গত তিন মাসে পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ ও ফাইবার কেবল কেটে দেওয়ায় অর্ধশতাধিক মোবাইল টাওয়ার বন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে মোবাইল অপারেটর রবি। কোম্পানির দাবি, এসব কার্যকলাপ চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।
রবি জানায়, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, লক্ষ্মীছড়ি, পানিছড়ি, দিঘীনালা, মানিকছড়ি, নানিয়ারচর, রাউজান, ফটিকছড়ি ও বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তরা মোবাইল টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ফাইবার কেবল কেটে ফেলেছে। এতে খাগড়াছড়িতেই ৩২টি টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে সাতটি সচল করা সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পার্বত্য তিন জেলার সরকারি সংস্থা বিটিসিএলের অন্তত ২৬টি টাওয়ারের ফাইবারও কেটে দেওয়া হয়েছে। কখনো কখনো ফাইবার মেরামতের দিনই তা আবার নষ্ট করা হয়েছে। ফলে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পার্বত্য অঞ্চল।
রবি অভিযোগ করেছে, অপরাধী চক্র টাওয়ারের নিরাপত্তাকর্মীদের অপহরণ করেছে এবং রবির কর্মীদের অপরিচিত নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে টাওয়ার পুনরুদ্ধারের কাজেও অগ্রগতি হচ্ছে না। কোম্পানিটি জানায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ইডটকোর নিরাপত্তা দল ও স্থানীয় প্রশাসন সমস্যার সমাধানে কাজ করছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্যার সমাধান করার লক্ষ্য থাকলেও এখনো পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কিছু টাওয়ার পুনরুদ্ধার করা হলেও সেগুলো আবারও হামলার শিকার হয়েছে।
রবি জানায়, ইডটকো ইতোমধ্যে বিটিআরসিকে বিষয়টি অবহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে। তবে রাঙামাটির পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন ও খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, রবি তাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থানা ও ফাঁড়ির আশপাশের টাওয়ারগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে গাইডলাইন দিয়েছে বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
গত তিন মাসে পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ ও ফাইবার কেবল কেটে দেওয়ায় অর্ধশতাধিক মোবাইল টাওয়ার বন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে মোবাইল অপারেটর রবি। কোম্পানির দাবি, এসব কার্যকলাপ চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।
রবি জানায়, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, লক্ষ্মীছড়ি, পানিছড়ি, দিঘীনালা, মানিকছড়ি, নানিয়ারচর, রাউজান, ফটিকছড়ি ও বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তরা মোবাইল টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ফাইবার কেবল কেটে ফেলেছে। এতে খাগড়াছড়িতেই ৩২টি টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে সাতটি সচল করা সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পার্বত্য তিন জেলার সরকারি সংস্থা বিটিসিএলের অন্তত ২৬টি টাওয়ারের ফাইবারও কেটে দেওয়া হয়েছে। কখনো কখনো ফাইবার মেরামতের দিনই তা আবার নষ্ট করা হয়েছে। ফলে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পার্বত্য অঞ্চল।
রবি অভিযোগ করেছে, অপরাধী চক্র টাওয়ারের নিরাপত্তাকর্মীদের অপহরণ করেছে এবং রবির কর্মীদের অপরিচিত নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে টাওয়ার পুনরুদ্ধারের কাজেও অগ্রগতি হচ্ছে না। কোম্পানিটি জানায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ইডটকোর নিরাপত্তা দল ও স্থানীয় প্রশাসন সমস্যার সমাধানে কাজ করছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্যার সমাধান করার লক্ষ্য থাকলেও এখনো পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কিছু টাওয়ার পুনরুদ্ধার করা হলেও সেগুলো আবারও হামলার শিকার হয়েছে।
রবি জানায়, ইডটকো ইতোমধ্যে বিটিআরসিকে বিষয়টি অবহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে। তবে রাঙামাটির পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন ও খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, রবি তাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থানা ও ফাঁড়ির আশপাশের টাওয়ারগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে গাইডলাইন দিয়েছে বলে জানান তারা।