alt

চিঠিপত্র

ভর্তিতে লটারি, জীবনে অভিশাপ

: মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

‘শিক্ষা সবার জন্য’ কথাটি সবাই মুখে বললেও বর্তমানে শিক্ষাই যেন সবচেয়ে অনিশ্চিত বিষয়। মহামারি করোনার সময় থেকে সব সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করানো শুরু হয়। বিশেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই ভর্তি করানো হতো শিক্ষার্থীদের। আসন সংখ্যা অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরাই পছন্দের বিদ্যালয়ে একটি সিট নিশ্চিত করতে পারতো।

অথচ আজ যেন মেধার চেয়ে ভাগ্যের উপরেই শিক্ষার্থীদের বেশি নির্ভর করতে হচ্ছে। কারণ এখন আর ভর্তি পরীক্ষা হয় না, মেধার লড়াই হয় না। হয় লটারি, হয় ভাগ্য পরীক্ষা। পঞ্চম শ্রেণির পর ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিবারগুলোর একটা বৃহৎ অংশের লক্ষ্য থাকে ছেলেমেয়েকে সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াবে। শুধু শখের বশে বাবা-মা সন্তানকে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াতে চান না। তার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণটি হলো আর্থিক। বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার এখনো দারিদ্র্যসীমায় বাস করে। তার ওপর দ্রব্যমূল্যের চড়া বাজারে দিনদিন বেড়ে চলেছে বই-খাতা, কলমের দামও। পড়াশোনা তাই এখন ব্যয়বহুল। কিন্তু বাবা-মা তো নিজের আগে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন। তারা না খেয়ে হলেও সন্তানকে পড়ান। কিন্তু এই ধরনের মানুষগুলোর জীবনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লটারি পদ্ধতি যেন এসেছে অভিশাপ হয়ে।

অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী লটারি পদ্ধতিতে ভাগ্যের কাছে হেরে যায়। পছন্দের বিদ্যালয় তো দূরে, অনেকে তো কোন সরকারি বিদ্যালয়েই পড়ার সুযোগ পায় না। অনেক অভিভাবকের দাবি ভর্তি পরীক্ষা হলে তাদের সন্তান পছন্দের প্রতিষ্ঠানে চান্স পেতো। কিন্তু লটারির কারণে তাদের সন্তান কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানেই চান্স পায়নি। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তো তাদের সাধ্যের বাইরে। আর ভাগ্য পরীক্ষায় হেরে যাওয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দরজাও তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। অকালে ঝড়ে যায় কতগুলো মেধাবী মুখ।

তিক্ত হলেও সত্য, লটারির মাধ্যমে চান্স পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে টিকতে পারবে না। তাদের মধ্যে এমন শিক্ষার্থীও আছে যারা চাইলেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারবে। ভর্তি পরীক্ষা হলে অন্তত দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুযোগ পাবে। মেধাশক্তি ছাড়া কখনোই দেশের উন্নতি সম্ভব না। তাই আমাদের সবার মেধাশক্তিগুলোকে ঝরে যাওয়া থেকে বাঁচাতে হবে। আর তার জন্য লটারি পদ্ধতি বাতিল করে ভর্তি পরীক্ষা ফিরিয়ে আনাই উত্তম।

তাশিন জাহান হৃদি

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু চাই

পাঠ্যবই খোলাবাজারে কেন?

বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্ক : একটি অদৃশ্য প্রভাবের রাজনীতি

সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

শহরের সবুজায়ন : টিকে থাকার লড়াই

ইজতেমার ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হোক

নারী ফুটবল ও সামাজিক সংকীর্ণতা

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম

জলাশয় রক্ষা করুন

ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার খালপাড় সড়কটি সংস্কার করুন

পুকুর ভরাট ও অপরিকল্পিত ব্যবহার

পর্যটন কেন্দ্রে খাবারের অস্বাভাবিক মূল্য

নদী বাঁচলে , বাঁচবে দেশ

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

পানি দূষণ

রাজবাড়ী হাসপাতাল রোড সংষ্কার চাই

মাটির বাড়ি থেকে জিআই পণ্য : ঐতিহ্যের গল্প কলাইয়ের রুটি

ভাঙা হতে ফরিদপুর সদর সড়ক সংস্কার করুন

১০ম গ্রেড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার

টিসিবির কার্যক্রম

tab

চিঠিপত্র

ভর্তিতে লটারি, জীবনে অভিশাপ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫

‘শিক্ষা সবার জন্য’ কথাটি সবাই মুখে বললেও বর্তমানে শিক্ষাই যেন সবচেয়ে অনিশ্চিত বিষয়। মহামারি করোনার সময় থেকে সব সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করানো শুরু হয়। বিশেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই ভর্তি করানো হতো শিক্ষার্থীদের। আসন সংখ্যা অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরাই পছন্দের বিদ্যালয়ে একটি সিট নিশ্চিত করতে পারতো।

অথচ আজ যেন মেধার চেয়ে ভাগ্যের উপরেই শিক্ষার্থীদের বেশি নির্ভর করতে হচ্ছে। কারণ এখন আর ভর্তি পরীক্ষা হয় না, মেধার লড়াই হয় না। হয় লটারি, হয় ভাগ্য পরীক্ষা। পঞ্চম শ্রেণির পর ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিবারগুলোর একটা বৃহৎ অংশের লক্ষ্য থাকে ছেলেমেয়েকে সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াবে। শুধু শখের বশে বাবা-মা সন্তানকে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াতে চান না। তার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণটি হলো আর্থিক। বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার এখনো দারিদ্র্যসীমায় বাস করে। তার ওপর দ্রব্যমূল্যের চড়া বাজারে দিনদিন বেড়ে চলেছে বই-খাতা, কলমের দামও। পড়াশোনা তাই এখন ব্যয়বহুল। কিন্তু বাবা-মা তো নিজের আগে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন। তারা না খেয়ে হলেও সন্তানকে পড়ান। কিন্তু এই ধরনের মানুষগুলোর জীবনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লটারি পদ্ধতি যেন এসেছে অভিশাপ হয়ে।

অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী লটারি পদ্ধতিতে ভাগ্যের কাছে হেরে যায়। পছন্দের বিদ্যালয় তো দূরে, অনেকে তো কোন সরকারি বিদ্যালয়েই পড়ার সুযোগ পায় না। অনেক অভিভাবকের দাবি ভর্তি পরীক্ষা হলে তাদের সন্তান পছন্দের প্রতিষ্ঠানে চান্স পেতো। কিন্তু লটারির কারণে তাদের সন্তান কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানেই চান্স পায়নি। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তো তাদের সাধ্যের বাইরে। আর ভাগ্য পরীক্ষায় হেরে যাওয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দরজাও তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। অকালে ঝড়ে যায় কতগুলো মেধাবী মুখ।

তিক্ত হলেও সত্য, লটারির মাধ্যমে চান্স পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে টিকতে পারবে না। তাদের মধ্যে এমন শিক্ষার্থীও আছে যারা চাইলেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারবে। ভর্তি পরীক্ষা হলে অন্তত দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুযোগ পাবে। মেধাশক্তি ছাড়া কখনোই দেশের উন্নতি সম্ভব না। তাই আমাদের সবার মেধাশক্তিগুলোকে ঝরে যাওয়া থেকে বাঁচাতে হবে। আর তার জন্য লটারি পদ্ধতি বাতিল করে ভর্তি পরীক্ষা ফিরিয়ে আনাই উত্তম।

তাশিন জাহান হৃদি

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

back to top