alt

দশ বছরের পুরাতন গাড়ি আমদানিযোগ্য করার দাবি বারভিডার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

বর্তমান আমদানিনীতি আদেশ-২০২১-২০২৪ অনুযায়ী (এইচ এস কোড-৮৭.০১ হতে ৮৭.০৪) সর্বোচ্চ ৫ বছরের পুরাতন কার, জিপ ও বাণিজ্যিক যান আমদানিযোগ্য। এই নীতি পরিবর্তন করে ১০ বছরের পুরাতন কার, জিপ ও বাণিজ্যিক যান আমদানিযোগ্য করার সযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা)।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ১০ বছরের পুরাতন গাড়ি আমদানিযোগ্য করা হলে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম প্রায় অর্ধেকে চলে আসবে। এতে প্রতিটি গাড়ির জন্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আবার দাম কমার কারণে বিক্রি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে, ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বারভিডা’র কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট আবদুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন বারভিডা’র সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াজ রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ মো. সাইফুল ইসলাম (সম্রাট), জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ জগলুল হোসেন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি এস এম মনসুরুল করিম (লিংকন), কার্যনিবাহী সদস্য আখতার হোসেন মজুমদার, মো. হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, কে এম শফিউল্লাহ (রনি) প্রমুখ।

আবদুল হক বলেন, ‘বর্তমান আমদানিনীতি আদেশ-২০২১-২০২৪ অনুযায়ী (এইচ এস কোড-৮৭.০১ হতে ৮৭.০৪) সর্বোচ্চ ৫ বছরের পুরনো কার, জিপ ও বাণিজ্যিক যান আমদানিযোগ্য। দেশের বিপুল সংখ্যক মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মানসম্পন্ন, পরিবেশ-বান্ধব ও রিসেল ভ্যালুসম্পন্ন রিকন্ডিশন্ড গাড়ি সরবরাহের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। পরিবেশের দিকে খেয়াল রেখেই ইমিশন নিয়ন্ত্রণে এসব গাড়িতে ক্যাটালিটিক কনভার্টার নামে বিশেষ ডিভাইস সংযুক্ত থাকে। জাপানে নির্মিত এই গাড়িগুলো ২০-২৫ বছর পর্যন্ত নিরাপদে ব্যবহার করা যায় বলে সর্বশ্রেণির ক্রেতার কাছে এসব গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। রিকন্ডিশন্ড বলা হলেও বারভিডা আমদানি করা গাড়িগুলো প্রায় নতুন।’

তিনি বলেন, ‘জাপানের হোম মডেলের এসব গাড়ি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির। এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো- টেকসই ও পুনঃবিক্রয় মূল্য বিশ্বসেরা প্রযুক্তিসম্পন্ন হওয়ায় জাপানে উৎপাদিত এসব গাড়ি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায় এবং ২০-২৫ বছর ব্যবহার করার পরও পুনঃবিক্রির সময় এসব গাড়ির ভালো মূল্য পাওয়া যায়। খুচরা যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা ও সুলভ মূল্য। বাংলাদেশে জাপানি টয়োটা, নিশান, হোন্ডা, মিতসুবিশি ইত্যাদি ব্র্যান্ডের গাড়ির যন্ত্রাংশ সহজলভ্য এবং সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়, যা গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ সহজ করে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশে আমদানি করা গাড়ির ৭৫ শতাংশই জাপান থেকে আমদানি করা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। বিশ্বব্যাপী মানসম্পন্ন জাপানি গাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে গাড়ি আমদানির কোনো বয়সসীমা নেই।

নিউজিল্যান্ডে ৮ বছর, কানাডায় ১৫ বছর এবং হংকংয়ে ৭ বছর গাড়ি আমদানির বয়সসীমা নির্ধারণ করা আছে। আর বাংলাদেশে গাড়ি আমদানির বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ বছর। আমরা এটিকে ১০ বছরে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।’

