আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু হওয়া এবং আমদানি শর্ত শিথিল হওয়ার ফলে এই প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। পণ্য আমদানি বৃদ্ধির কারণে দুবাইভিত্তিক শিপিং কোম্পানি ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সরাসরি চলাচলকারী জাহাজের সংখ্যা ১টি থেকে ২টিতে উন্নীত করেছে। সময় ও খরচ কমে আসায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়ছে এ রুটে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, চলতি ২০২৫ সালে পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি আরও বাড়বে।
এর আগে পাকিস্তান থেকে আসা পণ্যের শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করত কাস্টমস, ফলে বন্দরে পণ্য আটকে থাকত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাজস্ব বোর্ডের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বাধা তুলে নেওয়া হয়। এরপর ১১ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে শুরু হয় সরাসরি জাহাজ চলাচল। এর আগে পাকিস্তান থেকে পণ্য আনতে জাহাজগুলো দুবাই, সিঙ্গাপুর, কলম্বো বা পোর্ট কেলাং হয়ে আসত-ফলে প্রায় একমাস সময় লাগত। এখন করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি রুট চালু হওয়ায় সময় কমে এক-তৃতীয়াংশ হয়েছে-মাত্র ১১ দিনেই পণ্য পৌঁছাচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর, ঢাকা বিমানবন্দর, ঢাকা আইসিডি, মোংলা বন্দর ও পানগাঁও আইসিটির মাধ্যমে ১৯ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। ২০২৩ সালে এই পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন পণ্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, পাকিস্তান থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, সোডিয়াম কার্বনেট, ডলোমাইট, চুনাপাথর, ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট, ভাঙা কাচ, গাড়ির যন্ত্রাংশ, সুতা-কাপড়, প্রস্তুত চামড়া, ক্লিংকার, ফল, শুঁটকি, মেয়েদের থ্রিপিস ও পেঁয়াজ আমদানি হয়। বিপরীতে পাকিস্তানে কাঁচা পাট, ওষুধ, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, চা ও তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে পাকিস্তান থেকে ৩৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছিল- যার মূল্য ছিল ১,৮৮৬ কোটি টাকা। তবে ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৯ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টনে। আমদানি মূল্যের হিসাবে ২০১৮ সালে পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানির পরিমাণ ছিল ৬,৭২৫ কোটি টাকা, ২০১৯ সালে ৬,৯৮৯ কোটি টাকা, ২০২০ সালে ১,৮৮৬ কোটি টাকা, ২০২১ সালে ১,৩৯২ কোটি টাকা, ২০২২ সালে ১,৩২৪ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে ২,০৬৬ কোটি টাকা, ২০২৪ সালে ১,৩২৩ কোটি টাকা এবং ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে ১,১৬৩ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে পণ্য পরিমাণের দিক থেকে আমদানি ১০ শতাংশ বাড়লেও, আমদানির আর্থিক মূল্য ২০২৩ সালের তুলনায় ৭৪৩ কোটি টাকা কমেছে।
এক সময় পাকিস্তান থেকে আমদানি শুল্ক বাবদ বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হতো। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমসসহ বিভিন্ন শুল্ক স্টেশনে ৪,০৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। তবে ২০২০ সালের পর থেকে তা কমতে শুরু করে।
এনবিআর জানায়, ২০২০ সালে ৫৩৪ কোটি, ২০২১ সালে ৪৩৭ কোটি, ২০২২ সালে ৩৯৫ কোটি, ২০২৩ সালে ৬৫৬ কোটি এবং ২০২৪ সালে ৭১৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ২৭৫ কোটি টাকা।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু হওয়া এবং আমদানি শর্ত শিথিল হওয়ার ফলে এই প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। পণ্য আমদানি বৃদ্ধির কারণে দুবাইভিত্তিক শিপিং কোম্পানি ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সরাসরি চলাচলকারী জাহাজের সংখ্যা ১টি থেকে ২টিতে উন্নীত করেছে। সময় ও খরচ কমে আসায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়ছে এ রুটে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, চলতি ২০২৫ সালে পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি আরও বাড়বে।
এর আগে পাকিস্তান থেকে আসা পণ্যের শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করত কাস্টমস, ফলে বন্দরে পণ্য আটকে থাকত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাজস্ব বোর্ডের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বাধা তুলে নেওয়া হয়। এরপর ১১ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে শুরু হয় সরাসরি জাহাজ চলাচল। এর আগে পাকিস্তান থেকে পণ্য আনতে জাহাজগুলো দুবাই, সিঙ্গাপুর, কলম্বো বা পোর্ট কেলাং হয়ে আসত-ফলে প্রায় একমাস সময় লাগত। এখন করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি রুট চালু হওয়ায় সময় কমে এক-তৃতীয়াংশ হয়েছে-মাত্র ১১ দিনেই পণ্য পৌঁছাচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর, ঢাকা বিমানবন্দর, ঢাকা আইসিডি, মোংলা বন্দর ও পানগাঁও আইসিটির মাধ্যমে ১৯ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। ২০২৩ সালে এই পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন পণ্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, পাকিস্তান থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, সোডিয়াম কার্বনেট, ডলোমাইট, চুনাপাথর, ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট, ভাঙা কাচ, গাড়ির যন্ত্রাংশ, সুতা-কাপড়, প্রস্তুত চামড়া, ক্লিংকার, ফল, শুঁটকি, মেয়েদের থ্রিপিস ও পেঁয়াজ আমদানি হয়। বিপরীতে পাকিস্তানে কাঁচা পাট, ওষুধ, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, চা ও তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে পাকিস্তান থেকে ৩৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছিল- যার মূল্য ছিল ১,৮৮৬ কোটি টাকা। তবে ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৯ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টনে। আমদানি মূল্যের হিসাবে ২০১৮ সালে পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানির পরিমাণ ছিল ৬,৭২৫ কোটি টাকা, ২০১৯ সালে ৬,৯৮৯ কোটি টাকা, ২০২০ সালে ১,৮৮৬ কোটি টাকা, ২০২১ সালে ১,৩৯২ কোটি টাকা, ২০২২ সালে ১,৩২৪ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে ২,০৬৬ কোটি টাকা, ২০২৪ সালে ১,৩২৩ কোটি টাকা এবং ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে ১,১৬৩ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে পণ্য পরিমাণের দিক থেকে আমদানি ১০ শতাংশ বাড়লেও, আমদানির আর্থিক মূল্য ২০২৩ সালের তুলনায় ৭৪৩ কোটি টাকা কমেছে।
এক সময় পাকিস্তান থেকে আমদানি শুল্ক বাবদ বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হতো। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমসসহ বিভিন্ন শুল্ক স্টেশনে ৪,০৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। তবে ২০২০ সালের পর থেকে তা কমতে শুরু করে।
এনবিআর জানায়, ২০২০ সালে ৫৩৪ কোটি, ২০২১ সালে ৪৩৭ কোটি, ২০২২ সালে ৩৯৫ কোটি, ২০২৩ সালে ৬৫৬ কোটি এবং ২০২৪ সালে ৭১৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ২৭৫ কোটি টাকা।