প্রায় দেড় মাস পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চিতি (রিজার্ভ) ২১ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে ১৭ এপ্রিল বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন (দুই হাজার ১৩৮ কোটি) ডলার। সেদিন মোট বা গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। সবশেষ ২১ বিলিয়নের ওপর রিজার্ভ ওঠে গত ৬ মার্চ। সেদিন বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার।
সবশেষ ২১ বিলিয়নের ওপর রিজার্ভ ওঠে গত ৬ মার্চ। সেদিন বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬০
বিলিয়ন ডলার
তবে ওই মাসেই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিন ধরনের হিসাব রাখে। একটি মোট রিজার্ভ, যা বিভিন্ন তহবিল নিয়ে গঠিত। দ্বিতীয়টি করা হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদ- অনুযায়ী। আর তৃতীয়টি হল ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। বিপিএম৬ ও গ্রস হিসাব প্রকাশ করলেও নিট রিজার্ভ কত, তা প্রকাশ করে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রেমিটেন্সের প্রবাহ বেশি থাকায় ডলার আসছে বেশি। রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। এ দুই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় কারণে রিজার্ভ বাড়ছে।’
জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের উদ্যোগে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় আকু। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত। এর সদর দপ্তর ইরানের রাজধানী তেহরানে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সদস্য ছিল। তবে রিজার্ভ সংকটে পড়ে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে আকু থেকে বেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
আকুর সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে যে আমদানি-রপ্তানি করে, তার দায় ২ মাস পর পর সমন্বয় করে। প্রতি দুই মাস অন্তর গড়ে সোয়া এক বিলিয়ন ডলারের মত দায় শোধ করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত মার্চে আকুর বিল বাবদ ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধ করার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান। ২০২০ সালে কোভিড মহামারীর সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।
মহামারী কমে আসার মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি আর খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এবং এরপর ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হলে বেড়ে যায় আমদানি খরচ। মূলত এরপর থেকে রিজার্ভ কমতে থাকে।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
প্রায় দেড় মাস পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চিতি (রিজার্ভ) ২১ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে ১৭ এপ্রিল বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন (দুই হাজার ১৩৮ কোটি) ডলার। সেদিন মোট বা গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। সবশেষ ২১ বিলিয়নের ওপর রিজার্ভ ওঠে গত ৬ মার্চ। সেদিন বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার।
সবশেষ ২১ বিলিয়নের ওপর রিজার্ভ ওঠে গত ৬ মার্চ। সেদিন বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬০
বিলিয়ন ডলার
তবে ওই মাসেই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিন ধরনের হিসাব রাখে। একটি মোট রিজার্ভ, যা বিভিন্ন তহবিল নিয়ে গঠিত। দ্বিতীয়টি করা হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদ- অনুযায়ী। আর তৃতীয়টি হল ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। বিপিএম৬ ও গ্রস হিসাব প্রকাশ করলেও নিট রিজার্ভ কত, তা প্রকাশ করে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রেমিটেন্সের প্রবাহ বেশি থাকায় ডলার আসছে বেশি। রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। এ দুই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় কারণে রিজার্ভ বাড়ছে।’
জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের উদ্যোগে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় আকু। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত। এর সদর দপ্তর ইরানের রাজধানী তেহরানে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সদস্য ছিল। তবে রিজার্ভ সংকটে পড়ে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে আকু থেকে বেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
আকুর সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে যে আমদানি-রপ্তানি করে, তার দায় ২ মাস পর পর সমন্বয় করে। প্রতি দুই মাস অন্তর গড়ে সোয়া এক বিলিয়ন ডলারের মত দায় শোধ করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত মার্চে আকুর বিল বাবদ ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধ করার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান। ২০২০ সালে কোভিড মহামারীর সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।
মহামারী কমে আসার মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি আর খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এবং এরপর ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হলে বেড়ে যায় আমদানি খরচ। মূলত এরপর থেকে রিজার্ভ কমতে থাকে।