alt

অর্থ-বাণিজ্য

৯ মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ৬৫ হাজার কোটি টাকা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। অর্থনীতিকে সচল করতে সরকারের নানা উদ্যোগের পরও রাজস্ব আহরণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি।

সোমবার প্রকাশিত এনবিআরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। ফলে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আদায় ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারির শেষে এই ঘাটতি ছিল ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এক মাসেই ঘাটতি বেড়েছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।

যদিও রাজস্ব আহরণ আগের অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, তবে তা ঘাটতি সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের মাঝপথে সেটি কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।

২০২৪ সালের বাজেট ঘোষণার পর থেকেই দেশের অর্থনীতিতে চাপ বাড়ে। মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে অগাস্টে সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, আমদানি-রপ্তানি স্থবিরতা ও উৎপাদন কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে যায় ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এরপর নভেম্বরে আদায়ে সবচেয়ে খারাপ সময় যায়, যেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। জানুয়ারিতে আদায় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মার্চ মাসেও মোটামুটি ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে প্রবৃদ্ধির গতি ছিল ধীর।

এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭৩ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে আহরণ বেড়েছে দশমিক ৩৮ শতাংশ কম।

স্থানীয় পর্যায়ে মূসক ও আবগারি শুল্ক খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯৫ হাজার ৩১১ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৯৩ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২ দশমিক ০৯ শতাংশ।

অপরদিকে আয়কর ও ভ্রমণ খাতে নয় মাসে আদায় হয়েছে ৮৬ হাজার ৯২০ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৮২ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। এ খাতে আদায় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারিতে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে; ডিসেম্বরে যা ছিল ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারিতে রাজস্ব আহরণ আগের দুই মাসের চেয়ে ধাক্কা খেয়ে বাড়ে প্রায় পৌনে ২ শতাংশ।

ছবি

শেষ প্রান্তিকে এনবিআরকে প্রতিদিন গড়ে ২২৭৫ কোটি টাকা আদায় করতে হবে

স্বর্ণের দামে রেকর্ড, প্রতি ভরি ১ লাখ সাড়ে ৭২ হাজার টাকা

সিপিডির গবেষণা: ৪৫ শতাংশ কোম্পানি বলছে কর কর্মকর্তারা ঘুষ চেয়েছেন

আমদানি মূল্য পরিশোধে উত্তম চর্চা অনুসরণের নির্দেশ

ছবি

শেয়ারবাজারে ফের বড় পতন

গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা

ছবি

৪২ দিন পর রিজার্ভ ফের বেড়ে দাঁড়ালো ২১ বিলিয়ন ডলারে

ছবি

বিদেশি বিনিয়োগে সুবাতাস, অক্টোবর-ডিসেম্বরে বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ

ছবি

মডেল মেঘনা আলমের ব্যাংক হিসাব তলব

বিনা খরচে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডে হিসাব খুলতে পারবেন ফ্রিল্যান্সাররা

চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তুতিতে ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

ধারাবাহিক পতন চলছে শেয়ারবাজারে

যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি

ছবি

তৈরি পোশাক খাতে নতুন কারখানা চালু হচ্ছে

ছবি

৯ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৬৫ হাজার কোটি টাকা

স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করবে আইএমএফ

ছবি

৩১৬ চালকলের লাইসেন্স বাতিল

আমানত ও ঋণের সুদের তথ্য দিতে হবে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে

ছবি

নেতৃত্ব গড়ার সুযোগ নিয়ে ফিরলো দারাজ ফিউচার লিডারস প্রোগ্রাম

ছবি

অপ্রচলিত বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়লেও বড় বাজারের তুলনায় কম

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে

ছবি

দেশ–বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে ‘ভাটা’

অভ্যন্তরীণ পর্যটনের বিকাশে জোর নতুন পর্যটন উপদেষ্টার

গ্রিন ডাটা সেন্টার নির্মাণের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন

সরকার পুঁজিবাজারের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

ছবি

সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

নেদারল্যান্ডসে চলছে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপ’ প্রদর্শনী

ছবি

চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে পাঁচ বছরের সর্বনিম্নএডিপি বাস্তবায়ন

পুঁজিবাজারের সমস্যা-সমাধানের অ্যাকশন প্ল্যান দাখিলের নির্দেশ

ছবি

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি

ছবি

প্রচলিত প্রবৃদ্ধির মডেল পর্যালোচনা করা প্রয়োজন: হোসেন জিল্লুর রহমান

ছবি

মিষ্টি ব্যবসায়ীরা ভ্যাটের রিসিট দেন না, অভিযোগ এনবিআর চেয়ারম্যানের

ছবি

স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড, বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায়

ছবি

বাজেটে প্রথম অগ্রাধিকার ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ’, সুযোগ তৈরি হবে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের

প্রতি তিন মাসে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

tab

অর্থ-বাণিজ্য

৯ মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ৬৫ হাজার কোটি টাকা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। অর্থনীতিকে সচল করতে সরকারের নানা উদ্যোগের পরও রাজস্ব আহরণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি।

সোমবার প্রকাশিত এনবিআরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। ফলে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আদায় ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারির শেষে এই ঘাটতি ছিল ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এক মাসেই ঘাটতি বেড়েছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।

যদিও রাজস্ব আহরণ আগের অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, তবে তা ঘাটতি সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের মাঝপথে সেটি কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।

২০২৪ সালের বাজেট ঘোষণার পর থেকেই দেশের অর্থনীতিতে চাপ বাড়ে। মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে অগাস্টে সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, আমদানি-রপ্তানি স্থবিরতা ও উৎপাদন কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে যায় ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এরপর নভেম্বরে আদায়ে সবচেয়ে খারাপ সময় যায়, যেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। জানুয়ারিতে আদায় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মার্চ মাসেও মোটামুটি ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে প্রবৃদ্ধির গতি ছিল ধীর।

এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭৩ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে আহরণ বেড়েছে দশমিক ৩৮ শতাংশ কম।

স্থানীয় পর্যায়ে মূসক ও আবগারি শুল্ক খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯৫ হাজার ৩১১ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৯৩ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২ দশমিক ০৯ শতাংশ।

অপরদিকে আয়কর ও ভ্রমণ খাতে নয় মাসে আদায় হয়েছে ৮৬ হাজার ৯২০ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৮২ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। এ খাতে আদায় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারিতে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে; ডিসেম্বরে যা ছিল ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারিতে রাজস্ব আহরণ আগের দুই মাসের চেয়ে ধাক্কা খেয়ে বাড়ে প্রায় পৌনে ২ শতাংশ।

back to top