alt

অর্থ-বাণিজ্য

বাজেটে বিনিয়োগকারীর জন্য সরাসরি প্রণোদনা নেই, শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

শেয়ারবাজারে বর্তমানে চরম হতাশাজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। টানা দরপতনের কারণে লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে বিনিয়োগকারীরা বাজারবিমুখ হয়ে পড়েছেন। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পাঁচ বছর আগের অবস্থানে ফিরে গেছে। লেনদেনও নেমে এসেছে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। এতে প্রতিদিন বাড়ছে লোকসানের অঙ্ক।

গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। তবে মাস না ঘুরতেই শেয়ারবাজার আবারও দীর্ঘমেয়াদি মন্দার কবলে পড়ে। বিনিয়োগকারীরা বাজেট ঘিরে যে আশায় ছিলেন, বাজেট ঘোষণার পর সেই আশা অনেকটাই হতাশায় রূপ নিয়েছে। সরাসরি বিনিয়োগকারীদের জন্য তেমন কোনো প্রণোদনা না থাকায় হতাশ হয়েছেন তাঁরা।

যদিও বাজেটে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির মধ্যে করপোরেট করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি, ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনে উৎসে কর হ্রাস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর কমানো। তবে এসব সুবিধা সরাসরি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।

স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ ও মূলধনি মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হলেও বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে শর্তসাপেক্ষে কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ শতাংশ কর ছাড় পাবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে এ সুবিধা কার্যকর হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করলে এই ব্যবধান কমে ৫ শতাংশ হবে।

ব্রোকারেজ হাউসের প্রতি ১০০ টাকার লেনদেনে উৎসে কর কমিয়ে ৫ পয়সা থেকে ৩ পয়সা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট করহারও সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে সাড়ে ২৭ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো কোম্পানি আনতেই করহারের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। তবে বিএসইসির প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ ব্যবধান বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন। কারণ তালিকাভুক্ত হলে কোম্পানিগুলোকে নানা নিয়মকানুন পরিপালন করতে হয় এবং বাড়তি খরচও হয়। ফলে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকলে ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে আসবে না।

গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাজার সংস্কারের নানা পরিকল্পনা থাকলেও তার বাস্তবায়ন ধীরগতিতে চলছে। ফলে সুফল এখনও দেখা যাচ্ছে না। বাজেট ঘিরে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ না হওয়ায় এখন প্রশ্ন উঠেছে—এই বাজেট কি শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে পারবে?

ছবি

বিদেশ থেকে বছরে একবারই সোনা আনার সুযোগ, শুল্কও বাড়ল

আইএমএফের ছকের বাজেট শিল্পের জন্য ‘হুমকি’: বিসিআই

ছবি

জুলাই থেকে নতুন হারে আয়কর: এনবিআর চেয়ারম্যান

শিক্ষা বাজেট: ‘গতানুগতিক’ ও ‘হতাশার’, বলছেন শিক্ষাবিদরা

ছবি

হঠাৎ করে অনেক সাহসী বাজেট দেয়া সম্ভব ছিল না: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

“ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব নিয়েছি”—বাজেট নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

ছবি

বিনিময় হারে স্বস্তিতে মূল্যস্ফীতি কমার আশা দেখছেন গভর্নর আহসান মনসুর

ছবি

বাজেটে আইসিটি খাতে ‘সুখবর’ দেখতে পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা

ছবি

বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা বিদেশী উদ্যোক্তাদের

ছবি

ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে বাজেট ততটা আশাব্যঞ্জক নয়: ডিসিসিআই

ছবি

ওসমানী মিলনায়তনে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা ও সচিবরা

ক্রেডিট কার্ডসহ ১২ সেবায় রিটার্ন নয়, লাগবে শুধু টিআইএন সনদ

ছবি

আবাসনে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল, বাড়ছে করহার

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নয়, বাড়ছে ‘বিশেষ সুবিধা’

মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজেটে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই: ঢাকা চেম্বার

ছবি

নোবেলসহ ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থ করমুক্ত রাখার প্রস্তাব

ছবি

বাজেট: বৈষম্যহীনতার প্রতিশ্রুতি, পুরনো কৌশলেই ভরসা

কালো টাকাকে বৈধতা দেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের স্ববিরোধিতা: টিআইবি

