছে, যা অর্থনীতিবিদদের মতে, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সাফল্য হিসেবে দেখা যেতে পারে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এ হার ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা আগের মাসগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। তবে, অগাস্টে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে মুদ্রানীতিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, "সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির মূল উদ্দেশ্যই ছিল বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে অর্থের সরবরাহ হ্রাস করা, যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। ঋণ প্রবৃদ্ধি কমাটা ইতিবাচক লক্ষণ হতে পারে, তবে পর্যালোচনা করতে হবে, এটি মূল্যস্ফীতির ওপর কী প্রভাব ফেলছে।"
জুলাই-অগাস্টে রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে ব্যবসায়ীরা ঋণ নেওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, যা ঋণ প্রবৃদ্ধি হ্রাসের অন্যতম কারণ। এর সঙ্গে ডলার দামের অস্থিরতা, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটও বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
ব্যাংকাররা জানান, চলমান সংকটের মধ্যে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছেন, ফলে আমদানি কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। ব্যাংকগুলোও তারল্য সংকটের মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ট্রেজারি বিল ও বন্ডকে বেছে নিচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
সরকার পতনের আন্দোলন এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অগাস্টে বেসরকারি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে নেমেছে, যা অর্থনীতিবিদদের মতে, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সাফল্য হিসেবে দেখা যেতে পারে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এ হার ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা আগের মাসগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। তবে, অগাস্টে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে মুদ্রানীতিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, "সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির মূল উদ্দেশ্যই ছিল বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে অর্থের সরবরাহ হ্রাস করা, যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। ঋণ প্রবৃদ্ধি কমাটা ইতিবাচক লক্ষণ হতে পারে, তবে পর্যালোচনা করতে হবে, এটি মূল্যস্ফীতির ওপর কী প্রভাব ফেলছে।"
জুলাই-অগাস্টে রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে ব্যবসায়ীরা ঋণ নেওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, যা ঋণ প্রবৃদ্ধি হ্রাসের অন্যতম কারণ। এর সঙ্গে ডলার দামের অস্থিরতা, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটও বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
ব্যাংকাররা জানান, চলমান সংকটের মধ্যে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছেন, ফলে আমদানি কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। ব্যাংকগুলোও তারল্য সংকটের মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ট্রেজারি বিল ও বন্ডকে বেছে নিচ্ছে।