সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিক অক্টোবর-ডিসেম্বরে উন্নতি হয়েছে। নিট হিসাবে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই এসেছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিক অক্টোবর-ডিসেম্বরে উন্নতি হয়েছে। নিট হিসাবে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই এসেছে
গত রোববার প্রকাশ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর শেষে ৪৯ কোটি ৪ লাখ ডলার নিট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। এই প্রান্তিকে দেশের বাইরে থেকে মোট বিনিয়োগে আসে ১১৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর এ সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিয়ে গেছেন ৬৭ কোটি ১৬ লাখ ডলার। এই প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে, ১৫ কোটি ১ লাখ ডলার।
গত অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বিদেশিরা বিনিয়োগ করেছিলেন মোট ১১৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। আর তারা নিয়ে গেছেন ৭৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার। নিট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩৭ কোটি ৯২ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭১ শতাংশ কম নিট বিনিয়োগ এসেছিল। ওই প্রান্তিকে নিট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই প্রান্তিকে ছিল ৩৬ কোটি ৫ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরে নিট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৪১ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৬০ কোটি ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৭১ কোটি ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩২ কোটি ডলার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১২০ কোটি ডলার নিট বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বিদেশি বিনিয়োগের মোট স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮২৯ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই প্রান্তিকে স্থিতি ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে স্থিতি বেড়েছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘নতুন এফডিআই সূচকে উন্নতি হচ্ছে। সার্বিক দিক দিয়ে বলা যায়, উন্নতি হয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে কি না, তা বলা দুষ্কর। এফডিআই এর তিনটি সূচক রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে তিনটি সূচকই উন্নতি করেছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সাল থেকে বিদেশি বিনিয়োগের তথ্য প্রকাশ করছে।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিক অক্টোবর-ডিসেম্বরে উন্নতি হয়েছে। নিট হিসাবে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই এসেছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিক অক্টোবর-ডিসেম্বরে উন্নতি হয়েছে। নিট হিসাবে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই এসেছে
গত রোববার প্রকাশ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর শেষে ৪৯ কোটি ৪ লাখ ডলার নিট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। এই প্রান্তিকে দেশের বাইরে থেকে মোট বিনিয়োগে আসে ১১৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর এ সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিয়ে গেছেন ৬৭ কোটি ১৬ লাখ ডলার। এই প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে, ১৫ কোটি ১ লাখ ডলার।
গত অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বিদেশিরা বিনিয়োগ করেছিলেন মোট ১১৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। আর তারা নিয়ে গেছেন ৭৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার। নিট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩৭ কোটি ৯২ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭১ শতাংশ কম নিট বিনিয়োগ এসেছিল। ওই প্রান্তিকে নিট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই প্রান্তিকে ছিল ৩৬ কোটি ৫ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরে নিট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৪১ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৬০ কোটি ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৭১ কোটি ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩২ কোটি ডলার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১২০ কোটি ডলার নিট বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বিদেশি বিনিয়োগের মোট স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮২৯ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই প্রান্তিকে স্থিতি ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে স্থিতি বেড়েছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘নতুন এফডিআই সূচকে উন্নতি হচ্ছে। সার্বিক দিক দিয়ে বলা যায়, উন্নতি হয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে কি না, তা বলা দুষ্কর। এফডিআই এর তিনটি সূচক রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে তিনটি সূচকই উন্নতি করেছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সাল থেকে বিদেশি বিনিয়োগের তথ্য প্রকাশ করছে।