বারভিডা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বর্তমান আমদানি নীতিমালা সংশোধন করে গাড়ির আমদানিযোগ্য বয়স ১০ বছর করা হলে গাড়ির বয়সভেদে কমবেশি ৫০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশের বাজারে গাড়ির মূল্য লক্ষ্যণীয় হারে কমে আসবে। আমদানিকারকরা ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মূল্যের গাড়ি আমদানি করতে পারবেন। দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির ব্যাপক অংশ এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারাও পরিবারের প্রয়োজন ও নিরাপত্তার কথা ভেবে গাড়ি কিনতে আগ্রহী হবেন। সরকারের রাজস্ব ও শুল্ক কর বাবদ আয় বৃদ্ধি পাবে।’

আবদুল হক বলেন, ‘রিকন্ডিশন্ড মোটরযান আমদানির ক্ষেত্রে আমরা ন্যূনতম ১২৯ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৮২৬ শতাংশ শুল্ক প্রদান করছি। জাপান সরকার প্রকাশিত ইয়েলো বুকে প্রদর্শিত নতুন মূল্যের সঙ্গে জাপানের অভ্যন্তরীণ বাজারের খুচরা বিক্রেতার ডিলার কমিশন ও স্থানীয় কর বাবদ সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ যুক্ত করা আছে। তাই জাপান থেকে আমরা সর্বোচ্চ ৫ বছরের পুরনো যেসব গাড়ি আমদানি করে থাকি সেসবের ক্ষেত্রে নতুন মূল্য হতে ২০ শতাংশ বিয়োজন করে রপ্তানিযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করা ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু বাস্তবে ইয়োলো বুকে উল্লিখিত নতুন মূল্য থেকে কোন ডিলার কমিশন বিয়োজন ছাড়াই বছরভিত্তিক অবচয় প্রদান করা হচ্ছে।’

আবার যে ব্যবসায়ীরা দেশে নতুন গাড়ি আমদানি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দিয়ে শুল্ক মূল্য নির্ধারণ করে শুল্ক-কর ধার্য করা হচ্ছে। এটি একটি অনায্য ও বৈষম্যমূলক পদ্ধতি এবং কাস্টম আইন ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। শুল্কায়ন মূল্যে এই চরম বৈষম্যের ফলে নতুন গাড়ির চেয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি পড়ে যাচ্ছে। ফলে ক্রেতা কমে যাচ্ছে, আমদানি হ্রাস পাচ্ছে এবং এ খাতের ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ছেন- বলেন বারভিডা প্রেসিডেন্ট।

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার নিয়ম

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে অপো এ৫ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট

ছবি

নিত্যপণ্যের বাজারে সবজির সঙ্গে বেড়েছে চাল ও মুরগির দামও

ছবি

ডিসেম্বরের মধ্যে এনবিআরের কার্যক্রম দুই ভাগ হয়ে যাবে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশ

ছবি

শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর আমানত এক মাসে বেড়েছে ৮ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা

ছবি

বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ৩০০ শতাংশ বেড়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে মূসক অব্যাহতি

ছবি

অর্থ বিভাগের পরিপত্র: ৯ মাসে ৬০ শতাংশ খরচ করতে না পারলে অর্থছাড় বন্ধ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে মিতসুবিশি’র নতুন এক্সপ্যান্ডার ব্ল্যাক সিরিজ

ছবি

বেসিসের নতুন প্রশাসক আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ্ খান

ছবি

দারাজ বাংলাদেশের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৯.৯ অ্যানিভার্সারি মেগা সেল

ছবি

শাওমি বাজারে নিয়ে এলো রেডমি প্যাড ২

ছবি

নভেম্বরের মধ্যেই একীভূত হবে পাঁচ ব্যাংক

ছবি

আইএমএফ-এর এমডি’র সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ভিডিও কনফারেন্স ১৬ সেপ্টেম্বর

ছবি

স্যালভো কেমিক্যালের শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব ফের বাতিল করলো বিএসইসি

ছবি

সর্ববৃহৎ-অত্যাধুনিক ওয়াটার প্রোডাকশন প্ল্যান্ট উদ্বোধন করলো আকিজ ভেঞ্চার

ছবি

বহুজাতিক কোম্পানির অর্থপাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়া নজরদারি, প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ছবি

