ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগের গুঞ্জনে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘সারাদিন খালি গুজব ছড়ায় আমি পদেত্যাগ করছি। বাজারে কি এর একটা প্রভাব পড়ে না?’ সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।
শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের বৈঠকের সময় নির্ধারিত হলে গতকাল রোববার রাতে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। কিছু গণমাধ্যম এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা (কিছু গণমাধ্যম) তো নিউজ বানিয়ে দিয়েছেন। কোথা থেকে সমস্ত নিউজ (পদত্যাগের গুজব) বানান এবং পান।
সারাদিন খালি এগুলাই ছড়ায়। এর থেকে ভালো কিছু কি নাই বলেন? আমি আসলাম প্রধান উপদেষ্টার পাঁচটি নির্দেশনা নিয়ে, এতক্ষণ তাই নিয়েই আলোচনা করছিলাম। আমি আসছি একটা কাজে আর আপনারা বানিয়ে দিলেন এগুলা (পদত্যাগ) । এটার একটা ইফেক্ট বাজারে পড়ে না?’
তিনি বলেন, ‘সেদিন একজনকে বললাম আপনি এত গুণগান গাচ্ছেন। হঠাৎ করে গুণগান গাচ্ছেন, আমাদের গুণগান গেয়েন না। আপনি এই কথা বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার বক্তব্য এই, আর এখানে এসে এগুলা কেন বলেন। আপনার কাছে জানতে চাইছি কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, ব্যবস্থার দিকে না যেয়ে আপনি গুণগান গাচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টার যে পাঁচটি নির্দেশনা তার বেশিরভাগই আমাদের কাজ না, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের। সেটার কো-অর্ডিনেশন আপনারা করবেন। এটার জন্যই আজকে আসা।
এটা কে আপনারা (কিছু গণমাধ্যম) বানায়া দিলেন-আমি পৌনে ১০টায় কেন আর্জেন্ট আসছি, আমি পদত্যাগ করবো। এই যদি হয় একটা মানুষ কাজ করবে কি? সারাদিন এই।’
কেন বারবার গুঞ্জন ছড়াচ্ছে আপনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন? এমন প্রশ্ন করা হলে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘গুজব ছড়ালো আমি আমেরিকায় যে ফিরবো না? আমি যদি আমেরিকায় যেতাম, সবাই জানে ১২ বছর আমেরিকায় আমার ট্যাক্স ফাইল করতে হয়েছে। আমার তো ওখান থেকে কোনদিন দেশেই ফেরার দরকার ছিল না। আমি সাত বছর ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্কের এমপ্লয় ছিলাম। আমার পে-রোল হতো নিউইয়র্কে। আমার বোনাস হতো নিউইয়র্কে। তো আমাকে ট্যাক্সফাইল করতে হচ্ছে। এই সমস্ত খবর যে এরা ছড়ায় এর কোন মানে আছে। প্রাইভেট সেক্টরের চাকরি-বাকরি ছেড়ে সরকারি বেতনে কেন আসছি? দেশের কাজ করার জন্য।’
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে কি আলোচনা হলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার যে পাঁচটি নির্দেশনা, সেটা কে কোথায় কীভাবে করবে? কাকে কি দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আগামী বাজেট সামনে রেখে স্টেকহোল্ডাররা বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো নিয়ে আজকেও আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা মহোদয় বিষয়গুলো দেখছেন।’
অর্থ উপদেষ্টা কোন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন? এমন প্রশ্ন করা হলে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘হ্যাঁ, কীভাবে কোথায় এগোতে হবে, কার সঙ্গে কি মিটিং এরপরে সে বিষয়ে বলেছেন।’
আসন্ন বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য কোন সুখবর আসার লক্ষণ দেখছেন কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা বলতে পারবো না, যারা বাজেট দেবেন তারাই বলতে পারবেন। আমরা আমাদের চাহিদাগুলো জানিয়েছি।’
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
ছড়িয়ে পড়া পদত্যাগের গুঞ্জনে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘সারাদিন খালি গুজব ছড়ায় আমি পদেত্যাগ করছি। বাজারে কি এর একটা প্রভাব পড়ে না?’ সোমবার, (১৯ মে ২০২৫) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।
শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের বৈঠকের সময় নির্ধারিত হলে গতকাল রোববার রাতে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। কিছু গণমাধ্যম এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা (কিছু গণমাধ্যম) তো নিউজ বানিয়ে দিয়েছেন। কোথা থেকে সমস্ত নিউজ (পদত্যাগের গুজব) বানান এবং পান।
সারাদিন খালি এগুলাই ছড়ায়। এর থেকে ভালো কিছু কি নাই বলেন? আমি আসলাম প্রধান উপদেষ্টার পাঁচটি নির্দেশনা নিয়ে, এতক্ষণ তাই নিয়েই আলোচনা করছিলাম। আমি আসছি একটা কাজে আর আপনারা বানিয়ে দিলেন এগুলা (পদত্যাগ) । এটার একটা ইফেক্ট বাজারে পড়ে না?’
