‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০’-এ বালু ও মাটি রপ্তানির বিধান থাকলেও এতদিন প্রক্রিয়াটি স্পষ্ট না থাকায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবার ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২৫’-এর খসড়ায় রপ্তানি প্রক্রিয়া সংযোজন করে তা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
আজ শনিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনিবার্য কারণে তা স্থগিত হয়ে আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
হালনাগাদ বিধিমালার মূল দিক
গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০১১ সালের বিধিমালা হালনাগাদের প্রস্তাবনা উঠে আসে। এতে উল্লেখযোগ্য সংশোধনীগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- নতুন হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ: দীর্ঘদিনের পুরনো জরিপের ভিত্তিতে ইজারা দেওয়া বালুমহালগুলোর পুনরায় জরিপ করে ইজারা নবায়ন।
- সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ: অবৈধ উত্তোলন রোধে কঠোর নজরদারি।
- অবৈধ বালুর ব্যবহার: নিলামে বিক্রির বদলে সরকারি নির্মাণ কাজে ব্যবহারের বিধান।
রপ্তানির সুযোগ ও শর্ত
নতুন বিধিমালায় বালু ও মাটি রপ্তানির জন্য কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে:
- পরিবেশগত সম্মতি: বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম)-এর ইতিবাচক মতামত বাধ্যতামূলক।
- নদীর গতিপথ ও স্থাপনার ক্ষয়রোধ: উত্তোলন যেন নদীর গতিবিধি বা সরকারি স্থাপনাকে প্রভাবিত না করে।
- আবেদন প্রক্রিয়া: রপ্তানির ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা
পদ্মা, মেঘনা ও যমুনাসহ প্রধান নদীগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত বালু রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বিশাল সুযোগ রয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপ বালু আমদানির আগ্রহ দেখালেও প্রক্রিয়াগত জটিলতায় তা আর এগোয়নি। নতুন বিধিমালায় ‘কেস টু কেস বেসিসে’ রপ্তানির সুযোগ রাখা হয়েছে।
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০’-এ বালু ও মাটি রপ্তানির বিধান থাকলেও এতদিন প্রক্রিয়াটি স্পষ্ট না থাকায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবার ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২৫’-এর খসড়ায় রপ্তানি প্রক্রিয়া সংযোজন করে তা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
আজ শনিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনিবার্য কারণে তা স্থগিত হয়ে আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
হালনাগাদ বিধিমালার মূল দিক
গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০১১ সালের বিধিমালা হালনাগাদের প্রস্তাবনা উঠে আসে। এতে উল্লেখযোগ্য সংশোধনীগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- নতুন হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ: দীর্ঘদিনের পুরনো জরিপের ভিত্তিতে ইজারা দেওয়া বালুমহালগুলোর পুনরায় জরিপ করে ইজারা নবায়ন।
- সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ: অবৈধ উত্তোলন রোধে কঠোর নজরদারি।
- অবৈধ বালুর ব্যবহার: নিলামে বিক্রির বদলে সরকারি নির্মাণ কাজে ব্যবহারের বিধান।
রপ্তানির সুযোগ ও শর্ত
নতুন বিধিমালায় বালু ও মাটি রপ্তানির জন্য কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে:
- পরিবেশগত সম্মতি: বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম)-এর ইতিবাচক মতামত বাধ্যতামূলক।
- নদীর গতিপথ ও স্থাপনার ক্ষয়রোধ: উত্তোলন যেন নদীর গতিবিধি বা সরকারি স্থাপনাকে প্রভাবিত না করে।
- আবেদন প্রক্রিয়া: রপ্তানির ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা
পদ্মা, মেঘনা ও যমুনাসহ প্রধান নদীগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত বালু রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বিশাল সুযোগ রয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপ বালু আমদানির আগ্রহ দেখালেও প্রক্রিয়াগত জটিলতায় তা আর এগোয়নি। নতুন বিধিমালায় ‘কেস টু কেস বেসিসে’ রপ্তানির সুযোগ রাখা হয়েছে।