পুনঃঅর্থায়ন তহবিল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংকের চুক্তি সই

ছবি

বিভিন্ন ধরনের বন্ডে সংশোধনী আনতে যাচ্ছে বিএসইসি

ছবি

শেয়ারে কারসাজি, ছয় ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, একজন ৫ বছর নিষিদ্ধ শেয়ারবাজারে

ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে ইপিএ করতে জাপান আগ্রহী: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

রপ্তানিকারকদের শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দেবে এনবিআর: চেয়ারম্যান

ছবি

আটাব নির্বাচন: প্যানেল প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবেন প্রশাসক

ছবি

‘অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে ব্যাংক হিসাবের সংযোগে ভয়ের কিছু নেই’

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে টেকনো মেগাবুক টি১ ১৫.৬

ছবি

শেয়ারবাজারে ৯ দিন পর হাজার কোটির নিচে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক গ্যারান্টি দিলে বন্ড সুবিধা পাবেন আংশিক রপ্তানিকারকেরা

ছবি

ঢাকায় আসছেন মার্কিন সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধিদল

ছবি

শেখ হাসিনার পূবালী ব্যাংকের লকার জব্দ করেছে এনবিআর

ছবি

স্বর্ণের দামে আবার নতুন রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৭ টাকা

ছবি

উত্তরা ব্যাংকে নতুন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক

ছবি

সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ গাড়ি কেনা হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

নতুন দুই মডেলের ওয়ালটন ব্র্যান্ডের তাকিওন ই-বাইক এখন বাজারে

ছবি

বিতর্কিত ভিডিওর জেরে চাকরি গেল বিএফআইইউ প্রধানের

ছবি

পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কমিটি

tab

news » business

দশ বছরের পুরাতন গাড়ি আমদানিযোগ্য করার দাবি বারভিডার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

বর্তমান আমদানিনীতি আদেশ-২০২১-২০২৪ অনুযায়ী (এইচ এস কোড-৮৭.০১ হতে ৮৭.০৪) সর্বোচ্চ ৫ বছরের পুরাতন কার, জিপ ও বাণিজ্যিক যান আমদানিযোগ্য। এই নীতি পরিবর্তন করে ১০ বছরের পুরাতন কার, জিপ ও বাণিজ্যিক যান আমদানিযোগ্য করার সযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা)।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ১০ বছরের পুরাতন গাড়ি আমদানিযোগ্য করা হলে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম প্রায় অর্ধেকে চলে আসবে। এতে প্রতিটি গাড়ির জন্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আবার দাম কমার কারণে বিক্রি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে, ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বারভিডা’র কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট আবদুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন বারভিডা’র সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াজ রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ মো. সাইফুল ইসলাম (সম্রাট), জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ জগলুল হোসেন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি এস এম মনসুরুল করিম (লিংকন), কার্যনিবাহী সদস্য আখতার হোসেন মজুমদার, মো. হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, কে এম শফিউল্লাহ (রনি) প্রমুখ।

আবদুল হক বলেন, ‘বর্তমান আমদানিনীতি আদেশ-২০২১-২০২৪ অনুযায়ী (এইচ এস কোড-৮৭.০১ হতে ৮৭.০৪) সর্বোচ্চ ৫ বছরের পুরনো কার, জিপ ও বাণিজ্যিক যান আমদানিযোগ্য। দেশের বিপুল সংখ্যক মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মানসম্পন্ন, পরিবেশ-বান্ধব ও রিসেল ভ্যালুসম্পন্ন রিকন্ডিশন্ড গাড়ি সরবরাহের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। পরিবেশের দিকে খেয়াল রেখেই ইমিশন নিয়ন্ত্রণে এসব গাড়িতে ক্যাটালিটিক কনভার্টার নামে বিশেষ ডিভাইস সংযুক্ত থাকে। জাপানে নির্মিত এই গাড়িগুলো ২০-২৫ বছর পর্যন্ত নিরাপদে ব্যবহার করা যায় বলে সর্বশ্রেণির ক্রেতার কাছে এসব গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। রিকন্ডিশন্ড বলা হলেও বারভিডা আমদানি করা গাড়িগুলো প্রায় নতুন।’

