২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত উড়োজাহাজ লিজ বা ভাড়া নেওয়ার খরচ কমাতে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ৩টায় বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে জনসাধারণকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে বেশ কিছু খাতে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক অব্যাহতির কথা বলা হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে উড়োজাহাজ ভাড়া নিতে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উড়োজাহাজ ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) রয়েছে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনার সময় প্রথম কিস্তির অর্থের ওপর ভ্যাট আরোপ হয় না। তবে পরবর্তী কিস্তিগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর সময় একই ভাড়ার উপর আবার ভ্যাট আরোপ হয়, যা এয়ারলাইন্স খাতে সরকারের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল।
এ কারণে এয়ারলাইন্সগুলোকে উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনতে বিপুল অঙ্কের অর্থ ভ্যাট বাবদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। যার প্রভাব শেষ পর্যন্ত যাত্রীর ভাড়ায় পড়ে। বিশেষ করে ভাড়া নেওয়া উড়োজাহাজ দিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে পরিচালিত ফ্লাইটগুলোতে এই ব্যয় আরও বেশি হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, অধিকাংশ উড়োজাহাজ আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ভাড়া নেওয়া হয়। ভাড়া পরিশোধ করতে হয় মার্কিন ডলার বা বিদেশি মুদ্রায়।
বাংলাদেশে সরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসরকারি এয়ালাইনসগুলোর বহরে থাকা উড়োজাহাজের বড় একটি অংশ লিজে বা ভাড়ায় আনা। এসব উড়োজাহাজের বিপরীতে প্রতি মাসেই বিপুল অঙ্কের ভাড়া পরিশোধ করতে হয়, যার ওপর ভ্যাটও আরোপিত। এতে করে এয়ারলাইন্সগুলোর পরিচালন ব্যয় বাড়ায়, সাধারণ যাত্রীদের জন্য টিকিটের দামও বাড়ে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উড়োজাহাজ ভাড়ার ওপর আরোপিত ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হলে এয়ারলাইন্সগুলোর উপর চাপ কিছুটা কমবে। নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) মহাসচিব মফিজুর রহমান বলেন, “আমাদের দাবি তো ছিল অনেকগুলোই। এর মধ্যে এটা ছিল সবার পরে। যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত ভ্যাট কমানোটা ছিল আমাদের প্রধান দাবি। যেটা হয়েছে, সেটাও খারাপ না। যেখানেই কিছু কমে, সেটাই আমাদের জন্য স্বস্তির। এটা অন্তত ভালো একটা পদক্ষেপ।”
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত উড়োজাহাজ লিজ বা ভাড়া নেওয়ার খরচ কমাতে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ৩টায় বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে জনসাধারণকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে বেশ কিছু খাতে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক অব্যাহতির কথা বলা হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে উড়োজাহাজ ভাড়া নিতে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উড়োজাহাজ ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) রয়েছে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনার সময় প্রথম কিস্তির অর্থের ওপর ভ্যাট আরোপ হয় না। তবে পরবর্তী কিস্তিগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর সময় একই ভাড়ার উপর আবার ভ্যাট আরোপ হয়, যা এয়ারলাইন্স খাতে সরকারের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল।
এ কারণে এয়ারলাইন্সগুলোকে উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনতে বিপুল অঙ্কের অর্থ ভ্যাট বাবদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। যার প্রভাব শেষ পর্যন্ত যাত্রীর ভাড়ায় পড়ে। বিশেষ করে ভাড়া নেওয়া উড়োজাহাজ দিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে পরিচালিত ফ্লাইটগুলোতে এই ব্যয় আরও বেশি হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, অধিকাংশ উড়োজাহাজ আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ভাড়া নেওয়া হয়। ভাড়া পরিশোধ করতে হয় মার্কিন ডলার বা বিদেশি মুদ্রায়।
বাংলাদেশে সরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসরকারি এয়ালাইনসগুলোর বহরে থাকা উড়োজাহাজের বড় একটি অংশ লিজে বা ভাড়ায় আনা। এসব উড়োজাহাজের বিপরীতে প্রতি মাসেই বিপুল অঙ্কের ভাড়া পরিশোধ করতে হয়, যার ওপর ভ্যাটও আরোপিত। এতে করে এয়ারলাইন্সগুলোর পরিচালন ব্যয় বাড়ায়, সাধারণ যাত্রীদের জন্য টিকিটের দামও বাড়ে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উড়োজাহাজ ভাড়ার ওপর আরোপিত ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হলে এয়ারলাইন্সগুলোর উপর চাপ কিছুটা কমবে। নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি) মহাসচিব মফিজুর রহমান বলেন, “আমাদের দাবি তো ছিল অনেকগুলোই। এর মধ্যে এটা ছিল সবার পরে। যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত ভ্যাট কমানোটা ছিল আমাদের প্রধান দাবি। যেটা হয়েছে, সেটাও খারাপ না। যেখানেই কিছু কমে, সেটাই আমাদের জন্য স্বস্তির। এটা অন্তত ভালো একটা পদক্ষেপ।”