রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ব্যবসা-বাণিজ্য শ্লথগতির কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমেছে। এছাড়াও ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও দুই অঙ্কের ঘরে থেকে বছর শেষ হয়েছে। সেমাবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে (বিবিএস) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমেছে। এরআগের বছরের একই প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ। গত জানুয়ারি মাস থেকে টানা তিন প্রান্তিক ধরেই জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে কমেছে। কৃষি, শিল্প ও সেবা এই তিন খাতের উপাত্ত নিয়ে জিডিপি প্রকাশ করা হয়। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে কৃষি খাতে। এইখাতে প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র দশমিক ১৬ শতাংশ। এর মানে, কৃষি খাতে নামমাত্র প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে, সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর প্রথম প্রান্তিকে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ।
জুলাই-আগস্টে চাকরিতে কোটাবিরোধী ও পরবর্তী সময় আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে যে ছাত্রজনতার আন্দোলন হয়েছে, তা ঠেকাতে একপর্যায়ে কারফিউ জারি করা হয়। তখন চলাচল সীমিত করা হয়। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমে যায়। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত হয়।
গত মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকা- উল্লেখযোগ্যভাবে শ্লথ হয়ে পড়েছে এবং এরফলে চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে। তবে সংস্থাটি মনে করে যে আগামী অর্থবছর, অর্থাৎ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
বিবিএসের তথ্য অনুসারে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশের ভেতরে স্থিরমূল্যে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৪২ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন হয়, যা গত ৪ প্রান্তিকের মধ্যে সর্বনি¤œ। আর ১১টি উপখাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে খনিজ ও পাথর উত্তোলন খাতে। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি আর্থিক ও বিমা খাতে।
প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির বিষয়ে দেখা যায়, ডিসেম্বর মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি চাপে রাখা খাদ্য মূল্যস্ফীতির মধ্যে নি¤œমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর মাসে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশে, যা নভেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ, নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ৪৯ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতির এই দুই হার এখনও দুই অঙ্কের ঘরে থাকার মানে হলো, নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সাধারণ খাতে কিছুটা মূল্যস্ফীতি কমলেও ডিসেম্বর মাসে খাদ্য খাতে পুরোপুরি স্বস্তি ফিরে আসেনি। খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে গত বছরের ডিসেম্বরে যে খাদ্যপণ্য ১০০ টাকায় কেনা গেছে একই পরিমাণ খাদ্যপণ্য কিনতে এখন ১২ টাকা ৯২ পয়সা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমলেও, বছর বছর বিবেচনায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় গত ডিসেম্বর মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ পয়েন্ট। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
বিবিএসের এই তথ্য অনুযায়ি, বিদায়ী বছরের পুরো সময় দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চাপে ছিল। বিবিএসের তথ্যে আরও দেখা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে বেশি ভুগছে। গ্রামীণ এলাকায় ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শহর অঞ্চলের তুলনায় বেশি ছিল।
বিবিএস জানিয়েছে, নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। ফলে নভেম্বরের তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও টানা ৯ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। নভেম্বর মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উঠেছিল।
ডিসেম্বর মাসে শীতের শাকসবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে এসব পণ্যের দাম কমে এসেছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরতে সরকার আমদানি করা পণ্যের দাম কমাতে বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ও অন্যান্য কর তুলে নিয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদের হারও। ফলে বাজারে পণ্যমূল্যে এসব পদক্ষেপের কিছুটা প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
সাধারণ মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি ডিসেম্বর মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতিও কমেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যথাক্রমে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২, গত মাসে যা ছিল ১৩ দশমিক ৮০। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আর শহরাঞ্চলে ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই দুই খাতের মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৫৮ ও ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।
সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ব্যবসা-বাণিজ্য শ্লথগতির কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমেছে। এছাড়াও ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও দুই অঙ্কের ঘরে থেকে বছর শেষ হয়েছে। সেমাবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে (বিবিএস) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমেছে। এরআগের বছরের একই প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ। গত জানুয়ারি মাস থেকে টানা তিন প্রান্তিক ধরেই জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে কমেছে। কৃষি, শিল্প ও সেবা এই তিন খাতের উপাত্ত নিয়ে জিডিপি প্রকাশ করা হয়। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে কৃষি খাতে। এইখাতে প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র দশমিক ১৬ শতাংশ। এর মানে, কৃষি খাতে নামমাত্র প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে, সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর প্রথম প্রান্তিকে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ।
জুলাই-আগস্টে চাকরিতে কোটাবিরোধী ও পরবর্তী সময় আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে যে ছাত্রজনতার আন্দোলন হয়েছে, তা ঠেকাতে একপর্যায়ে কারফিউ জারি করা হয়। তখন চলাচল সীমিত করা হয়। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমে যায়। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত হয়।
গত মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকা- উল্লেখযোগ্যভাবে শ্লথ হয়ে পড়েছে এবং এরফলে চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে। তবে সংস্থাটি মনে করে যে আগামী অর্থবছর, অর্থাৎ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
বিবিএসের তথ্য অনুসারে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশের ভেতরে স্থিরমূল্যে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৪২ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন হয়, যা গত ৪ প্রান্তিকের মধ্যে সর্বনি¤œ। আর ১১টি উপখাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে খনিজ ও পাথর উত্তোলন খাতে। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি আর্থিক ও বিমা খাতে।
প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির বিষয়ে দেখা যায়, ডিসেম্বর মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি চাপে রাখা খাদ্য মূল্যস্ফীতির মধ্যে নি¤œমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর মাসে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশে, যা নভেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ, নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ৪৯ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতির এই দুই হার এখনও দুই অঙ্কের ঘরে থাকার মানে হলো, নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সাধারণ খাতে কিছুটা মূল্যস্ফীতি কমলেও ডিসেম্বর মাসে খাদ্য খাতে পুরোপুরি স্বস্তি ফিরে আসেনি। খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে গত বছরের ডিসেম্বরে যে খাদ্যপণ্য ১০০ টাকায় কেনা গেছে একই পরিমাণ খাদ্যপণ্য কিনতে এখন ১২ টাকা ৯২ পয়সা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমলেও, বছর বছর বিবেচনায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় গত ডিসেম্বর মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ পয়েন্ট। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
বিবিএসের এই তথ্য অনুযায়ি, বিদায়ী বছরের পুরো সময় দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চাপে ছিল। বিবিএসের তথ্যে আরও দেখা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে বেশি ভুগছে। গ্রামীণ এলাকায় ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শহর অঞ্চলের তুলনায় বেশি ছিল।
বিবিএস জানিয়েছে, নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। ফলে নভেম্বরের তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও টানা ৯ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। নভেম্বর মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উঠেছিল।
ডিসেম্বর মাসে শীতের শাকসবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে এসব পণ্যের দাম কমে এসেছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরতে সরকার আমদানি করা পণ্যের দাম কমাতে বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ও অন্যান্য কর তুলে নিয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদের হারও। ফলে বাজারে পণ্যমূল্যে এসব পদক্ষেপের কিছুটা প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
সাধারণ মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি ডিসেম্বর মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতিও কমেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যথাক্রমে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২, গত মাসে যা ছিল ১৩ দশমিক ৮০। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আর শহরাঞ্চলে ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই দুই খাতের মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৫৮ ও ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।