তিনি বলেন, ‘জাপানের হোম মডেলের এসব গাড়ি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির। এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো- টেকসই ও পুনঃবিক্রয় মূল্য বিশ্বসেরা প্রযুক্তিসম্পন্ন হওয়ায় জাপানে উৎপাদিত এসব গাড়ি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায় এবং ২০-২৫ বছর ব্যবহার করার পরও পুনঃবিক্রির সময় এসব গাড়ির ভালো মূল্য পাওয়া যায়। খুচরা যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা ও সুলভ মূল্য। বাংলাদেশে জাপানি টয়োটা, নিশান, হোন্ডা, মিতসুবিশি ইত্যাদি ব্র্যান্ডের গাড়ির যন্ত্রাংশ সহজলভ্য এবং সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়, যা গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ সহজ করে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশে আমদানি করা গাড়ির ৭৫ শতাংশই জাপান থেকে আমদানি করা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। বিশ্বব্যাপী মানসম্পন্ন জাপানি গাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে গাড়ি আমদানির কোনো বয়সসীমা নেই।

নিউজিল্যান্ডে ৮ বছর, কানাডায় ১৫ বছর এবং হংকংয়ে ৭ বছর গাড়ি আমদানির বয়সসীমা নির্ধারণ করা আছে। আর বাংলাদেশে গাড়ি আমদানির বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ বছর। আমরা এটিকে ১০ বছরে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।’

বারভিডা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বর্তমান আমদানি নীতিমালা সংশোধন করে গাড়ির আমদানিযোগ্য বয়স ১০ বছর করা হলে গাড়ির বয়সভেদে কমবেশি ৫০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশের বাজারে গাড়ির মূল্য লক্ষ্যণীয় হারে কমে আসবে। আমদানিকারকরা ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মূল্যের গাড়ি আমদানি করতে পারবেন। দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির ব্যাপক অংশ এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারাও পরিবারের প্রয়োজন ও নিরাপত্তার কথা ভেবে গাড়ি কিনতে আগ্রহী হবেন। সরকারের রাজস্ব ও শুল্ক কর বাবদ আয় বৃদ্ধি পাবে।’

আবদুল হক বলেন, ‘রিকন্ডিশন্ড মোটরযান আমদানির ক্ষেত্রে আমরা ন্যূনতম ১২৯ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৮২৬ শতাংশ শুল্ক প্রদান করছি। জাপান সরকার প্রকাশিত ইয়েলো বুকে প্রদর্শিত নতুন মূল্যের সঙ্গে জাপানের অভ্যন্তরীণ বাজারের খুচরা বিক্রেতার ডিলার কমিশন ও স্থানীয় কর বাবদ সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ যুক্ত করা আছে। তাই জাপান থেকে আমরা সর্বোচ্চ ৫ বছরের পুরনো যেসব গাড়ি আমদানি করে থাকি সেসবের ক্ষেত্রে নতুন মূল্য হতে ২০ শতাংশ বিয়োজন করে রপ্তানিযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করা ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু বাস্তবে ইয়োলো বুকে উল্লিখিত নতুন মূল্য থেকে কোন ডিলার কমিশন বিয়োজন ছাড়াই বছরভিত্তিক অবচয় প্রদান করা হচ্ছে।’

আবার যে ব্যবসায়ীরা দেশে নতুন গাড়ি আমদানি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দিয়ে শুল্ক মূল্য নির্ধারণ করে শুল্ক-কর ধার্য করা হচ্ছে। এটি একটি অনায্য ও বৈষম্যমূলক পদ্ধতি এবং কাস্টম আইন ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। শুল্কায়ন মূল্যে এই চরম বৈষম্যের ফলে নতুন গাড়ির চেয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি পড়ে যাচ্ছে। ফলে ক্রেতা কমে যাচ্ছে, আমদানি হ্রাস পাচ্ছে এবং এ খাতের ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ছেন- বলেন বারভিডা প্রেসিডেন্ট।

back to top