দেশের ব্যবসায়ীরা শুল্ক পদ্ধতি নিয়ে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেটে এসব সমস্যার সমাধানে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বৈঠকে অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানসহ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিসিআইসহ অন্যান্য চেম্বারগুলোর প্রতিনিধি ও প্রশাসকরা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, ভবিষ্যতে কিছু লেনদেন অনলাইনে করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে হয়রানি কমে এবং সময় বাঁচে। কাস্টমস পদ্ধতিতে যে জটিলতা আছে, আমরা সেগুলো সমাধানে কাজ করব।”
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, “ইনকাম ট্যাক্স ও এনবিআর–সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নিয়ে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছিলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তবে ব্যাংকিং খাতসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়নি।”
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “শুল্কায়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলছি। এবার এটির পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদী। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ আগের চেয়ে ভালো সেবা দিচ্ছে, এজন্য এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছি।”
বিকেএমইএ বৈঠকে একটি লিখিত প্রস্তাব পেশ করে, যেখানে উৎসে করকে চূড়ান্ত কর আদায় হিসেবে বিবেচনা করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানানো হয়।
এছাড়া সংগঠনটি পোশাক রপ্তানি প্রণোদনায় আয়কর অব্যাহতি, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব শুল্ক নীতি প্রণয়ন এবং করদাতাবান্ধব আয়কর ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আইন প্রণয়নকারী ও বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে পৃথক করার প্রস্তাব দিয়েছে।
পোশাক শিল্পের ঝুটের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট এবং রিসাইকেল ফাইবারের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে বিকেএমইএ।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, “আমদানি পণ্যের এইচএস কোডে ভুল হলে ২০০ থেকে ৪০০ শতাংশ জরিমানার বিধান প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এইচএস কোড ৮ ডিজিটের পরিবর্তে ৬ ডিজিটে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করছি। এছাড়া, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জ্বালানি সাশ্রয়ী বাতির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা পুনরায় ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।”
নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসার ঘটাতে সোলার প্যানেল ও ১০ কিলোওয়াটের বেশি ক্ষমতার সোলার ইনভার্টারে সব ধরনের শুল্ক অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বিকেএমইএ।
এছাড়া, কৃত্রিম সুতার ওপর ৩ শতাংশ কর প্রত্যাহার এবং কাঁচামালের ওপর থেকে এটি ও এসডি কর বাতিলের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
দেশের ব্যবসায়ীরা শুল্ক পদ্ধতি নিয়ে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেটে এসব সমস্যার সমাধানে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বৈঠকে অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানসহ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিসিআইসহ অন্যান্য চেম্বারগুলোর প্রতিনিধি ও প্রশাসকরা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, ভবিষ্যতে কিছু লেনদেন অনলাইনে করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে হয়রানি কমে এবং সময় বাঁচে। কাস্টমস পদ্ধতিতে যে জটিলতা আছে, আমরা সেগুলো সমাধানে কাজ করব।”
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, “ইনকাম ট্যাক্স ও এনবিআর–সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নিয়ে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছিলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তবে ব্যাংকিং খাতসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়নি।”
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “শুল্কায়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলছি। এবার এটির পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদী। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ আগের চেয়ে ভালো সেবা দিচ্ছে, এজন্য এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছি।”
বিকেএমইএ বৈঠকে একটি লিখিত প্রস্তাব পেশ করে, যেখানে উৎসে করকে চূড়ান্ত কর আদায় হিসেবে বিবেচনা করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানানো হয়।
এছাড়া সংগঠনটি পোশাক রপ্তানি প্রণোদনায় আয়কর অব্যাহতি, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব শুল্ক নীতি প্রণয়ন এবং করদাতাবান্ধব আয়কর ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আইন প্রণয়নকারী ও বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে পৃথক করার প্রস্তাব দিয়েছে।
পোশাক শিল্পের ঝুটের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট এবং রিসাইকেল ফাইবারের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে বিকেএমইএ।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, “আমদানি পণ্যের এইচএস কোডে ভুল হলে ২০০ থেকে ৪০০ শতাংশ জরিমানার বিধান প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এইচএস কোড ৮ ডিজিটের পরিবর্তে ৬ ডিজিটে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করছি। এছাড়া, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জ্বালানি সাশ্রয়ী বাতির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা পুনরায় ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।”
নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসার ঘটাতে সোলার প্যানেল ও ১০ কিলোওয়াটের বেশি ক্ষমতার সোলার ইনভার্টারে সব ধরনের শুল্ক অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বিকেএমইএ।
এছাড়া, কৃত্রিম সুতার ওপর ৩ শতাংশ কর প্রত্যাহার এবং কাঁচামালের ওপর থেকে এটি ও এসডি কর বাতিলের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।