শেয়ারবাজারে বর্তমানে চরম হতাশাজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। টানা দরপতনের কারণে লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে বিনিয়োগকারীরা বাজারবিমুখ হয়ে পড়েছেন। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পাঁচ বছর আগের অবস্থানে ফিরে গেছে। লেনদেনও নেমে এসেছে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। এতে প্রতিদিন বাড়ছে লোকসানের অঙ্ক।
গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। তবে মাস না ঘুরতেই শেয়ারবাজার আবারও দীর্ঘমেয়াদি মন্দার কবলে পড়ে। বিনিয়োগকারীরা বাজেট ঘিরে যে আশায় ছিলেন, বাজেট ঘোষণার পর সেই আশা অনেকটাই হতাশায় রূপ নিয়েছে। সরাসরি বিনিয়োগকারীদের জন্য তেমন কোনো প্রণোদনা না থাকায় হতাশ হয়েছেন তাঁরা।
যদিও বাজেটে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির মধ্যে করপোরেট করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি, ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনে উৎসে কর হ্রাস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর কমানো। তবে এসব সুবিধা সরাসরি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।
স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ ও মূলধনি মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হলেও বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে শর্তসাপেক্ষে কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ শতাংশ কর ছাড় পাবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে এ সুবিধা কার্যকর হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করলে এই ব্যবধান কমে ৫ শতাংশ হবে।
ব্রোকারেজ হাউসের প্রতি ১০০ টাকার লেনদেনে উৎসে কর কমিয়ে ৫ পয়সা থেকে ৩ পয়সা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট করহারও সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে সাড়ে ২৭ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো কোম্পানি আনতেই করহারের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। তবে বিএসইসির প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ ব্যবধান বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন। কারণ তালিকাভুক্ত হলে কোম্পানিগুলোকে নানা নিয়মকানুন পরিপালন করতে হয় এবং বাড়তি খরচও হয়। ফলে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকলে ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে আসবে না।
গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাজার সংস্কারের নানা পরিকল্পনা থাকলেও তার বাস্তবায়ন ধীরগতিতে চলছে। ফলে সুফল এখনও দেখা যাচ্ছে না। বাজেট ঘিরে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ না হওয়ায় এখন প্রশ্ন উঠেছে—এই বাজেট কি শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে পারবে?
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
শেয়ারবাজারে বর্তমানে চরম হতাশাজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। টানা দরপতনের কারণে লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে বিনিয়োগকারীরা বাজারবিমুখ হয়ে পড়েছেন। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পাঁচ বছর আগের অবস্থানে ফিরে গেছে। লেনদেনও নেমে এসেছে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। এতে প্রতিদিন বাড়ছে লোকসানের অঙ্ক।
গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। তবে মাস না ঘুরতেই শেয়ারবাজার আবারও দীর্ঘমেয়াদি মন্দার কবলে পড়ে। বিনিয়োগকারীরা বাজেট ঘিরে যে আশায় ছিলেন, বাজেট ঘোষণার পর সেই আশা অনেকটাই হতাশায় রূপ নিয়েছে। সরাসরি বিনিয়োগকারীদের জন্য তেমন কোনো প্রণোদনা না থাকায় হতাশ হয়েছেন তাঁরা।
যদিও বাজেটে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির মধ্যে করপোরেট করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি, ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনে উৎসে কর হ্রাস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর কমানো। তবে এসব সুবিধা সরাসরি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।
স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ ও মূলধনি মুনাফার ওপর থেকে কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হলেও বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলে শর্তসাপেক্ষে কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ শতাংশ কর ছাড় পাবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে এ সুবিধা কার্যকর হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করলে এই ব্যবধান কমে ৫ শতাংশ হবে।
ব্রোকারেজ হাউসের প্রতি ১০০ টাকার লেনদেনে উৎসে কর কমিয়ে ৫ পয়সা থেকে ৩ পয়সা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট করহারও সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে সাড়ে ২৭ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো কোম্পানি আনতেই করহারের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। তবে বিএসইসির প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ ব্যবধান বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন। কারণ তালিকাভুক্ত হলে কোম্পানিগুলোকে নানা নিয়মকানুন পরিপালন করতে হয় এবং বাড়তি খরচও হয়। ফলে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকলে ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে আসবে না।
গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাজার সংস্কারের নানা পরিকল্পনা থাকলেও তার বাস্তবায়ন ধীরগতিতে চলছে। ফলে সুফল এখনও দেখা যাচ্ছে না। বাজেট ঘিরে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ না হওয়ায় এখন প্রশ্ন উঠেছে—এই বাজেট কি শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে পারবে?