চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। অর্থনীতিকে সচল করতে সরকারের নানা উদ্যোগের পরও রাজস্ব আহরণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি।
সোমবার প্রকাশিত এনবিআরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। ফলে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আদায় ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারির শেষে এই ঘাটতি ছিল ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এক মাসেই ঘাটতি বেড়েছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।
যদিও রাজস্ব আহরণ আগের অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, তবে তা ঘাটতি সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের শুরুতে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের মাঝপথে সেটি কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
২০২৪ সালের বাজেট ঘোষণার পর থেকেই দেশের অর্থনীতিতে চাপ বাড়ে। মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে অগাস্টে সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, আমদানি-রপ্তানি স্থবিরতা ও উৎপাদন কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে যায় ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এরপর নভেম্বরে আদায়ে সবচেয়ে খারাপ সময় যায়, যেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। জানুয়ারিতে আদায় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মার্চ মাসেও মোটামুটি ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে প্রবৃদ্ধির গতি ছিল ধীর।
এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭৩ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে আহরণ বেড়েছে দশমিক ৩৮ শতাংশ কম।
স্থানীয় পর্যায়ে মূসক ও আবগারি শুল্ক খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯৫ হাজার ৩১১ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৯৩ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২ দশমিক ০৯ শতাংশ।
অপরদিকে আয়কর ও ভ্রমণ খাতে নয় মাসে আদায় হয়েছে ৮৬ হাজার ৯২০ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৮২ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। এ খাতে আদায় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জানুয়ারিতে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে; ডিসেম্বরে যা ছিল ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে রাজস্ব আহরণ আগের দুই মাসের চেয়ে ধাক্কা খেয়ে বাড়ে প্রায় পৌনে ২ শতাংশ।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। অর্থনীতিকে সচল করতে সরকারের নানা উদ্যোগের পরও রাজস্ব আহরণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি।
সোমবার প্রকাশিত এনবিআরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। ফলে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আদায় ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারির শেষে এই ঘাটতি ছিল ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এক মাসেই ঘাটতি বেড়েছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।
যদিও রাজস্ব আহরণ আগের অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, তবে তা ঘাটতি সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের শুরুতে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের মাঝপথে সেটি কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
২০২৪ সালের বাজেট ঘোষণার পর থেকেই দেশের অর্থনীতিতে চাপ বাড়ে। মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে অগাস্টে সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, আমদানি-রপ্তানি স্থবিরতা ও উৎপাদন কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে যায় ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এরপর নভেম্বরে আদায়ে সবচেয়ে খারাপ সময় যায়, যেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। জানুয়ারিতে আদায় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মার্চ মাসেও মোটামুটি ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে প্রবৃদ্ধির গতি ছিল ধীর।
এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭৩ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে আহরণ বেড়েছে দশমিক ৩৮ শতাংশ কম।
স্থানীয় পর্যায়ে মূসক ও আবগারি শুল্ক খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯৫ হাজার ৩১১ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৯৩ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২ দশমিক ০৯ শতাংশ।
অপরদিকে আয়কর ও ভ্রমণ খাতে নয় মাসে আদায় হয়েছে ৮৬ হাজার ৯২০ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৮২ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। এ খাতে আদায় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জানুয়ারিতে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে; ডিসেম্বরে যা ছিল ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে রাজস্ব আহরণ আগের দুই মাসের চেয়ে ধাক্কা খেয়ে বাড়ে প্রায় পৌনে ২ শতাংশ।