রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে জারি করা অধ্যাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। তিনি জানান, বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহেই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে, গত ১২ মে এক অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ শিরোনামের ওই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে রাজস্ব নীতি বিভাগ, আর রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ২৬, ৩১ ও ২৯(১) অনুচ্ছেদের আলোকে অধ্যাদেশটি কেন সাংবিধানিকভাবে অসঙ্গত এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় অধ্যাদেশের কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে আইনসচিব ও অর্থসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী জুয়েল আজাদ বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা ছাড়াই দ্রুতগতিতে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে। এতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠনের ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ বিলুপ্ত করা হয়েছে, যা বাতিল করতে হলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা জরুরি ছিল।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন, কিন্তু তা প্রকাশ না করেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। এনবিআর বিগত সময়ে সঠিকভাবে কাজ করেছে, তাই একে বিলুপ্ত না করে সংস্কার করা যেত।
সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বিলুপ্ত করা হলে তা সংবিধান সমর্থন করে না বলে উল্লেখ করেন আইনজীবী জুয়েল আজাদ। তিনি বলেন, এখন নতুন বিভাগ দুটির শীর্ষ পদে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা নিয়োগ পাবেন, এতে এনবিআরের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হবেন, যা সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে। এই যুক্তিতেই রিটটি দায়ের করা হয়েছ।
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে জারি করা অধ্যাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। তিনি জানান, বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহেই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে, গত ১২ মে এক অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ শিরোনামের ওই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে রাজস্ব নীতি বিভাগ, আর রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ২৬, ৩১ ও ২৯(১) অনুচ্ছেদের আলোকে অধ্যাদেশটি কেন সাংবিধানিকভাবে অসঙ্গত এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় অধ্যাদেশের কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে আইনসচিব ও অর্থসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী জুয়েল আজাদ বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা ছাড়াই দ্রুতগতিতে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে। এতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠনের ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ বিলুপ্ত করা হয়েছে, যা বাতিল করতে হলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা জরুরি ছিল।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন, কিন্তু তা প্রকাশ না করেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। এনবিআর বিগত সময়ে সঠিকভাবে কাজ করেছে, তাই একে বিলুপ্ত না করে সংস্কার করা যেত।
সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বিলুপ্ত করা হলে তা সংবিধান সমর্থন করে না বলে উল্লেখ করেন আইনজীবী জুয়েল আজাদ। তিনি বলেন, এখন নতুন বিভাগ দুটির শীর্ষ পদে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা নিয়োগ পাবেন, এতে এনবিআরের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হবেন, যা সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে। এই যুক্তিতেই রিটটি দায়ের করা হয়েছ।