তিনি বলেন, ‘সেদিন একজনকে বললাম আপনি এত গুণগান গাচ্ছেন। হঠাৎ করে গুণগান গাচ্ছেন, আমাদের গুণগান গেয়েন না। আপনি এই কথা বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার বক্তব্য এই, আর এখানে এসে এগুলা কেন বলেন। আপনার কাছে জানতে চাইছি কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, ব্যবস্থার দিকে না যেয়ে আপনি গুণগান গাচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টার যে পাঁচটি নির্দেশনা তার বেশিরভাগই আমাদের কাজ না, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের। সেটার কো-অর্ডিনেশন আপনারা করবেন। এটার জন্যই আজকে আসা।
এটা কে আপনারা (কিছু গণমাধ্যম) বানায়া দিলেন-আমি পৌনে ১০টায় কেন আর্জেন্ট আসছি, আমি পদত্যাগ করবো। এই যদি হয় একটা মানুষ কাজ করবে কি? সারাদিন এই।’
কেন বারবার গুঞ্জন ছড়াচ্ছে আপনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন? এমন প্রশ্ন করা হলে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘গুজব ছড়ালো আমি আমেরিকায় যে ফিরবো না? আমি যদি আমেরিকায় যেতাম, সবাই জানে ১২ বছর আমেরিকায় আমার ট্যাক্স ফাইল করতে হয়েছে। আমার তো ওখান থেকে কোনদিন দেশেই ফেরার দরকার ছিল না। আমি সাত বছর ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্কের এমপ্লয় ছিলাম। আমার পে-রোল হতো নিউইয়র্কে। আমার বোনাস হতো নিউইয়র্কে। তো আমাকে ট্যাক্সফাইল করতে হচ্ছে। এই সমস্ত খবর যে এরা ছড়ায় এর কোন মানে আছে। প্রাইভেট সেক্টরের চাকরি-বাকরি ছেড়ে সরকারি বেতনে কেন আসছি? দেশের কাজ করার জন্য।’
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে কি আলোচনা হলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার যে পাঁচটি নির্দেশনা, সেটা কে কোথায় কীভাবে করবে? কাকে কি দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আগামী বাজেট সামনে রেখে স্টেকহোল্ডাররা বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো নিয়ে আজকেও আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা মহোদয় বিষয়গুলো দেখছেন।’
অর্থ উপদেষ্টা কোন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন? এমন প্রশ্ন করা হলে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘হ্যাঁ, কীভাবে কোথায় এগোতে হবে, কার সঙ্গে কি মিটিং এরপরে সে বিষয়ে বলেছেন।’
আসন্ন বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য কোন সুখবর আসার লক্ষণ দেখছেন কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা বলতে পারবো না, যারা বাজেট দেবেন তারাই বলতে পারবেন। আমরা আমাদের চাহিদাগুলো জানিয়েছি।’