দাম কমতে পারে

দাম বাড়তে পারে

ছবি

যাত্রী পরিবহনে খরচ কমাতে এয়ারলাইন্সে ভ্যাট ছাড়

ছবি

নতুন শুল্কে গলা টিপে ধরার শঙ্কায় ওটিটি ইন্ডাস্ট্রি

ছবি

ত্রৈমাসিক রিটার্ন, দলিল যাচাইয়ে নতুন কর বিধান

মূল্যস্ফীতির হার ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি

বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা

ছবি

২০২৫-২৬ বাজেটে কালোটাকা সাদা রাখার প্রস্তাব, কর হার বাড়ল এলাকাভেদে

ছবি

ব্লু ইকোনমি ও বিজ্ঞান গবেষণায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

ছবি

বাড়লো না করমুক্ত আয়ের সীমা, কর ধাপ সাত থেকে ছয়ে, বাড়বে করের বোঝা

ছবি

ট্যারিফ ভ্যালুর বদলে ইনভয়েস ভ্যালুতে শুল্ক প্রস্তাব, বিপিসির শুল্ক হার কমানোর উদ্যোগ

ছবি

ছোট আমানতকারীদের স্বস্তি: আবগারি শুল্ক ছাড়ের সীমা বাড়ল

ছবি

মে মাসে রেমিটেন্স এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার

ছবি

৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট টিভিতে উপস্থাপন করছেন সালেহউদ্দিন আহমেদ

ছবি

২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নকশার নোট বিতরণ শুরু সোমবার

ছবি

পোশাক খাত: এখনও বোনাস পরিশোধ করেনি ৭৩ শতাংশ কারখানা

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক, দুই সমঝোতা সই

ছবি

বিজিএমইএ’র সভাপতি হচ্ছেন মাহমুদ হাসান, ৩৫ পদের ৩১টিতে জয়ী ফোরাম

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বাজেটে বিনিয়োগকারীর জন্য সরাসরি প্রণোদনা নেই, শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

শেয়ারবাজারে বর্তমানে চরম হতাশাজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। টানা দরপতনের কারণে লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে বিনিয়োগকারীরা বাজারবিমুখ হয়ে পড়েছেন। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পাঁচ বছর আগের অবস্থানে ফিরে গেছে। লেনদেনও নেমে এসেছে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। এতে প্রতিদিন বাড়ছে লোকসানের অঙ্ক।

গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। তবে মাস না ঘুরতেই শেয়ারবাজার আবারও দীর্ঘমেয়াদি মন্দার কবলে পড়ে। বিনিয়োগকারীরা বাজেট ঘিরে যে আশায় ছিলেন, বাজেট ঘোষণার পর সেই আশা অনেকটাই হতাশায় রূপ নিয়েছে। সরাসরি বিনিয়োগকারীদের জন্য তেমন কোনো প্রণোদনা না থাকায় হতাশ হয়েছেন তাঁরা।

যদিও বাজেটে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির মধ্যে করপোরেট করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি, ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনে উৎসে কর হ্রাস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর কমানো। তবে এসব সুবিধা সরাসরি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।

স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ ও মূলধনি মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হলেও বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে শর্তসাপেক্ষে কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ শতাংশ কর ছাড় পাবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে এ সুবিধা কার্যকর হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করলে এই ব্যবধান কমে ৫ শতাংশ হবে।

ব্রোকারেজ হাউসের প্রতি ১০০ টাকার লেনদেনে উৎসে কর কমিয়ে ৫ পয়সা থেকে ৩ পয়সা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট করহারও সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে সাড়ে ২৭ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো কোম্পানি আনতেই করহারের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। তবে বিএসইসির প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ ব্যবধান বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন। কারণ তালিকাভুক্ত হলে কোম্পানিগুলোকে নানা নিয়মকানুন পরিপালন করতে হয় এবং বাড়তি খরচও হয়। ফলে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকলে ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে আসবে না।

গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাজার সংস্কারের নানা পরিকল্পনা থাকলেও তার বাস্তবায়ন ধীরগতিতে চলছে। ফলে সুফল এখনও দেখা যাচ্ছে না। বাজেট ঘিরে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ না হওয়ায় এখন প্রশ্ন উঠেছে—এই বাজেট কি শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে পারবে?

back to top